স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্ধর দিয়ে আবারো শুরু হচ্ছে মাছ রপ্তানী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে মাছ, শুটকি, মাংস ও ফুড জাতীয় খাদ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবোরো মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে বন্দরে পুনরায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছে ব্যবসায়ীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারক এসোসিয়েশসের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার ফলে গেল বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল। এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ রপ্তানীর বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে এলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিঠি পাঠানো হয়।চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়, আগরতলা আইসিপিকে যেন এই তালিকার বাইরে রাখা হয়। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর সাথে কথা বলে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে রাজ্যকে বাদ রাখার আহবান জানান। মন্ত্রীর আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।এতে করে গত ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো সোমবার থেকে মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত শত শত ব্যবসায়ী এই শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবে।আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সুপারিন্টেনডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান, এই স্থলবন্দরটি রপ্তানি মুখি। বেশির ভাগই মাছ রপ্তানি হয়। কিন্তু ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পুনরায় মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেই। মাছ রপ্তানি শুরু হলে বন্দরে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি দিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সহ আশেপাশের সাতটি রাজ্যে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
লহ্মীপুরে জেলা সদরে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া হাফিজ উল্যাহ ওরফে বাহাদুর মাঝি (৫৮) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাহাদুর মাঝি ৪০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সময় তিনি আদালতের উপস্থিত ছিলেন। বাহাদুর মাঝি সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের পূর্ব চররমনী মোহন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়ের মধ্য চর রমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৮৫ হাজার ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় মনির, গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে র্যা বব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাহাদুর মাঝি ও আব্দুর রহমান নামে দুইজন পলাতক ছিলেন। পরে ৯ জানুয়ারি রাতে একই এলাকা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করে । টেকনাফ সীমান্ত থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো নিয়ে আসেন তিনি। এ ঘটনায় পরদিন ১০ জানুয়ারি নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) লিটন চন্দ্র দত্ত আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। প্রসঙ্গত, ইয়াবাকান্ডে প্রথম মামলায় চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য(মেম্বার) মনির, ইউনিয়নের মো. ইব্রাহিম ও আমির হোসেন কারাগারে রয়েছে। সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক -আদিত্য কামাল
ট্রেন যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও রেলপথে নাশকতা রোধে সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করেছে র্যাব-৯। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন কেটে ফেলা সহ ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের নাশকতা রোধ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ এর আওতাধীন এলাকা সিলেটসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেলস্টেশনগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।এছাড়া রেলস্টেশনগুলোতে নিয়মিতভাবে রোবাষ্ট পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে। নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন দাহ্য পদার্থ, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য কিংবা অবৈধ মালামাল (মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র) ইত্যাদি বহন করতে না পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর আওতাধীন স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সময় ধারাবাহিকভাবে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রেল স্টেশন এবং বিভিন্ন ট্রেনে র্যাব-৯ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কর্তৃক বিভিন্ন সময় সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।পাশাপাশি যে কোন ধরনের নাশকতা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অত্যন্ত সর্তকতার সাথে র্যাব-৯ কর্তৃক সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ট্রেন যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে জায়ান নামে দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে শহরতলীর ঘাটুরা খন্দকার বাড়ী এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশু জায়ান ওই এলাকার আলামিন মিয়ার ছেলে। শিশু জায়ানের পিতা আলামিন মিয়া জানান, শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের সাথেই ছিল জায়ান। দুপুরে রান্নার কাজ করার সময় সবার অগোচরে শিশু জায়ান বাড়ীর পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। পরে বিকেলে অনেক খুজাখুজির পর পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুখলেছুর রহমান অভি সৌদি আরব প্রতিনিধি: সৌদি আরবের দাম্মামে হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রঃ) ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
৩ ফেব্রুয়ারী দাম্মাম শহরে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ দাম্মাম প্রাদেশিক শাখার আয়োজনে রঈসুল কুররা ওয়াল মুফাসসিরীন, উস্তাযুল মুহাদ্দিসীন, সুলতানুল আরিফীন হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রঃ) এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় আরজানি ভিলায় বাদ জুমআ দাম্মাম প্রাদেশিক শাখার সভাপতি সলিম আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আবু বকর নুমান এর পরিচালনায় পবিত্র কালামে পাক থেকে তিলাওয়াত করেন মঈন উদ্দিন, নাতে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিবেশন করেন হাফিজ আবু বকর নুমান, শানে ফুলতলী পরিবেশন করেন হাফিজ সালেহ আহমদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ দাম্মাম প্রাদেশিক শাখার প্রধান উপদেষ্টা এম এ লতিফ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাখার উপদেষ্টা শিবলু বখশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আলিম উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাদেক আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সাহাদত হুসাইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলী আমজদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম রায়হান। শমসুল ইসলাম, তুফায়েল আহমেদ টিপু, নাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিজান, বাশির আহমেদ, সাব্বির আহমেদ, রাজিব আহমেদ, ইসমাইল হুসাইন, মোহাম্মদ তায়িফ,মুখতার আলী, মেহেদি হাসান, আলমগীর হুসাইন, আলাউদ্দিন সহ আরো অনেকে। সভাপতির সমাপনী বক্তব্য এবং মিলাদ কিয়াম, দোয়ার মাধ্যমে ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সমপন্ন হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন অক্ষম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর একনজর দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়রা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের কুসুমবাড়ি গ্রামে মোঃ মীর জাহান মিয়ার বাড়িতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, চাউল, আসবাদপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হলেও কিন্তু অক্ষত থাকে পবিত্র কোরআন শরীফ।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অলৌকিক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচিত হয়েছে। অনেকে ছবিটিকে ফেসবুক পেজে শেয়ার এবং ছবি তুলে সংরক্ষণ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের লেলিহান শিখা যখন উপরে উঠতে শুরু করে তখন কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহুর্তের মধ্যে ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, আলমারি, চেয়ার টেবিল, চালের ড্রাম, স্বর্ণ, নগদ টাকা, ইলেট্রনিক্স সামগ্রি ও অন্যান্য মালামালসহ সম্পূর্ণ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু এতে অক্ষত থাকে আল্লাহর পবিত্র কোরআন শরীফ। কোরআন শরিফের চারদিকে কিছুটা ক্ষতি হলেও পুরো কোরআন শরিফের অক্ষরগুলো অক্ষত থেকে যায়।
বাড়ির মালিক মীর জাহান মিয়া বলেন, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, চাউল,
আসবাদপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে অন্ত:ত ৭ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়। কোরআন শরীফটি অক্ষত অবস্থায় থাকে। এটা মহান আল্লাহ তা’আলার অশেষ মেহেরবানী। আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা লিডার মোঃমনিম সারোয়ার বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।