স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মঙ্গলবার নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙ্গালী ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশকে বিনাশ করার জন্য ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার পরিবারে ১৭ জনকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারি খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে চায়নি, সেই একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদেরকে আমরা জীবিত পেতাম না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুজন খুনীর একজন যক্তরাষ্ট্রে, একজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারি কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয়না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণ কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, যড়যন্ত্রকারিরা কিন্ত বসে নেই। বিএনপি – জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারিরা রয়েছেন। তারা মিথ্যা বলেন। সত্যের কাছ দিয়ে হাটেন না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী তারা নিজেরা খুন করে অন্যের উপর দায় ছাপায়। তাই ষড়যন্ত্র কারিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল ও একেএম আতাউড় রহমান নাজিম, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, দর্শন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের
অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এরকম একটি খাত হল বীমা শিল্প, যা তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছিল। বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা বীমা খাতের অগ্রগতি ও বিবর্তনে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে। তার রূপান্তরমূলক উদ্যোগ এবং অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পকে গঠন ও অগ্রসর করার পথে অগ্রসর হন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সকল নাগরিকের জন্য অপরিহার্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা যখন বীমা শিল্পের উপর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রভাবের দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তার স্থায়ী উত্তরাধিকার এই অত্যাবশ্যক খাতকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার দূরদর্শী নীতিগুলি এর বিবর্তনের দিকনির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দৃষ্টি ছিল। তিনি সমাজের সকল স্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য বীমা পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নয় বরং সামাজিক কল্যাণের দিকেও মনোযোগী ছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান করা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সরকার ২৯টি পাকিস্তানি কোম্পানিকে তদারকি করার জন্য ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি The Banglades (Taking over of control and management industrial and commercial concern) Order,1972 নামে একটি অধ্যাদেশ জারী করে উক্ত অধ্যাদেশের ২(১) এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance ( Emergency Provision) Order,1972 জারি করা হয়। এ Act এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের বীমা আইন হিসাবে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটিকে মূলভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ নং(৯৫) অনুযায়ী দেশের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। উক্ত আদেশে দেশের ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (Insurance Corporation Ordinance 1973) মাধ্যমে উক্ত পাচঁটি বীমা সংস্থাকে দুটি সংস্থার অধীনে আনা হয়। একটি হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হলো সাধারন বীমা কর্পোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করে আসছে সরকার। কারণ ১৯৬০ সালের এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন। আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে। ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক।
শুরু থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং স্থায়ী। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং জনসচেতনতার প্রচার বীমা খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার উদ্যোগের উত্তরাধিকার জাতিকে উপকৃত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে নাগরিকদের বীমা পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। সালমান হোসাইন,ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্বনামধন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রংধুন বিউটি পার্লার এর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন সোসাইটির পুর্নমিলনী, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শীতবস্ত্র বিতরণ, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রংধনু বিউটি পার্লারে বিডব্লিউইএস এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমা মন্ডল এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ আর খান, সিইও, বিডব্লিউইএস।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ মাসুদুল বারী, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ আজিজুল বারী, বুলবুল আহমেদ, পরিচালক, তাসমিহা এন্টার প্রাইজ। ইয়াসমিন আরা অলিন, ট্রেইনার ও এ্যাসেসর, বাংলাদেশ কারিগর শিক্ষা বোর্ড, এ্যাসেসর বিউটিফিকেশন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নান্দনিক উপস্থাপক আব্দুল মতিন শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবরিনা নিস্মি, বিভাগীয় সভাপতি, বিডব্লিউইএস, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্নধার ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জননীখ্যাত কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তাহমিনা আক্তার পান্না,সহ সভাপতি জয়া রায়।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, ইয়াসমিন আরা অলিন।অনুষ্ঠানটি সার্বিক সহযোগিতা করেন রংধুন বিউটি পার্লার এর কর্নধার শাহিন আজিজ।
আলোচনা শেষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে কম্বল ও খাবার বিতরণ করা হয়।
এই ঘটনা রাতে ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেপ্তারকৃত তিনজন সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতে মামলা নথিভুক্ত করার পর ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে তিন বছর মেয়াদী ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ২০২৪-২৬ বর্ষের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে দৈনিক চিত্র এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মো. জুয়েল মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দৈনিক স্বাধীন সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার মো. রফিকুল ইসলাম মাসুম নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দৈনিক ভোরের চেতনার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি লিয়াকত মাসুদ এবং এশিয়ান টেলিভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ নির্বাচিত হয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক পর্যবেক্ষণের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি শাহনেওয়াজ শাহ এবং দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মো. রুবেল মিয়া নির্বাচিত হয়। সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মো. বাইজিদুল ইসলাম বাবুল।
এ ছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন এইচ এম জাকারিয়া জাকির ( নির্বাহী সম্পাদক, জনতার খবর), আদিত্ব্য কামাল ( ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, জনতার খবর), জুনায়েদ হোসেন (জিটিভি ও দৈনিক ভোরের দর্পণ, আখাউড়া প্রতিনিধি), মেহেদী রহমান মোল্লা ( দৈনিক ইস্টার্ন মিডিয়া, স্টাফ রিপোর্টার), সজীব মিয়া( দৈনিক বিকাল বার্তা, বিশেষ প্রতিনিধি), এস.এম অলিউল্লাহ (দৈনিক স্বাধীন বাংলা, নবীনগর প্রতিনিধি), জমশেদ মিয়া (দৈনিক চিত্র, মোবাইল কোরেসপন্ডেন্ট) এবং খাইরুল ইসলাম সোহাগ( দৈনিক চিত্র, নাসিরনগর প্রতিনিধি)।এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা, সাহসিকতা ও জনস্বার্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতি নিপিড়ীত ও নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে। দল, মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা কাজ করে যাব। উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ইং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রথম কার্যনিবাহী কমিটি গঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মোঃ জুয়েল মিয়া সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজয়নগর থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একাইট্টা ১২ টি, বল্লম ৪০ টি, টেটা ৮ টি ও বাঁশের লাঠি ১৯০ টি সহ মোট ২৫০ টির অধিক দেশীয় অস্ত্র। রবিবার দিনব্যাপী উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের শিবির, লক্ষীপুর, লক্ষ্মীমোড়া, মনিপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে এইসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহমেদের নেতৃত্বে উক্ত থানার ওসি তদন্ত বিমল কর্মকার সহ চৌকস কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এই বিশেষ অভিযানে অংশগ্রহন করে। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। এবং তারা উদ্ধারকৃত এই ধরনের অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২৫০টিরও বেশি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তিনি আরো জানান, দাঙ্গা নির্মূলে এই অভিযান পুরো উপজেলা জুড়েই অব্যাহত থাকবে।