স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক — ভারত সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সে দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট জগত প্রকাশ নাড্ডা এবং জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ে’র সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হয়েছে।সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বিজেপি প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডার বাসভবনে তার সাথে বৈঠক করেন। বিজেপির আমন্ত্রণে সফররত দলের নেতৃবৃন্দ এরপর বিজেপি’র সদর দপ্তরে পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ে’র সাথে আলোচনায় মিলিত হন। আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকদ্বয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক নানা বিষয়ের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, জঙ্গিবাদ দমন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশেষ গুরুত্বসহ আলোচিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রঃবাসস
অনলাইনে ইসলাম ধর্মের অবমাননার দায়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। গত বছর দেশটিতে বিক্ষোভের পর থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে খবর ডয়চে ভেলের। ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার দায়ে ইউসেফ মেহরদাদ ও সাদরোল্লাহ ফাজেলি নামে দুই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ দেশটির বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট মিজান জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম ও নবি হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ ছিল বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তি একাধিক ধর্মবিরোধী অনলাইন প্লাটফর্ম পরিচালনা করছিলেন৷ এর মাধ্যমে তারা ইসলাম ধর্ম ও এর পবিত্র বিষয়গুলোকে অমর্যাদার পাশাপাশি নাস্তিকতার প্রচার চালাচ্ছিলেন বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তাদের একজন কনটেন্ট প্রচারের কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে এই ধরনের স্বীকারোক্তি সাধারণত জোরপূর্বক নেওয়া হয় বলে অভিযোগ অধিকার সংস্থাগুলোর শনিবার হাবিব চাব নামে সুইডিশ-ইরানিয়ান নাগরিকের ফাঁসি কার্যকর করেছে তেহরান৷ এই ঘটনাকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে সুইডেন। চীনের পরই ইরান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ৷ দুইটি অধিকার সংস্থার গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইরানের কর্তৃপক্ষ ৫৮২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। নরওয়ে ভিত্তিক ‘ইরান হিউম্যান রাইটস’ এবং প্যারিসভিত্তিক ‘টুগেদার অ্যাগেইনস্ট দ্য ডেথ পেনাল্টি’ এপ্রিলে জানিয়েছে, চলতি বছর ১৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।দৈনিক যুগান্তর থেকে নেওয়া।
ইউক্রেনের হামলায় ক্রিমিয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একজন রুশ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন। এই সেতু ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত করেছে। যার আংশিক রাশিয়ার দখলে রয়েছে। ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগকৃত গভর্ণর সার্গেই আকসিনভ টেলিগ্রামে বলেছেন, রাতে সেতুতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে অবস্থিত ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে।
সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে একটি শিয়া মাজারের কাছে বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। পবিত্র আশুরার ঠিক একদিন আগে এমন ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় শিয়া তীর্থস্থান সাইয়েদা জেইনাবের মাজার। বৃহস্পতিবার ওই মাজারের কাছাকাছি একটি ট্যাক্সিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাশের একটি মোটরসাইকেলও বিস্ফোরিত হয়।লন্ডনভিত্তিক তদারক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানি মিলিশিয়ারা যেখানে অবস্থান করছিল তার খুব কাছাকাছি বিস্ফোরণ হয়েছে।দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি ট্যাক্সিতের বোমা রেখেছিল বলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এটিকে ‘সন্ত্রাসী বোমা হামলা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।বার্তা সংস্থা এএফপি নিউজ এজেন্সিকে ইব্রাহিম (৩৯) নামের এক সরকারি কর্মচারী বলেন, আমরা হঠাৎ করে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এর পরপরই লোকজন ওই এলাকা থেকে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করেন। এরপর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স আসে ও নিরাপত্তারক্ষীরা চারদিক ঘিরে ফেলেন।ইব্রাহিম আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাতনি ও ইমাম আলীর কন্যা সাইদা জেইনাবের মাজার থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে একটি নিরাপত্তা ভবনের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে।সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল-ইখবারিয়া ও সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলোর শেয়ার করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরিত ট্যাক্সিটিকে ঘিরে রয়েছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ মানুষরা। আশেপাশের ভবনগুলোতে আশুরার সবুজ, লাল ও কালো রঙের পতাকা-ব্যানার টাঙানো।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন রক্ত ও ধুলোয় আচ্ছন্ন দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চাইছেন। আশেপাশের দোকানগুলোর কাচের দেওয়াল ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে ও একটি দোকানে আগুন লেগে গেছে।আশুরা হলো মহররম মাসের ১০ম দিন, যা শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাসগুলির মধ্যে একটি। সপ্তম শতাব্দীর এ দিনেই বর্তমান ইরাকের কারবালা যুদ্ধে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি ইমাম হুসাইন ও তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদাত বরণ করেন। আশুরায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন শোক মিছিল করে থাকেন।
সূত্র: আল জাজিরা
শুভজিৎ পুততুন্ড, কলকাতা
মালদার তার চাচোলের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি সিমরান পারভীন বলেন, ‘ওখানকার পরিস্থিতি, পরিবেশ এখনও ভয়াবহ। স্টুডেন্টদের জন্য ওখানকার লোকালিটির জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গেল। আমাদের সর্বভারতীয় স্তরে সব পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পানি নেই, খাবার নেই। এমন হয়েছে তিন দিন একটানা পানি আসেনি, যতটুকু ছিল তার মধ্যেই আমাদের থাকতে হয়েছে। শপিং মল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতো। পরিবেশের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে, আমরা নিজের চোখে দেখেছি কিভাবে গোটা পাহাড়ের জঙ্গল একসঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জানি না কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আবার কবে ফিরতে পারব। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি উৎকণ্ঠায় ছিলেন অভিভাবকরাও। আটকেপড়া ছাত্রী দিশারী বিশ্বাসের বাবা মৃদুল বিশ্বাস ও মা দোলা বিশ্বাস বলেন, দিনে ১৮ থেকে ২০ বার আমরা ফোনে যোগাযোগ করতাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আমলাদের ক্রমাগত ফোন করেছিলাম মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য। শুরুতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। তবে ভয় পেয়ে বসে থাকলে চলবে না, মেয়েকে মনে সাহস যুগিয়েছিলাম। এদিকে ফোনে মনে পড়ে আটকে থাকা কলকাতার চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনও দলাই লামা আর্মি ক্যাম্পে আটকে আছি। আমার মতো সাড়ে তিন হাজার মানুষ এখনও আটকে আছে। গতকাল থেকে বোমা-গুলির শব্দ শোনা না গেল বাইরে বেরনোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সব থেকে খারাপ অবস্থা রাজধানী ইম্ফলের। আর্মিও এসকর্ট করে আমাদের গাড়ি বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার রিস্ক নিতে চাইছে না।’
চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মেঘালয়, নাগাল্যান্ড রাজ্য তাদের লোকজনকে এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়ে গিয়েছে। কেরালা আজ তাদের সব লোককে বিশেষ উড়োজাহাজে করে নিয়ে যাবে। মিজোরাম ত্রিপুরার লোকজনকে গতকাল রাত থেকে ওদের রাজ্য সরকার উদ্ধার করছে। আমরা তামিলনাড়ু, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই এখনও মণিপুরীদের সঙ্গেই আটকে আছি। কলকাতা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু এখনও যোগাযোগ করতে পারিনি। মণিপুর রাজ্য সরকার এতটাই বিধ্বস্ত যে, ওদের পক্ষে সাহায্য করা আর সম্ভব নয়। গতকাল থেকেই খাবার-দাবারের সংকট শুরু হয়েছে। আমাদের সকালে খাবার দেওয়ার পর আর্মিদের থেকে বলে দেওয়া হলো দুপুরে কী খাবার দিতে পারব এখনও ঠিক নেই। এত মানুষের খাবার একসঙ্গে জোগাড় করা সত্যিই কঠিন। এতদিন ওরা টাউনে গিয়ে বন্ধ দোকানগুলোর শাটার ভেঙে যা খাবার পাচ্ছিল আমাদের জন্য নিয়ে আসছিল। এখন সেটুকুও জোগাড় করা যাচ্ছে না। ভারতের উত্তর-পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিদের তপশিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মর্যাদার দাবি ঘিরে গত বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দেয় মেইতেই, কুকি, নাগাসহ একাধিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। ১০ জেলায় ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ কর্মসূচির কারণে বিভিন্ন জায়গায় যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি, গাড়ি ও দোকান। মন্দির, গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও আসাম রাইফেলসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর পরেই মণিপুরের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যটির ৮টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্য প্রশাসন। গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় । একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশও জারি করেছে মণিপুরের বিজেপি সরকার। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। ভারতের সেনাবাহিনী বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আসামের দুটি এয়ারফিল্ড থেকে লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৭ গ্লোবমাস্টার এবং এএন৩২
সূত্র, সমকাল