স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বরকত উল্লাহর ছেলে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রাম থেকে মামুন (২৭) নামের ওই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামে অপরিচিত এক যুবকের অস্বাভাবিক ঘুরাফেরা সন্দেহ হলে স্থানীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে নবীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুব আলম জানান,খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রামের নদীর পাড় থেকে পিস্তলসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নবীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম স্বপনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার( ৪মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান এবং গুরুতর অসুস্থ শরীফুল হক স্বপনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।এর আগে বৃহস্পতিবার (৪মে) দুপুর ১টা ১০ ঘটিকার সময় কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগা বাড়ি মসজিদের উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর থেকে শরিফুল হক স্বপনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ (তিনলাখপীর) গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেন, কসবা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা শরীফুল হক স্বপন-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর শরীফুল হক স্বপন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুলিশী হেফাজতে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় রাজধানীর হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দেয়ার পর দেশকে একদলীয় দুঃশাসনের চরম অন্ধকারে নিপতিত করতে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন ও ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন-কে গ্রেফতার সেই জুলুমেরই ধারাবাহিকতা। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসনের প্রকোপ ক্রমশ: বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। ভোটারবিহীন সরকার আইনের সীমানার মধ্যে না থেকে চরম সীমালঙ্ঘন করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে পদদলিত করছে নিষ্ঠুর দমননীতি অবলম্বন করে। গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ বলেই দেশে মানবতা, সভ্যতার চিহ্নও ক্রমাগতভাবে মুছে যাচ্ছে। দেশে এখন চলছে আদিম অরণ্যের আইন। বিকৃত দুঃশাসনে জনজীবনে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজমান। দুঃশাসনের শৃঙ্খলভঙ্গের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ জনগণের ওপর সরকার পুলিশী শক্তিকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। এই কারণেই রাষ্ট্র ও সমাজে বিরাজমান রয়েছে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্যকর পরিবেশ। সরকারী মদদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন আইনানুযায়ী কাজ করতে পারছে না। মনে হয় তারা বিরোধী দল দমনে ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে। দেশে ভীতি ও শঙ্কা বিদ্যমান রাখার একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সরকারের অবৈধ ও স্বেচ্ছাচারী শাসন নিয়ে কেউ যেন মাথা উঁচু করে কথা বলতে সাহস না পায়। ”
গ্রেফতারের ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর এক বিবৃতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সাময়িক ভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন মহোদয় এর নির্দেশে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ লিয়াকত আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে শরিফুল হক স্বপনের দেহ তল্লাশি করে তার কোমরের পেছনের দিকে পরিহিত পাজামার বাঁধনের নিচে গোঁজা অবস্থায় ০১টি দেশীয় তৈরি কাঠের বাট যুক্ত পুরাতন ওয়ান শুটারগান, যাহার কাঠের বাট সহ লম্বা ১২ ইঞ্চি এবং লোডেড অবস্থায় ০১টি লাল রঙের কার্তুজ পাওয়া গেলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত একটি প্রাইভেট কার এবং ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সংক্রান্তে অজ্ঞাত পলাতক আসামি দুইজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। ইচ্ছেমতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বণ্টনের রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে দ্বিতীয় সভায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তাদের বলেন । এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশগ্রহণ ছিল ৮ সদস্যের। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে এক ইন্সপেক্টর ও ২ সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে মোট ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাকর ইতিহাস তেরি করেছি।এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এ সময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। যেহেতু আমাদের কথা বলতে দেবে না, আর ইতিপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরাদ্দে বণ্টনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছেমতো নেয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেরিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোনো কথা শুনতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন। আমরা এরও প্রতিবাদ করি। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন- আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যদের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এটিপ্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি।
নিউজ ডেস্ক : বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে সারাদিন ব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর রিসোর্টে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এম আর টেক্সটাইল সত্ত্বাধিকারী বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারী। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও জনতার খবর এর নির্বাহী সম্পাদক জাকারিয়া জাকির। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক অগ্রধাপ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ ফরিদ। বিশিষ্ট কবি নূর মোহাম্মদ হাজারী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিকুল ইসলাম তৌছির। রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব। জেলা জাতীয় পার্টির নেতা আনিস খাঁন। পিস ভিশন বাংলাদেশ এর সভাপতি এড. শেখ জাহাঙ্গীর। ফটো সাংবাদিক হারুনুর রশিদ। বিশিষ্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদুভাই। সান ফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা মো. তারেক। পৌর কমিউনিটি সেন্টারের পরিচালক বিল্লাল মিয়া ও নূরুল ইসলাম। সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন জীবন। হাদিজা আক্তার রিমা, সদর উপজেলা সভাপতি জাতীয় মাহিলা পার্টি। সাবেক পোষ্ট অফিস কর্মকর্তা হারেছা বেগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিপ্পানুরাগী মিজানুর রহমান। সাবেক নারী সংগঠক ও নারী নেত্রী রোকেয়া খাঁন। নারী সংগঠক তাসনিয়া কাইয়ূম জ্যোতি। মো. সুমন মিয়া। শামীম আহমেদ প্রমূখ।এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী জয়নাল আবেদীন। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী পীরজাদা শাহাজাদা। বিশিষ্ট বাউল শিল্পী কাকলী। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সাথী সরকার। বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী একা ও কন্ঠ শিল্পী তুলি। এবং সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী মোহাম্মদ হোসেন।যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন, বিশিষ্ট গিটারিষ্ট ও সারগাম মিউজিক স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী বিপু মন্সী। কিবোর্ডে সোহেল। অক্টোপ্যাডে রাহিম। তবলায় জাকির হোসেন রাজা। এবং জীপসীতে ছিলেন সামসুল আলম বাবু।
মুখাভিনয়ে ছিলেন, রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব।আনন্দ আয়োজনে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, মোস্তাক আহমেদ খোকন প্রধান উপদেষ্টা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক আনিস খাঁন। সহ-সভাপতি সামসুল আলম বাবু। সহ-সভাপতি জাকির হোসেন রাজা। সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল। নারী বিষয়ক সম্পাদক রোমানা আক্তার শ্যামলী। ক্রীড়া সম্পাদক সাথী সরকার।সহযোগীয়তায় ছিলেন, ব্রাদার্স লিঃ এর সত্ত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল।এবং বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র অন্যতম সদস্য নারী নেত্রী অনু পারভিন।
সার্বিক পরিচালনায় ও উপস্থাপনায় ছিলেন, আদিত্ব্য কামাল সম্পাদক জনতার খবর।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের বাড়ির ২য় তলার বারান্দার স্টিলের গ্রিল রড দিয়ে ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরাসহ দুই লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর বাড়িতে এই চুরি হয়। চোরের দল দোতলা ভবনের বারান্দার গ্রিল ভেঙে ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চুরির ঘটনাটি তাদের নজরে আসে। সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে দোতলার এক কক্ষের বারান্দার গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল প্রথমে তছনছ করে সংবাদপত্রের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি দামি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। এই রুমে কেউ ঘুমায় না।
সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, রাত দেড়টার পর কোন এক সময় আমার বাসার বারান্দার গ্রীল কেটে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং চার্জার এবং কিছু টাকা নিয়ে গেছে। চোরেরা ব্যাগ থেকে অন্যান্য কাগজপত্র রেখে ল্যাপটপটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। আমার সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটনানোর জন্য এ চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সভাপতি
মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, সাংবাদিকের কলমের সাথে না পেরে, কাপুরুষের মতো চোর-সন্ত্রাস পিছনে লেলিয়ে দেওয়া, সামনে না পেরে পিছন থেকে হামলা করার নীলনকশা যদি কেউ করে থাকে সেটা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম সাহসী ও প্রতিবাদী সাংবাদিক। যদি কেউ সাংবাদিকের কলম, মোবাইল, ল্যাপটপ,ক্যামেরা ও ডকুমেন্টে হাত দেয় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের কলিজায় হাত দিয়েছে বলে আমি মনে করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন গুরুত্বের সহিত চোরদের খোঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের শেল্টারদাতা ও নির্দেশদাতাদের নামসহ পরিচয় প্রকাশ করতে আহ্বান করছি। নতুবা জেলার সাংবাদিকরা অচিরেই আন্দোলনে যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি। ওসিকে আমি একদম কড়াভাবে বলে দিয়েছি যেকোনোমূল্যে হোক ক্যামেরা এবং ল্যাপটপ যেন উদ্ধার করে। চুরির পিছনে যদি অন্যকোনো কারণ থাকে, কোনো ইন্দনদাতা এবং অসৎ উদ্দেশ্য থাকে সব খুঁজে বের করতে বলেছি। পুলিশ কাজ করতেছে৷
শীত মানেই নানা রকম মুখরোচক খাবারের স্বাদ। আর এই মৌসুমকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎপাদিত হচ্ছে সুস্বাদু রসালো গুড় “লালী”।মহিষ দিয়ে চলছে আঁখ মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে যে রস মিলবে তা দিয়ে তৈরী হবে সুস্বাদু রসালো গুড়। যা লালী নামে পরিচিত। সুমিষ্ট এই লালী ছাড়া পিঠা, পুলির স্বাদ যেন অনেকটাই ফিঁকে ভোজন বিলাসীরদের জন্য।লালীগুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলা। শীত মৌসুমে উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার বিশেষ এই রসালো গুড় উৎপাদনে। আাঁখের রস চুলায় ৩/৪ ঘন্টা জ¦াল দিয়ে তৈরী করা হয় লালী গুড়। ১ কানি জমির আঁখ দিয়ে ১৭/১৮ মন লালী তৈরী হয়। মৌসুমী এই পেশার সাথে উপজেলার ১০/১২ জন উদ্যোক্তা জড়িত রয়েছে। আর তাদের সাথে কাজ করেন শতাধিক কৃষক। স্বাদে ও গুণে অনন্য হওয়ায় প্রতিদিন ভোজন বিলাসীরা ছুঁটে আসছেন লালীগুড় কিনতে। প্রতিকেজী লালী বিক্রী হচ্ছে ১৪০/১৫০ টাকা দরে। সে সাথে আঁখের রসের স্বাদ গ্রহন করতে ভীড় করছে ভ্রমন পিপাসুরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশপাশ জেলা ও উপজেলাতেও রয়েছে এর চাহিদা। এ পেশার সাথে জড়িতরা জানান, বাব-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই যুগ যুগ ধরে আমরা আখের লালি তৈরী করে আসছি। তবে দিন দিন আমাদের গ্রামে আখ চাষ কমে যাওয়ায় লালীর চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কারীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই আগের মত তেমন তৈরী করা যাচ্ছে না। তবে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বার্তি আয়ের জন্য বছরে ৪ মাস এই লালী তৈরীর কাজ করে থাকি। প্রতিদিন ৭০-৮০ লিটার লালী উৎপাদন করা হয়। আমাদের বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। এখান থেকেই পাইকার ও বিভিন্ন দূর দূরান্তের লোকজন কিনে নিয়ে যায়। প্রতি মৌসুমে তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হলেও এতে লাভ হয় দেড় লক্ষ টাকা।লালী কিনতে আসা কয়েক ক্রেতা বলেন, বাজারের লালীতে প্রায় সময়ই ভেজাল মেশানো থাকে। যা ক্ষতিকারক কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এখানকার লালী নির্ভেজাল এবং প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হয়। ফলে এর চাহিদা অনেক বেশি।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা আখ থেকে তৈরি লালির জন্য বিখ্যাত। অনেকটা সুস্বাদু ও নিরাপদ বিধায় জেলা ছাড়াও বাহিরে থেকে মানুষ এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়। কৃষকরা এখানে বেশির ভাগ স্থানীয় জাতের আবাদ করে যার ফলে আখের রসের পরিমান কম হয়। আমরা বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিউটের সাথে যোগাযোগ করেছি যাতে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য যেন কৃষকরা লাভবান হয়। আমরা আশা করছি আগামী বছর থেকে সে সহযোগিতা পাবো। সে থেকে রসের পরিমান বাড়বে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে। আমরা আশা করছি এবছর প্রায় ২ কোটি টাকার মত লালি বিক্রি হবে।