স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের নুর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরআলী-আইয়ুব গ্রুপের লোকজন মতি-জাফর গ্রুপের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাড়িতে মা কাজে ব্যস্ত থাকার সময় ওই দুই শিশু পুকুরপাড়ে খেলতে যায়। একপর্যায়ে তারা পানিতে পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মাটির নিচে পাওয়া গেছে ৬৮ রাউন্ড গুলি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভাঙার সময় এই গুলি গুলোর সন্ধ্যান পাওয়া যায়। নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ জানান, কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে৷ শুক্রবার সকালে ভবনটি ভাঙার সময় মাটির নিচে ৬৮ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এগুলো রাইফেলের গুলি। তবে এ গুলো দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় মরিচা পড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, এই স্কুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকতেন। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, এই গুলি গুলো সেই সময়ের।
আদিত্য কামাল
আগামী ৩ ও ৪ মার্চ, ১৮ ও ১৯ শে ফাল্গুন, শুক্রবার ও শনিবার সারা রাত ব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খাড়েরা ফাতেহিয়া দরবার শরীফে পীরে কামেল মুর্শিদে মোকাম্মেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ ফতেহ্ আলী পীর সাহেব (রহঃ) এর ৬৮ তম ঈদগাহের আউলিয়ার বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।ফুরফুরা ছিলছিলার ছতুরা দরবার শরীফের পীর কুদওয়াতুস ছালেহীন জুবদাতুল আরেফিন কুতুবুল এরশাদ পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সুফি প্রভেসার আব্দুল খালেক( রহঃ) এর প্রথম খলিফার মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন, আওলাদে ওলি হযরত মাওলানা পীরজাদা জাহিদ কুদ্দুস সাহেব (মাঃ জিঃ আঃ) ছতুরা দরবার শরীফ।সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন, পীরে ত্বরিকত আওলাদে অলী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা পীরজাদা আশেক হোসাইন সাহেব (মাঃ জিঃ আঃ) ছতুরা দরবার শরীফ।মাহফিলে আলোচনা করবেন, শাইখুল হাদিস আল্লামা ডক্টর উসমান গণী ছালেহী সাহেব দারুন নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা ঢাকা। আল্লামা পীর মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব তাহেরী সাহেব, ফয়েজীয়া দরবার শরীফ। হযরত মাওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক কুতুবী সাহেব। পীরজাদা মুফতি যোবায়ের আহমদ ফাতেহী বিন হোসাইনী সাহেব, টানমান্দাইল দরবার শরীফ।এছাড়াও আরো বহু উলামায়ে কেরাম পীর মাশায়েখ তাসরিফ আনিবেন।মাহফিল পরিচালনায় থাকছেন, পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ মোখলেছুর রহমান পীর সাহেব হুজুর কেবলা (মাঃ জিঃ আঃ) গদ্দিনীশিন অত্র দরবার শরীফ।আরজগুজার : পীরে ত্বরিকত আওলাদে ওলি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সুফি পীরজাদা মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল নোমান পীর সাহেব হুজুর কেবলা (মাঃ জিঃ আঃ) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ দা’ওয়াতুস সুন্নাহ সংগঠন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের
অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এরকম একটি খাত হল বীমা শিল্প, যা তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছিল। বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা বীমা খাতের অগ্রগতি ও বিবর্তনে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে। তার রূপান্তরমূলক উদ্যোগ এবং অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পকে গঠন ও অগ্রসর করার পথে অগ্রসর হন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সকল নাগরিকের জন্য অপরিহার্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা যখন বীমা শিল্পের উপর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রভাবের দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তার স্থায়ী উত্তরাধিকার এই অত্যাবশ্যক খাতকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার দূরদর্শী নীতিগুলি এর বিবর্তনের দিকনির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দৃষ্টি ছিল। তিনি সমাজের সকল স্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য বীমা পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নয় বরং সামাজিক কল্যাণের দিকেও মনোযোগী ছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান করা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সরকার ২৯টি পাকিস্তানি কোম্পানিকে তদারকি করার জন্য ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি The Banglades (Taking over of control and management industrial and commercial concern) Order,1972 নামে একটি অধ্যাদেশ জারী করে উক্ত অধ্যাদেশের ২(১) এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance ( Emergency Provision) Order,1972 জারি করা হয়। এ Act এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের বীমা আইন হিসাবে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটিকে মূলভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ নং(৯৫) অনুযায়ী দেশের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। উক্ত আদেশে দেশের ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (Insurance Corporation Ordinance 1973) মাধ্যমে উক্ত পাচঁটি বীমা সংস্থাকে দুটি সংস্থার অধীনে আনা হয়। একটি হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হলো সাধারন বীমা কর্পোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করে আসছে সরকার। কারণ ১৯৬০ সালের এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন। আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে। ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক।
শুরু থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং স্থায়ী। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং জনসচেতনতার প্রচার বীমা খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার উদ্যোগের উত্তরাধিকার জাতিকে উপকৃত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে নাগরিকদের বীমা পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। সালমান হোসাইন,ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।