স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘স্বপ্নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ সংগঠনের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংগঠক আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহিন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুরাতন জেলাখানা ১ নং পুলিশ ফাঁড়ি মাঠে সংগঠনের কার্ণধার অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জননী বলে খ্যাত কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় পঞ্চাশেক অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মোরগ পুলাও বিতরণ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুহিলপুর চাঁন্দের হাটি আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের করা হয়েছে।শুক্রবার (২৯ জুলাই) দিনব্যাপি পবিত্র কোরআন খতম মাধ্যমে আব্বাস আলী ফাউন্ডেশন কার্যক্রম শুরু হয়।অনুষ্টানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক এহসানুল হক রিপন, বিশিষ্ট মুরুব্বি উসমান গনীর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুহিলপুর ইউনিয়নের সুনামধন্য চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া। আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সুনামধন্য চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া এবং ১ম শ্রেনীর ঠিকাদার আবুল কাশেম ও উপদেষ্টা মন্ডলী গণ, উপদেষ্টা মো: উসমান গনি, মো: হামিদ মিয়া, মো: চাঁন মিয়া ( সাবেক ৩বারের মেম্বার), মো: আলহাজ্ব মো : হাবিবুর রহমান, মো: রৌসন সরদার, মো: আবদুর রহমান, মো: কাদির মিয়া, মো: লোকমান মিয়া প্রমুহ। আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের ১১ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভাপতি মো : উসমান ফারুক, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হাসিম, সাধারণ সম্পাদক মো ছাদির মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো : শফিক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এহসানুল হক রিপন। প্রচার সম্পাদক মো: সানু মিয়া ও সাহিন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক নিজাম মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো : সালাহ উদ্দিন।নানু মিয়া, মো: অলী মিয়া, জলিল মিয়া,আবদুল জব্বার সানু, আবদুর রহিম, আবদুল্লাহ, প্রমুহ।
মঙ্গলবার নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙ্গালী ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশকে বিনাশ করার জন্য ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার পরিবারে ১৭ জনকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারি খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে চায়নি, সেই একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদেরকে আমরা জীবিত পেতাম না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুজন খুনীর একজন যক্তরাষ্ট্রে, একজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারি কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয়না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণ কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, যড়যন্ত্রকারিরা কিন্ত বসে নেই। বিএনপি – জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারিরা রয়েছেন। তারা মিথ্যা বলেন। সত্যের কাছ দিয়ে হাটেন না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী তারা নিজেরা খুন করে অন্যের উপর দায় ছাপায়। তাই ষড়যন্ত্র কারিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল ও একেএম আতাউড় রহমান নাজিম, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, দর্শন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মাটির নিচে পাওয়া গেছে ৬৮ রাউন্ড গুলি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভাঙার সময় এই গুলি গুলোর সন্ধ্যান পাওয়া যায়। নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ জানান, কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে৷ শুক্রবার সকালে ভবনটি ভাঙার সময় মাটির নিচে ৬৮ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এগুলো রাইফেলের গুলি। তবে এ গুলো দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় মরিচা পড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, এই স্কুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকতেন। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, এই গুলি গুলো সেই সময়ের।
বিজয়নগরে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামির অভিযোগ পাওয়া যায় ।
মামলার বাদী:- উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের কামাল মোড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে আসমা আক্তার।
গত ৩১ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল আদালতে আসমা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আসামি, বিজয়নগর থানায় ধারা ৩৬(১) সারণীর ১০ (ক) ৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে, জিআর ১২৪/২৪ মামলার চিহ্নিত এজহারভুক্ত ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ী, তাহারা উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির ভারত সীমান্ত ঘেষা ধুরানাল গ্রামের আব্দুর রশিদ খন্দকারের ছেলে দুলাল খন্দকার ও মতিউর রহমান খন্দকারের ছেলে শফিউল আলম টিটু খন্দকার।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়,
এলাকায় ও থানায় চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী শফিউল ও দুলাল অত্যন্ত প্রভাবশালী এদের রয়েছে অডেল কালো টাকা, মাদক ব্যবসার সুবিধার্থে মামলার বাদির স্বামী মতিউর রহমানকে মাদক ব্যবসায় যুক্ত করতে শশুর বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে সে টাকায় মাদক ব্যবসায় শেয়ার হওয়ার জন্য কুপরামর্শ দেয়, এ বিষয়ে আসমা আক্তার জেনে যায়, যৌতুকের টাকায় মাদক ব্যবসা করার জন্য আসমা আক্তার অস্বীকৃতি জানায়, এরপরই শফিউল ও দুলালের প্রকাশ্য মদদে এদের সুখের সংসারে আগুন লাগে, শুরু হয় পারিবারিক কলহ, ঘটনার দিন ও সময়ে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় আসমার স্বামীর সহযোগে আসমাকে ৫ লক্ষ টাকা মাদক কারবারের শেয়ার হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে অস্বীকার করায় তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,
উক্ত বিষয়ে আসমা আক্তার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আদালতে পি৫৬/ ২৪ বিজনগর মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে এলাকার, ইকবাল মিয়া বিল্লাল মিয়া, সহ আরো অনেকের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি। এ হুমকি দেওয়ায় তাঁকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) এমপি ফরহাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ বা শোকজ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে হবে ফরহাদকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারি জজ ও অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোহাম্মদ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়,উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “চেয়ারম্যানের নাম মুছতে চান এমপি, হাত ভাঙার হুমকি আ.লীগ নেতার” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা এই কমিটির গোচরীভূত হয়েছে। উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনের ভাষ্যমতে, আপনি জনাব বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ২৪৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০১) বিগত ২২/১২/২০২৩ইং তারিখে রোজ শুক্রবার বিকালে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেছেন যার ফলে এই ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে প্রতিবেদককে জানান। আপনার উত্তরুপ প্রদত্ত বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৭(১) অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১১ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে অত্র কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে আগামী ২৫/১২/২০২৩ইং তারিখ বিকাল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হল।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন সেখানকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জান মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। গত শুক্রবার বিকেলে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। জনসভায় এমপি ফরহাদ হোসেন বক্তব্যে বলেন, “নাম বলতেও আমার লজ্জা লাগে। নিজেকেই আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে, আমি কি মানুষ এত কম চিনলাম। নাম ধরেই বলছি- নাসির (ইউপি চেয়ারম্যান) আপনাদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি খুব অবাক হয়ে গেছি। আগেরদিন আমার সঙ্গে সে মিছিল করেছে নৌকার। হঠাৎ কী হলো? এত কথা, কাজের অমিল। কিন্তু তুমি মনে রেখো, তুমি খালি কুণ্ডাবাসী নও, এই নাসিরনগর থেকে তোমার নাম মুছে যাবে। আমি আজকে বলে দিয়ে গেলাম। নড়চড় মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আমি তো তোমাকে ডাকিনি, তুমিই এসেছিলে। তুমি স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করছিলে ভালো কথা। আমি বলেছিলাম, তুমি কাজ করো। তোমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এর মানে এই নয় যে, তুমি নৌকায় উঠে নৌকার পিঠে ছুরি মারবা। তাহলে তুমি বোকার স্বর্গে বাস করছো।’