স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুকুরে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান রনি (৩৭) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান রনি ওই এলাকার আব্দুল মান্নান শাহর ছেলে। নিহত রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ছিলেন । রনির মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ অসংখ্য মানুষ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷ শুক্রবার সকাল ১১টায় নুরপুর গ্রামে স্কুল মাঠে তার যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মারা যাওয়া রনির শ্যালক হাসান মাহমুদ পারভেজ বলেন, আমার একমাত্র ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান রনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের খুঁটি পুঁতে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পারভেজ আরও বলেন, রনির ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। আগস্টে তার দেশে আসার কথা। ভাইয়ের সঙ্গে একমাস পর দুলাভাইয়েরও প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। আমার বোনটি একা হয়ে গেলো।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বিদেশি রিভলবার ও তিন রাউন্ড গুলিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মধ্যরাতে জেলা শহরের টি এ রোডে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার রগুরামপুর এলাকার আব্দুল কাদির (৬৬) এবং একই থানার নোয়াগাঁও এলাকার মো.কামাল উদ্দিন (৪২)।
র্যাবরে মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম বলেন, র্যাবের নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি করে রিভলবার ও তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, মাইক্রোবাসে থাকা দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা আগ্নেয়াস্ত্র হেফাজতে রাখার বিষয়ে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে গ্রেফতারকৃতদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর অন্যতম সদস্য ও দৈনিক পর্যবেক্ষণ এর জেলা প্রতিনিধি প্রয়াত সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিকের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর।কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনের উদ্যোগে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এদিন বিকালে আশিকের জন্মস্থান মনিপুরে তার কবর জিয়ারত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উপদেষ্টা সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, আশিক খুব অল্প সময়েই সাংবাদিকতায় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে খুব ভদ্র ও মানবিক ছেলে ছিল। রায়হান আশিককে হত্যা করেছে তার দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।এ বছরের ৯ জানুয়ারি রায়হান নামের এক সন্ত্রাসের ছুরিকাঘাতে আশিক নিহত হয়েছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আশিকুল ইসলাম আশিক দৈনিক পর্যবেক্ষণের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।১৯৯৫ সালে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিক।আশিকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সাংবাদিক, বাতিঘরের উপদেষ্টা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আদিত্য কামাল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের উদ্যোগে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলায় খান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর কার্যালয়ে এ কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।খান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর সত্ত্বাধিকারী সূফিগুরু শাহাজাদা খান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগে সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন। এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ। সাধু মিয়া সহ-সভাপতি পৌর আওয়ামীলীগ। মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির, সাধারণ সম্পাদক শহর সেচ্ছাসেবক লীগ।মো. কামাল মিয়া শহর আওয়ামীলীগ নেতা। মো. বিল্লাল মিয়া, পরিচালক পৌর কমিউনিটি সেন্টার। শরীফ আহমেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক পিস ভিশন বাংলাদেশ। উম্মে হানি সেতু, সহ-সভাপতি জেলা যুব মহিলা লীগ। তাহমিনা হক পান্না, সহ-সভাপতি জেলা যুব মহিলা লীগ। অনু পারভিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেলা যুব মহিলা লীগ। আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর। মো. মনির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। মোহাম্মদ হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী। মো. সোহেল খাঁন ইটালি প্রবাসী প্রমূখ।
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মদক্ষতায় জেলার পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ০৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান হয়।
২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান কালে ইউএনও কে বলেন, আপনার এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি সুফল ভোগ করব আমরা বিজয়নগরবাসী। আমরা দেখছি আপনি বিজয়নগর যোগদানের পর থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের গতি ফিরে আসছে। পাশাপাশি ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ভূমিকা, বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদস্যু বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, অবহেলিত মানুষের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কর্মগুনে চির দিন বিজয়নগরবাসী আপনাকে মনে রাখবে।
এসময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ, সহ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ, জিয়াউর রহমান, মোঃ সাইমন মিয়া, সদস্য সুজন মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন ।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের বাড়ির ২য় তলার বারান্দার স্টিলের গ্রিল রড দিয়ে ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরাসহ দুই লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর বাড়িতে এই চুরি হয়। চোরের দল দোতলা ভবনের বারান্দার গ্রিল ভেঙে ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চুরির ঘটনাটি তাদের নজরে আসে। সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে দোতলার এক কক্ষের বারান্দার গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল প্রথমে তছনছ করে সংবাদপত্রের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি দামি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। এই রুমে কেউ ঘুমায় না।
সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, রাত দেড়টার পর কোন এক সময় আমার বাসার বারান্দার গ্রীল কেটে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং চার্জার এবং কিছু টাকা নিয়ে গেছে। চোরেরা ব্যাগ থেকে অন্যান্য কাগজপত্র রেখে ল্যাপটপটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। আমার সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটনানোর জন্য এ চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সভাপতি
মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, সাংবাদিকের কলমের সাথে না পেরে, কাপুরুষের মতো চোর-সন্ত্রাস পিছনে লেলিয়ে দেওয়া, সামনে না পেরে পিছন থেকে হামলা করার নীলনকশা যদি কেউ করে থাকে সেটা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম সাহসী ও প্রতিবাদী সাংবাদিক। যদি কেউ সাংবাদিকের কলম, মোবাইল, ল্যাপটপ,ক্যামেরা ও ডকুমেন্টে হাত দেয় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের কলিজায় হাত দিয়েছে বলে আমি মনে করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন গুরুত্বের সহিত চোরদের খোঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের শেল্টারদাতা ও নির্দেশদাতাদের নামসহ পরিচয় প্রকাশ করতে আহ্বান করছি। নতুবা জেলার সাংবাদিকরা অচিরেই আন্দোলনে যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি। ওসিকে আমি একদম কড়াভাবে বলে দিয়েছি যেকোনোমূল্যে হোক ক্যামেরা এবং ল্যাপটপ যেন উদ্ধার করে। চুরির পিছনে যদি অন্যকোনো কারণ থাকে, কোনো ইন্দনদাতা এবং অসৎ উদ্দেশ্য থাকে সব খুঁজে বের করতে বলেছি। পুলিশ কাজ করতেছে৷