স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন কারাবন্দিরা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে ও হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ৬৯ জন কারাবন্দিকে নিয়ে একটি প্রিজনভ্যান জেলা কারাগার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ফটকে যায়। কারাবন্দিরা ভ্যান থেকে নামার সময় নানা অশালীন ভাষায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এসময় তাদের বেশ উগ্র আচরণ করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করান। হাজতেও তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে বুধবার (৮ফেব্রুয়ারি) জানা যায়, জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিন দিন ধরে বাদী ও বিবাদী নিজেরাই যুক্তি-পাল্টাযুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি করছেন। এর ভিত্তিতে আদেশও দিচ্ছেন ওই দুই আদালতের বিচারক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা দাবি পূরণ না হওয়ায়
ফের সব আদালত বর্জন শুরু করেছেন। । আগে থেকেই তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করে আসছিলেন। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত বুধবার ৬৩টি মামলার শুনানি ধার্য ছিল। কোনো আইনজীবী আদালতের এজলাসে উপস্থিত না থাকায় দুটি মামলার বিচারপ্রার্থীরা নিজেরাই শুনানি করেন। দুটি মামলাই উভয় পক্ষের সম্মতিতে সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
একটি হলো বাদী মদিনা বেগম তাঁর প্রতিবেশী খায়ের মিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানির যে মামলা করেছিলেন তা উঠিয়ে নেন। অন্যটি ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট সেতু আক্তার নামের এক নারী তাঁর স্বামী তারেকের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা উঠিয়ে নেন।
এর আগের দিন মঙ্গলবারও এ রকম কিছু মামলার শুনানি হয়েছে। সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার এনায়েত নারী নির্যাতন মামলার আসামি। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ ওই দিন তাঁর মামলার শুনানি হয়। এনায়েতের দুলাভাই হাবিবুর রহমান আদালতে শ্যালকের হয়ে শুনানি করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে এনায়েতকে জামিন দেন বিচারক
জামিন পেয়ে খুশি এনায়েত বলেন, ‘আগে জানতাম না উকিল (আইনজীবী) ছাড়া বিচারকের সঙ্গে কথা বলা যায়। আমি আর আমার দুলাভাইয়ের কথা শুনে স্যার (বিচারক) জামিন দেওয়ায় খুব খুশি হইছি। আমি ন্যায়বিচার পাইছি। এক টাকাও আলাদা কোনো খরচ লাগেনি।’
মঙ্গলবার ওই আদালতে তিনটি মামলার শুনানি হয়। দুটি মামলায় আসামিপক্ষকে জামিন এবং আরেকটি মামলায় আসামির প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রতিটি মামলায়ই বাদী ও বিবাদী পক্ষ নিজেরাই শুনানি করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার; নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ এবং জেলা জজের নাজির মুমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। একই দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে সব আদালত বর্জন করে আসছিলেন জেলা বারের আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালত বর্জন অব্যাহত রেখে বাকি সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন আইনজীবীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গতকাল থেকে আবার সব আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে রত্না বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর)দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।রত্না বেগম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মরম আলীর মেয়ে ও বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার স্ত্রী।পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩ মাস আগে রত্না বেগমকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে রত্নাকে যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার স্বামীর মার খেতে হয়েছে। দুদিন আগে ৪০ হাজার টাকার জন্য রত্নাকে ফোনে গালাগালি করে রমজান মিয়া,পরে রমজানের সঙ্গে অভিমান করে রত্না শোবার ঘরের সিলিংয়ে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার ( ১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কসবা উপজেলাধীন বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক নূরে আলম ভূঁইয়া। তিনি বিনাউটি ইউনিয়নের নেমতাবাদ গ্রামের ওসমান গনী ভূইয়ার ছেলে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, এমপি। মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী মো: আলাউদ্দিন বাবু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মন্ত্রী মহোদয় সার্বক্ষনিক তার খোঁজ রেখেছিলেন আর চিকিৎসার সার্বিক ব্যয়ভার বহন করেন। শোকবার্তায় আইনমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তার পরিবারের পাশে সবসময় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেষ্ঠ প্রতিবেদক-আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের চলমান আদালত বর্জন কর্মসূচি শিগগির তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সার্কিট হাউসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সমিতির নেতাদের বৈঠকের পর এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, সমিতির সাধারণ সভার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন উপস্থিতি ছিলেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঞা, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন ও মো. নাজমুল হোসেন, আইনজীবী মাহবুব আলম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল মিয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচার ও জামিনের বিষয়ে একমাত্র আদালত কথা বলতে পারবে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সব নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে, কৃষি মন্ত্রীর দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটা দলের অভিমত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপি যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চালাচ্ছিল, তখন বিচার বিভাগকে করাপ্ট করা হয়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সড়ক বাজার এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দশ বছরে কসবা-আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের ভালবাসায় আগামীতেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পরে তিনি আখাউড়ার কল্লা শহীদ মাজার জিয়ারত করেন।