স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের
অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এরকম একটি খাত হল বীমা শিল্প, যা তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছিল। বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা বীমা খাতের অগ্রগতি ও বিবর্তনে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে। তার রূপান্তরমূলক উদ্যোগ এবং অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পকে গঠন ও অগ্রসর করার পথে অগ্রসর হন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সকল নাগরিকের জন্য অপরিহার্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা যখন বীমা শিল্পের উপর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রভাবের দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তার স্থায়ী উত্তরাধিকার এই অত্যাবশ্যক খাতকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার দূরদর্শী নীতিগুলি এর বিবর্তনের দিকনির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দৃষ্টি ছিল। তিনি সমাজের সকল স্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য বীমা পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নয় বরং সামাজিক কল্যাণের দিকেও মনোযোগী ছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান করা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সরকার ২৯টি পাকিস্তানি কোম্পানিকে তদারকি করার জন্য ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি The Banglades (Taking over of control and management industrial and commercial concern) Order,1972 নামে একটি অধ্যাদেশ জারী করে উক্ত অধ্যাদেশের ২(১) এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance ( Emergency Provision) Order,1972 জারি করা হয়। এ Act এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের বীমা আইন হিসাবে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটিকে মূলভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ নং(৯৫) অনুযায়ী দেশের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। উক্ত আদেশে দেশের ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (Insurance Corporation Ordinance 1973) মাধ্যমে উক্ত পাচঁটি বীমা সংস্থাকে দুটি সংস্থার অধীনে আনা হয়। একটি হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হলো সাধারন বীমা কর্পোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করে আসছে সরকার। কারণ ১৯৬০ সালের এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন। আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে। ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক।
শুরু থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং স্থায়ী। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং জনসচেতনতার প্রচার বীমা খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার উদ্যোগের উত্তরাধিকার জাতিকে উপকৃত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে নাগরিকদের বীমা পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। সালমান হোসাইন,ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম মেড্ডার আরামবাগে অবস্থিত স্কুল প্রাঙ্গণে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সভাপতিত্বে ও আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নতুন মাত্রা’র সম্পাদক আল-আমিন শাহীন, জনতার খবর সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুনাহার, বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক সামসুল আলম বাবু, পিসভিশন সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খাঁন, কবি আজীজা সোপান, কবি গোলাম মোস্তফা, জেলা কিন্ডার গার্টেন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ফারহানা ববি, কবির কলম এর সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, সোনালি সকালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, সমন্বয়ক শাহআলম পালোয়ান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক মোহাম্মদ আবদুল বাতেন, কেক সুন্দরী আখি নূর, কণ্ঠ শিল্পী সাজ্জাদ হোসেন হেলাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবদুল্লাহ্ আল নাঈম, ভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভির সম্পাদক জানে আলম, প্রিয় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর রহমান নাহিদ, জননী কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পারভিন বেগম, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র এডমিন সোহাগ সরকার, শাহরিয়ার আহমেদ শুভ, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনে সভাপতি সৈয়দ রুম্মান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা ফিভা ও নুসরাত আক্তার।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা, সবশেষে কেক কেটে উপস্থিত সকালের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জুয়েল মিয়া
সরকারদলীয় প্রার্থীকে বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ( ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।এছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় একাধিক প্রার্থী তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এমপিরা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠলে ইসি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং নিয়ম অনুযায়ী কে কতটুকু সুবিধা পাবেন, তা-ও উল্লেখ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি উঠলে ইসি জানান, এখন থেকে আর আগের মতো প্রটোকলের বিষয়টি দেখা যাবে না। কিভাবে কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে আনিছুর বলেন, ‘ডানে-বাঁয়ে তাকানোর সময় নেই। কে কোন দলের সেটা আপনারা ভাববেন না। প্রিজাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যারা মাথায় নিয়ে রেখেছেন, সেটা মাথা থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। ভোটের আগে-পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
এ সময় বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাতে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করে। এসময় ছুরিকাঘাতে জনি মিয়ার পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পায়। এসময় আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। তারা ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, পায়ে ও পেটে ছুরির আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে জনির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য ও শহর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বশির আহমেদ ভূঁইয়া’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সুনামগঞ্জের জাবির হোসেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর (২০২৪ ইং) ৩৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ৭৪। এর মধ্যে বশির আহমেদ ৭ নম্বর আসামি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬/৩/২০২১ ইং সনে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেদ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ মোদির সফর বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হয়। উক্ত আন্দোলনের ফলে সৃজিত উত্তেজনা চট্রগ্রামে একটি মাদ্রাসায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আওয়ামীলীগ ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় গুলি করে ৪ জন মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করে। ফলে সারাদেশে মোদি বিরোধী আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬/৩/২০২১ ইং তারিখ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্র-শিক্ষক ধর্ম ভীরু তৌহিদী জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এর পরের দিন শনিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকে হরতালের সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধর্মভীরু তৌহিদী জনতা এবং মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি মিছিল নন্দনপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করিলে আওয়ামী ক্যাডাররা বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল, কাটা রাইফেল, চাইনিজ রাইফেল ইত্যাদি অস্ত্রাদি নিয়া ঘটনাস্থলে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। সন্ত্রাসীদের গুলি আমার ছেলে বাদল মিয়ার কোমড়ের ডানপাশ্বে লাগিয়া বামপাশে দিয়ে বের হয়। পরে আমার ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সদর হাসপাতালে তাহার মৃত্যুর সংবাদে উত্তেজনা সৃষ্টি হইলে প্রশাসনিক নির্দেশে এবং তাদের চাপে বিনা পোষ্টমর্টেমে আমার ছেলেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।