স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোরে ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে টিকিট কাটতে গেলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এসময় জুয়েল (২৪) নামের এক কালোবাজারিকে হাতেনাতে ধরেন তারা। একই সঙ্গে ফখরুল (৫০) নামের এক কাউন্টার ম্যানকেও আটক করা হয়।রোববার (৯ জুলাই) ভোর ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন ছদ্মবেশে ভোরে রেলস্টেশনে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন যে জুয়েল নামে এক যুবকের কাছে অনেক টিকিট রয়েছে। তারা জুয়েলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে টিকিট কিনতে চান। এ সময় জুয়েল ফোনে জানান যতগুলো লাগবে সব টিকিট ম্যানেজ করতে পারবে কিন্তু প্রতি টিকিটের মূল্য ২৫০ টাকা দিতে হবে।দরকষাকষির এক পর্যায়ে জুয়েল স্টেশন গেটের সামনে এসে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে বলেন। এমন সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন জুয়েল। এসময় হাতে লিখে ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ের সময় ফখরুল নামের এক কাউন্টারম্যানকে আটক করা হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আটক টিকিট কালোবাজারি জুয়েলকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিকিট কাউন্টার ম্যান ফখরুলকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামোড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
শনিবার বিকাল ৫টার সময় তার আপন ছোট দুই ভাই আক্তার হোসেন (৩৭) ও মুক্তার হোসেন (৩৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ছোট দুই ভাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে জাকির অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. তাবরুজ নাঈম সিয়াম যুগান্তরকে জানান, নিহত জাকির হোসেনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রাজু আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে ১০৭ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বিজিবি। সোমবার (১৩ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেজামুড়া দক্ষিণপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে থেকে অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ এবং মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়ক মোহাম্মদ ইউছুফ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহল দল বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। এসময় মাদক বহনকারী একটি ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। মাদক চোরাচালান রোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বরকত উল্লাহর ছেলে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রাম থেকে মামুন (২৭) নামের ওই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামে অপরিচিত এক যুবকের অস্বাভাবিক ঘুরাফেরা সন্দেহ হলে স্থানীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে নবীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুব আলম জানান,খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রামের নদীর পাড় থেকে পিস্তলসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নবীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সফিনূর ওরফে সফিক (৩০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুর রহমান ও ফয়জুর রহমান নামে দুই যুবক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক বাঘাউড়া গ্রামের হাফিজ মিয়ার ছেলে এবং তিনি শিবপুর বাজারের কাপড় বিক্রেতা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন আগে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের অলেক শা-এর ওরশে সফিকের ছোট ভাই রুবেলকে মারধর করেন বাঘাউড়া গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ছেলে ফয়জুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে রুবেলের বড় ভাই সফিক প্রতিপক্ষের ফয়জুর রহমানকে ওই ঘটনা জিজ্ঞেস করতে গেলে ফয়জুর ও তার বড় ভাই কসাই আবদুর রহমানসহ বাড়ির লোকজন সফিক এর ওপর হামলা চালায় এবং তাকে কুপিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে রুবেল ও তাদের পক্ষের লোকজন সেখানে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুর রহমান ও ফয়জুর আহত হন। তাদেরকে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা চলছে। এছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টায় সফিককে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং দুইজনকে আটকসহ সফিককে কুপিয়ে হত্যা করার রক্তমাখা ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।