স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় বুধবার দুপুরে জেলা সদরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখা ও অপরিস্কার-অরিচ্ছন্নতার দায়ে চারটি ক্লিনিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও কয়েকটি ক্লিনিককে সর্তক করা হয়।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ২২ বছরের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই তরুণী হলো শান্তা আক্তার। সে তার মা মাজেদা বেগমের নিজ বাড়ি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে বসবাস করতেন। তার পিতা ফারুক মিয়া জেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশহর এলাকার বাসিন্দা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শান্তার মা মাজেদা বেগম গত ৫ বছর আগে প্রতিবেশী নাসির মিয়ার সাথে পরকিয়ার প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। তারপর মাজেদা বেগম শান্তার পিতা ফারুক মিয়াকে ফেন্সিডিল দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে কিছুদিন পর ফারুক মিয়াকে তালাক দেয়। পরে প্রতিবেশী নাসির মিয়ার সাথে সংসার শুরু করেন। মায়ের এ অপকর্ম মেনে নিতে পারেনি বাক প্রতিবন্ধী শান্তা। এ নিয়ে প্রায় সময় প্রতিবাদ করতেন।এর জেরে গত সোমবার সন্ধায়ও নিহত শান্তকে শারিরীক নির্যাতন করা হয়। প্রতিবেশীরা আরও জানান মঙ্গলবার সকালে শিকল দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁচড়ে রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এর কিছু সময় পর প্রতিবেশীরা জানতে পারে শান্তা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় মোবারক মিয়া ওরফে কানাই মিয়া (৫০) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কানাই মিয়া সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্রাপাড়ার নিবু মিয়ার ছেলে।বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদার উল আলম জানান, রায় ঘোষণার সময় আদালতে কানাই মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কামাল ভুইয়া আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের বাসিন্দা। গত ২১অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া বাজারস্থ দক্ষিণ সিএনজি স্ট্যান্ড মসজিদ রোডের সামনে কামাল ভুইয়াকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযুক্তরা হলেন গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়া(৫২), আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), আনিছ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার, জাংগাল গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে নবীর হোসেন (২৮) ও সাইদুল মিয়া, মৃত জজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার( ৩৮), কমল মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া (৩৫), আনিছ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া ( ৩০) এবং গংগানগর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া( ২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন। এই ঘটনায় আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল ভুইয়া মোগড়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি গত ২০ অক্টোবর তার মেয়ের বাসা কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সেদিন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া কামাল ভুইয়ার মার্কেটের সামনে বালু রাখার জন্য বললে মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানদার লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে তা কামাল ভুইয়াকে অবগত করেন। পরে কামাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে বাবু মিয়াকে বালু রাখতে নিষেধ করেন। এতে বাবু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল ভুইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মোবাইল রেখে দেয়। মেয়ের বাসা কুমিল্লা থেকে ২১ অক্টোবর বাড়ীতে আসার পর সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে আসার পর আনিছ মিয়া ও তার ছেলে বাবু মিয়ার নেতৃত্বে কামাল ভুইয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী আছমা বলেন, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিঠে, ঘারে ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্বামীর প্যান্টের পকেট থেকে মাছ ব্যবসার এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবুর সাথে কামাল ভুইয়ার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু এলাকা থেকে লোকজন এনে মারামারি করেছে৷ কামাল ভুইয়ার অবস্থা মৃত্যুর মুখে,ঢাকায় ল্যাবএইডে আইসিইউতে আছে। আজ আইনমন্ত্রী মহোদয় হসপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ইনফর্ম করে দিয়েছে তার চিকিৎসা যাতে ভালো হয়। এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন,মামলা নিয়েছি। এযহার নামীয় দুজন আসামীকে এরেস্ট করা হয়েছে। অপর এযহার নামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। মামলার তদন্তকারী আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) মোঃ আবু ছালেক বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। যেদিন মারামারি হয়েছে সেদিনই নবীর হোসেন ও আনোয়ার নামে দুইজন এরেস্ট হয়েছে।’
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি। এ হুমকি দেওয়ায় তাঁকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) এমপি ফরহাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ বা শোকজ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে হবে ফরহাদকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারি জজ ও অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোহাম্মদ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়,উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “চেয়ারম্যানের নাম মুছতে চান এমপি, হাত ভাঙার হুমকি আ.লীগ নেতার” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা এই কমিটির গোচরীভূত হয়েছে। উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনের ভাষ্যমতে, আপনি জনাব বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ২৪৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০১) বিগত ২২/১২/২০২৩ইং তারিখে রোজ শুক্রবার বিকালে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেছেন যার ফলে এই ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে প্রতিবেদককে জানান। আপনার উত্তরুপ প্রদত্ত বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৭(১) অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১১ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে অত্র কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে আগামী ২৫/১২/২০২৩ইং তারিখ বিকাল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হল।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন সেখানকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জান মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। গত শুক্রবার বিকেলে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। জনসভায় এমপি ফরহাদ হোসেন বক্তব্যে বলেন, “নাম বলতেও আমার লজ্জা লাগে। নিজেকেই আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে, আমি কি মানুষ এত কম চিনলাম। নাম ধরেই বলছি- নাসির (ইউপি চেয়ারম্যান) আপনাদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি খুব অবাক হয়ে গেছি। আগেরদিন আমার সঙ্গে সে মিছিল করেছে নৌকার। হঠাৎ কী হলো? এত কথা, কাজের অমিল। কিন্তু তুমি মনে রেখো, তুমি খালি কুণ্ডাবাসী নও, এই নাসিরনগর থেকে তোমার নাম মুছে যাবে। আমি আজকে বলে দিয়ে গেলাম। নড়চড় মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আমি তো তোমাকে ডাকিনি, তুমিই এসেছিলে। তুমি স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করছিলে ভালো কথা। আমি বলেছিলাম, তুমি কাজ করো। তোমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এর মানে এই নয় যে, তুমি নৌকায় উঠে নৌকার পিঠে ছুরি মারবা। তাহলে তুমি বোকার স্বর্গে বাস করছো।’
তিনি আরো জানান, ছিনিয়ে নেয়া দুটি সোনার চেইনের ওজন পৌনে দুই ভরি। বিষয়টি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের জন্যে শহর ১নং ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।ছিনতাইকারীকে ধরতে এবং ছিনিয়ে নেয়া সোনার চেইন উদ্বার করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।