স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় এ উৎসব। ঈদুল আযহা কোরবানির ঈদ হিসেবেও পরিচিত। কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করাই মূলত ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের তাৎপর্য।কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রায় চার হাজার বছর আগে হজরত ইব্রাহিম (আ) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার জন্য মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পেয়েছিলেন। হজরত ইব্রাহিম (আ)-এর জীবনে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন তার পুত্র হজরত ইসমাইল (আ)। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য তিনি তার প্রিয়তম পুত্রকেই কোরবানি করার প্রস্তুতি নেন। তিনি পুত্রকে মহান আল্লাহর নির্দেশের কথা জানান এবং পুত্র সানন্দে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে সম্মত হন। পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। এ ঘটনার অন্তর্নিহিত বাণী স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের মধ্যেই ঈদুল আযহার এই আনন্দ নিহিত। তাই ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় ক্ষুদ্রতা ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।এরই সূত্র ধরে গোটা মুসলিম জাহানে আজও চলে আসছে কোরবানির এই ধারা। এর ভেতর দিয়ে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের দিকে অগ্রসর হয় মুসলিম জাতি।কোরবানি মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যাঁদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাঁদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব।পশু কোরবানির মাধ্যমে গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানি শুধু একটি আনন্দ-উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও দর্শন। ঈদুল আযহা আত্মত্যাগের প্রেরণায় উজ্জীবিত এক অনন্য আনন্দ উৎসব। যে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণ মূর্ত হয় মানুষের জীবনে, তার জন্য চরম ত্যাগ স্বীকারের এক প্রতীকী আচার এই কোরবানি।ঈদুল আযহার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিজের অহমিকা ও উচ্চাভিলাষ উৎসর্গ করা। পশু কোরবানির ভেতর দিয়ে মানুষের ভেতরে থাকা পশুশক্তি, কাম-ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই ত্যাগ করতে হয়। তাই শুধু পশু নয়, প্রয়োজন পশুত্বের কোরবানি। কোরবানিদাতা শুধু পশুর গলায় ছুরি চালান না, তিনি তাঁর সব কুপ্রবৃত্তির ওপরও ছুরি চালিয়ে তাকে নির্মূল করেন। এটাই হলো কোরবানির মূল শিক্ষা। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে এ অনুভূতি অবশ্যই প্রয়োজন।এমন একসময়ে ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে, যখন সমাজ ক্রমেই অস্থিরতা ও নিষ্ঠুরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই সংঘাত-সংঘর্ষের মনোবৃত্তি ত্যাগ করে মানুষে মানুষে সৌভ্রাতৃত্ব তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে ত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।রাজধানী’সহ সারা দেশে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ বন্যাপীড়িত। অনেক ঈদগাহ হয়তো পানির নিচে তলিয়ে আছে। ওই সব এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা স্মরণ করে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরির অঙ্গীকার করতে হবে।বিত্তবৈভবের প্রতিযোগিতা ও মহড়া না দেখিয়ে দুস্থ ও দুর্গত মানবতার পাশে দাঁড়ানো এ সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সেবার মানসিকতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে দুস্থ ও আর্তমানুষের পাশে।
নিউজ ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এবার স্কুলে এগুলো না পড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দেশের সব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয় দুটির ‘অনুশীলনী পাঠ’ ও ষষ্ঠ শ্রেণির ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তকগুলোর কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। ওই দুই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটিরও কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সংশোধনীগুলো শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।
তবে কী কারণে বই দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে এনসিটিবি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডন থেকে আজ ঢাকায় পৌঁছেছেন।প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) আজ বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী বিমানের প্রতিটি কোনায় ঘোরাফেরা করেন। তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন।প্রধানমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে বেশকিছু সময় কাটান। এই সময় কয়েকজনকে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং তাঁর সাথে সেলফি তোলেন। কয়েকজন নারী যাত্রীকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা গেছে।এর আগে বিমানটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে (লন্ডন সময়) যাত্রা করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবর্ধনায় যোগদেন এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজি’র সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপি’র নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) একটি প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন। সুত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। কখনও হালকা বৃষ্টি আবার ঝলমলে রোদ থাকবে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।আজ বুধবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।এছাড়া ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,ফেনী ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, খেপুপাড়া, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বগুড়ায় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ শুক্রবার কুতুবদিয়ায় সর্বনি২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।আজ ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে। সূত্রঃ বাসস
নিউজ ডেস্ক : ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোববার রাত ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৩৩ বছরের মধ্যে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম ঢাকা সফর। জানা গেছে, ম্যাক্রোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সোমবার সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই শেষে উভয় নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে থাকছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী কেথেরিন কলোন্না। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকারের আশা, ম্যাক্রোঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বিস্তৃত হবে ও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।
১৯৯০ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। মিত্রান্দের ওই সফরের পর থেকে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে ও ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ। ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশের প্রকৌশল, জ্বালানি, মহাকাশ ও পানিসহ বিভিন্ন খাতের সঙ্গে জড়িত।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভূমি ব্যবহারে প্রত্যেক উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা এসেছে, ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক উপজেলায় যেন মাস্টারপ্ল্যান থাকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে থেকে জানানো হয়েছে যে তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং এই লক্ষ্যে তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যেন এটি সম্পন্ন হয়। এটি থাকলে যেটি হবে তা হলো, এখন উন্নয়ন হচ্ছে, ভূমির ব্যবহারও খুবই যৌক্তিক হবে। যেখানে-সেখানে যেন ঘরবাড়ি, শিল্পকারখানা কিংবা অন্য কোনভাবে যেন ভূমির ব্যবহার না হয়, সেটির দিকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নজর রাখতে বলেছেন। এটি হয়ে গেলে ভূমির ক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা আসবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উপজেলা ভিত্তিক ভূমি ব্যবহারে মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এখন থেকে এই বিষয়ে কাজ করবে।মাহবুব হোসেন বলেন, সভায় ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষায় একটি বোর্ড গঠনের বিধান রেখে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, ‘তথ্য এখন সবচেয়ে বড় রিসোর্স। এই ডিজিটাল যুগে তথ্য ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কৌশলগত রিসোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। তথ্যটাই হলো এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। সেক্ষেত্রে যাতে তথ্য ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কিংবা একজন ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির গোপনীয়তা, ব্যক্তি স্বতন্ত্র এবং তার যে সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। সেই বোর্ড এই ব্যাপারগুলো দেখাশোনা করবে।’ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকবে এবং চারজন সদস্য থাকবে। অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মতই এই বোর্ড পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, ‘উপাত্ত যারা সংগ্রহ করবেন তাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নীতিমালা থাকবে, কিছু বিধি-বিধান থাকবে। বোর্ড বিধি-বিধান তৈরি করবে এবং সেই বিধি-বিধানের আলোকে সবার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং তথ্য বিতরণ করতে হবে। যারা তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করবেন, তাদের বোর্ডের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে। নিবন্ধনের ভিত্তিতে তারা এ কাজগুলো করতে পারবেন। সেই বিধান রেখে এই আইনটি করা হচ্ছে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এছাড়াও সভায় ‘ জয়িতা ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সূত্র বাসস