স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, গৌতম ভট্টাচার্য, হাবিবুর রহমান, পরিতোষ মন্ডল ও মো. এসকেন আলী খান। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, ৪টি মোবাইল, দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত খাকি রঙের ১টি খাম ও দুদকের একটি নোটিশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গৌতম ভট্টাচার্য দুদকের ডিজি মানি লন্ডারিং-এর পিএ হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। গ্রেফতার এসকেন আলী খান চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য, তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। অপর দু’জন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তারা বিভিন্ন প্রতারণার সাথে জড়িত বলে জানা যায়।শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের স্পেশাল অপারেশন টিম তাদের গ্রেফতার করে।শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, গত ২০ জুন সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকার ব্যবসায়ি আশিকুজ্জামানের উত্তরার বাসায় দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত খাকি রঙের খামে ১টি নোটিশ নিয়ে একজন অফিসার হাজির হয়। কার্পেটের ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণের চোরাচালান এবং মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ শুনে ভয় পেয়ে যান আশিকুজ্জামান। তখন দুদকের সে অফিসার আশিকুজ্জামানকে একটু সহানুভূতি দেখানোর ভান করে তাকে মোবাইল বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ডিবি, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক এবং এনএসআই দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে খুঁজছে বলেও ভয় দেখানো হয়। দুদকেও তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, এরপর চক্রটি ভুক্তভোগীকে মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে মতিঝিলের একটি হোটেলে আসতে বলে। এ বিষয়ে আগে থেকে গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছিল গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। পরে দাবি করা টাকা নিতে হোটেলে আসলে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি স্পেশাল অপারেশন টিম।
তিনি বলেন, মূলহোতা গৌতম ভট্টাচার্য কর্ম সূত্রেই জানে কিভাবে মানুষকে দুর্নীতি সংক্রান্ত নোটিশ পাঠাতে হয়। কিভাবে তাদের কাছ থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক ব্যাখ্যা নেয়া হয় এবং কিভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সে তার দুষ্কর্মের সহযোগীদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও চাকুরীজীবীকে টার্গেট করতো। তাদের ব্যক্তিগত নানা তথ্য সংগ্রহ করে দুদকের চিঠির খামে, প্যাড ও ফরমেট ব্যবহার করে অভিযোগের নোটিশ পাঠাতো। পরবর্তীতে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দান ও সমঝোতার নামে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিত চক্রটি।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রঃ ঢাকা, বাসস
জুয়েল মিয়া
যারা সংবিধান মানে না তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা অনেক কিছুই বলবে। আমরা সংবিধান মেনে চলি। সংবিধান অনুযায়ি হবে নির্বাচন। আর যারা সংবিধান মানে না তারা বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করা আমার মনে হয় ঠিক না। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমাদেরকে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ি আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আনিসুল হক আরও বলেন, বিএনপি নেতারা অনেক কথা বলতে পারে। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তার কারণ হচ্ছে, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধান দিয়েছেন। আমরা সেই সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল মো. ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম,আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল ,আখাউড়া উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বগ শাপলু,সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমূখ।এর আগে মন্ত্রী মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে আখাউড়ায় আসেন। আজ দিনভর তিনি কসবা-আখাউড়ায় পূর্ব নির্ধারিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
শুক্রবার বিকালে পরিবারসহ তিনি দূতাবাসে যান। এর আগে ডিএজি এমরানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হাজির হয়েছি। বন্ধের দিন হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতরে যেতে দেননি। মূল ফটকের পাশে একটি কক্ষে আমাদের বসিয়েছেন।
এরপর বিকাল পাঁচটার দিকে আবারও ফোন দিলে এমরান জানান, এখনো তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।
পরিবারকে নিয়ে এমরান নিরাপত্তা চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যাওয়ার বিষয়টি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘এই জন্যই তো নাটক সাজিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়, বিষয়টি আমি দেখছি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ। শুক্রবার সকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২–এর ৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগ আদেশ জনস্বার্থে বাতিলক্রমে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এ বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।
শতাধিক নোবেলজয়ীর ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে- এমন দাবি করে এমরান আহম্মদ বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।
এর পরদিন মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি।
ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতির কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অন্য কোনো পক্ষকে খুশি করার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এটা বলেছেন। নিশ্চয়ই এখানে তার কোনো উদ্দেশ্য ছিল।
এরপর বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ওই প্রজ্ঞাপনে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশনা আসে।
জুয়েল মিয়া
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। সোমবার(২৪জুলাই) দুপুরে প্রকল্প পরিদর্শনে এসে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘প্রকল্পটি আমাদের দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ করবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, ’আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের কাজের গতিবিধি কেমন চলছে দেখার জন্য। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করণীয়, এই পরিদর্শনে সহজে বুঝতে পারব। সামনের দিনগুলোতে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে।’ তিনি আরও বলেন, ’আমি খুবই খুশি, এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করেছেন; যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।’ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর হয়ে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছান। এ সময় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ আজ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনের সময় তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আবার এখানে এসেছি। তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।তিনি বলেন, তিনি দেশের সাংবাদিকদের উন্নয়নের জন্য বিজেডব্লিউটি গঠন করার সময় একটি প্রথমিক তহবিল দিয়েছিলেন।
অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিজেডব্লিউটি-কে অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও খুব কম লোকই তা দিয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কারা এই অর্থ দিয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল দিয়ে এই ট্রাস্ট ফান্ড চালু করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি এই তহবিলে আরও অনুদান দেন।বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতি-২০১২’ এবং ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি।তিনি বলেন, এ আইনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩,৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে কল্যাণ অনুদান হিসাবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়াও, কোভিড-১৯ এর সময়ের প্রথম পর্যায়ে, বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৩৫০ জন সাংবাদিকদের মধ্যে ৩.৩৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকার করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৬,৭২৭ জন সাংবাদিককে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তায় ১০,০০০ টাকা পেয়েছেন। সূত্রঃ বাসস