স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, গৌতম ভট্টাচার্য, হাবিবুর রহমান, পরিতোষ মন্ডল ও মো. এসকেন আলী খান। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, ৪টি মোবাইল, দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত খাকি রঙের ১টি খাম ও দুদকের একটি নোটিশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গৌতম ভট্টাচার্য দুদকের ডিজি মানি লন্ডারিং-এর পিএ হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। গ্রেফতার এসকেন আলী খান চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য, তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। অপর দু’জন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তারা বিভিন্ন প্রতারণার সাথে জড়িত বলে জানা যায়।শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের স্পেশাল অপারেশন টিম তাদের গ্রেফতার করে।শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, গত ২০ জুন সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকার ব্যবসায়ি আশিকুজ্জামানের উত্তরার বাসায় দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত খাকি রঙের খামে ১টি নোটিশ নিয়ে একজন অফিসার হাজির হয়। কার্পেটের ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণের চোরাচালান এবং মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ শুনে ভয় পেয়ে যান আশিকুজ্জামান। তখন দুদকের সে অফিসার আশিকুজ্জামানকে একটু সহানুভূতি দেখানোর ভান করে তাকে মোবাইল বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ডিবি, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক এবং এনএসআই দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে খুঁজছে বলেও ভয় দেখানো হয়। দুদকেও তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, এরপর চক্রটি ভুক্তভোগীকে মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে মতিঝিলের একটি হোটেলে আসতে বলে। এ বিষয়ে আগে থেকে গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছিল গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। পরে দাবি করা টাকা নিতে হোটেলে আসলে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি স্পেশাল অপারেশন টিম।
তিনি বলেন, মূলহোতা গৌতম ভট্টাচার্য কর্ম সূত্রেই জানে কিভাবে মানুষকে দুর্নীতি সংক্রান্ত নোটিশ পাঠাতে হয়। কিভাবে তাদের কাছ থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক ব্যাখ্যা নেয়া হয় এবং কিভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সে তার দুষ্কর্মের সহযোগীদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও চাকুরীজীবীকে টার্গেট করতো। তাদের ব্যক্তিগত নানা তথ্য সংগ্রহ করে দুদকের চিঠির খামে, প্যাড ও ফরমেট ব্যবহার করে অভিযোগের নোটিশ পাঠাতো। পরবর্তীতে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দান ও সমঝোতার নামে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিত চক্রটি।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রঃ ঢাকা, বাসস
পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় এ উৎসব। ঈদুল আযহা কোরবানির ঈদ হিসেবেও পরিচিত। কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করাই মূলত ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের তাৎপর্য।কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রায় চার হাজার বছর আগে হজরত ইব্রাহিম (আ) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার জন্য মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পেয়েছিলেন। হজরত ইব্রাহিম (আ)-এর জীবনে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন তার পুত্র হজরত ইসমাইল (আ)। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য তিনি তার প্রিয়তম পুত্রকেই কোরবানি করার প্রস্তুতি নেন। তিনি পুত্রকে মহান আল্লাহর নির্দেশের কথা জানান এবং পুত্র সানন্দে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে সম্মত হন। পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। এ ঘটনার অন্তর্নিহিত বাণী স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের মধ্যেই ঈদুল আযহার এই আনন্দ নিহিত। তাই ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় ক্ষুদ্রতা ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।এরই সূত্র ধরে গোটা মুসলিম জাহানে আজও চলে আসছে কোরবানির এই ধারা। এর ভেতর দিয়ে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের দিকে অগ্রসর হয় মুসলিম জাতি।কোরবানি মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যাঁদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাঁদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব।পশু কোরবানির মাধ্যমে গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানি শুধু একটি আনন্দ-উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও দর্শন। ঈদুল আযহা আত্মত্যাগের প্রেরণায় উজ্জীবিত এক অনন্য আনন্দ উৎসব। যে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণ মূর্ত হয় মানুষের জীবনে, তার জন্য চরম ত্যাগ স্বীকারের এক প্রতীকী আচার এই কোরবানি।ঈদুল আযহার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিজের অহমিকা ও উচ্চাভিলাষ উৎসর্গ করা। পশু কোরবানির ভেতর দিয়ে মানুষের ভেতরে থাকা পশুশক্তি, কাম-ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই ত্যাগ করতে হয়। তাই শুধু পশু নয়, প্রয়োজন পশুত্বের কোরবানি। কোরবানিদাতা শুধু পশুর গলায় ছুরি চালান না, তিনি তাঁর সব কুপ্রবৃত্তির ওপরও ছুরি চালিয়ে তাকে নির্মূল করেন। এটাই হলো কোরবানির মূল শিক্ষা। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে এ অনুভূতি অবশ্যই প্রয়োজন।এমন একসময়ে ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে, যখন সমাজ ক্রমেই অস্থিরতা ও নিষ্ঠুরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই সংঘাত-সংঘর্ষের মনোবৃত্তি ত্যাগ করে মানুষে মানুষে সৌভ্রাতৃত্ব তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে ত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।রাজধানী’সহ সারা দেশে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ বন্যাপীড়িত। অনেক ঈদগাহ হয়তো পানির নিচে তলিয়ে আছে। ওই সব এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা স্মরণ করে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরির অঙ্গীকার করতে হবে।বিত্তবৈভবের প্রতিযোগিতা ও মহড়া না দেখিয়ে দুস্থ ও দুর্গত মানবতার পাশে দাঁড়ানো এ সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সেবার মানসিকতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে দুস্থ ও আর্তমানুষের পাশে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ আজ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনের সময় তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আবার এখানে এসেছি। তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।তিনি বলেন, তিনি দেশের সাংবাদিকদের উন্নয়নের জন্য বিজেডব্লিউটি গঠন করার সময় একটি প্রথমিক তহবিল দিয়েছিলেন।
অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিজেডব্লিউটি-কে অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও খুব কম লোকই তা দিয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কারা এই অর্থ দিয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল দিয়ে এই ট্রাস্ট ফান্ড চালু করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি এই তহবিলে আরও অনুদান দেন।বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতি-২০১২’ এবং ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি।তিনি বলেন, এ আইনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩,৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে কল্যাণ অনুদান হিসাবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়াও, কোভিড-১৯ এর সময়ের প্রথম পর্যায়ে, বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৩৫০ জন সাংবাদিকদের মধ্যে ৩.৩৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকার করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৬,৭২৭ জন সাংবাদিককে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তায় ১০,০০০ টাকা পেয়েছেন। সূত্রঃ বাসস
প্রতিবেদনে সম্ভাবনাময় খাত হিসাবে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলা হয়েছে।
মূলত চীনের বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন দেশগুলো আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে, তার সম্ভাবনার আলোকে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। চীনের বহুল আলোচিত অঞ্চল ও পথ উদ্যোগ দ্বিতীয় দশকে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এই প্রতিবেদন দিয়েছে ইআইইউ।
বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে কোন দেশগুলো চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারে, তাদের নিয়ে একটি ক্রমতালিকা করেছে ইআইইউ। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১৩ সালের একই ক্রমতালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫২তম।
এই ক্রমতালিকার উপবিভাগ বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিসর, ভারত ও তানজানিয়া।
সরবরাহব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগে কোন দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে সেই তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর; এরপর আছে যথাক্রমে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও মিসর। তবে আরেকটি উপসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। সেটা হলো যেসব দেশের সুযোগ বেশি যদিও ঝুঁকি কম।