স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আনন্দ মিছিলে পদবঞ্চিতরা হামলা করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ ও পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।পুলিশ ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে অনেকটা আকস্মিকভাবে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরীর অনুসারীরা ও পদবঞ্চিতরা কমিটি মেনে নিতে পারেননি। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্র ও শনিবার এ ঘটনায় নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক ভিপি শামিমসহ কয়েকজন নেতার বাড়িতে পদবঞ্চিতরা হামলা ও ভাঙচুর চালান।সোমবার লোকনাথ ট্যাংক এলাকায় দুই গ্রুপ আলাদা কর্মসূচির ডাক দেয়। এতে কোনো পক্ষই পুলিশের অনুমতি পায়নি। তাই নতুন আহ্বায়ক কমিটি স্থান পরিবর্তন করে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আনন্দ মিছিল করার জন্য বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে সদ্য সাবেক কমিটির আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরী ও পদবঞ্চিতরা একই স্থানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল ও লাঠিপেটা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছে। শহরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে গত দুই দিনে ছাত্রদলের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আজকের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন,মূলত বেকারত্বের হাত ধরেই আমাদের যুবশক্তি হতাশা এবং নিরাশায় ডুবে যাচ্ছে। যুবকদের উদ্যোগী করে তুলতে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অতীতের অর্জন নিয়ে কথা বলছি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু বর্তমানের দুঃস্বপ্ন দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, অপসংস্কৃতির ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের আক্রমণ, সেখানে দাঁড়িয়ে বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলতে পারিনা। বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও সেই অঙ্কে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক। সেখানে কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই না। কারণ বেসরকারী খাতে যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়না।
শনিবার (৩জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। তবে তরুণদের স্মার্টভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ কি করে সম্ভব। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট প্রশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে তরুণ সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে হবে। কেবল বাজেটে নয়, সামগ্রিক ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। এতে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এডঃ মোঃ নাসিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, যুব মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর ওয়ার্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমূখ।
এতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাইদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সিরাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য দ্রত সরকারকে পদত্যাগ আহবান জানান।
জুয়েল মিয়া, বিশেষ প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই কৃষক আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা।আহতরা হলেন, ধজনগর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে আজম আলী ভূইয়া (৫৫) এবং একই গ্রামের মৃত লোকমান ভূইয়ার ছেলে ইকবাল ভূইয়া (৪৫)। স্থানীয়রা জানান, সকালে কৃষক আজম আলী ও ইকবাল সীমান্তবর্তী জমিতে গরু চড়াতে যান। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। স্থানীয় লোকজন তাদের দ্রত উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। বর্তমানে দুইজন শংকা মুক্ত রয়েছে। সুলতানপুর ৬০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ বলেন, সকালে ওই দুই কৃষক ধজনগর সীমান্তের সীমা রেখার পাশে গরু চড়াছিলেন। এ সময় আচমকা বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ছিটা গুলি নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা আহত হন। ঘটনাটির পরপর বিষয়টি বিএসএফ’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিকেলে এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোরপূর্বক জমি দখল এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাতের অন্ধকারে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত রফিউদ্দিন খার ছেলে জহিরুল হক এই অভিযোগ করেন৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বুধবার ( ৩১মে) ডিবি অভিযোগের তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১মে সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় জহিরুল হক বাড়ী থেকে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে পৌঁছালে মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবু জামালের ছেলে মজিব (৫৫),মজিবের ছেলে সোহাগ( ২২) এবং ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২জন লোক জহিরুলের উপর হামলা করে। তারা আগে থেকে উৎপেতে ছিল৷ হামলাকারীরা গরু জবাই করার ছুরি জহিরুলের গলা বরাবর ধরে রাখে এবং গামছা দিয়ে মুখ বেধে ফেলে। জহিরুলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এর আগে ২০১৬ইং সালে মজিবের ছেলেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রবাসে নেয় জহিরুল। মাত্র ২ লক্ষ টাকা জহিরুল কে দিয়েছিল মজিব। বাকী দশ লক্ষ টাকা দেম দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করে এখনো ফেরত দেয়নি। এছাড়া জহিরুলের মালিকানাধীন ৪১ শতক নাল ভূমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে মজিব৷ অভিযোগকারী জহিরুল বলেন, মোবাইলে-প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিচ্ছে জমিটা তাকে( মজিবকে) দলিল করে দিয়ে দিতাম। তা না হলে গুম করে হলেও জমিটা আমার কাছ থেকে দলিল করে নিবে৷ মজিবের ছেলেকে প্রবাসে নিয়ে যাওয়া উপলক্ষে পাওনা ১০লাখ টাকা এখনো ফেরত দেয়নি। এবিষয়ে অভিযুক্ত মজিব বলেন, সাত বছর আগে আমি জমিটা ভরাট করে বাড়ি বানাইছি। আমার নামে বিদুৎ এর খুঁটি আনছি, মিটারও আনছি। এখানে আমার ঘর আছে, বাড়ি আছে। সে বলতেছে আমার ছেলের কাছে দশ লাখ টাকা পাবে৷ যদি টাকা পাওনা থাকে আমি দিমু। তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিছি এবং মাটি ভরাট করতে লাগছে ৭লাখ ৮০হাজার। দলিল করে দেয়নি, তার সাথে ২০বছর ধরে চলাফেরা। পাঁচ লাখ টাকার যায়গা স্ট্যাম্প করতে হবে? অভিযোগের তদন্তকারী এসআই সোলায়মান এই বিষয়ে বলেন, কালকে গেছিলাম আমি। তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে মজিব মেম্বার যে রাতের বেলায় জহিরুলকে আটকাইছে এইটুকুর সত্যতা পাওয়া গেছে। মজিব মেম্বার ৪১ শতক জমি জহিরুলের কাছ থেকে ক্রয়ের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। রবিবারে দুইপক্ষের স্বাক্ষীপ্রমাণসহ আমার এখানে আসার জন্য ডাকাইছি।