স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট নবনির্মিত সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার নবনির্মিত ভবনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের এমপি এবাদুল করিম বুলবুল। এসময় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট করার ঘোষণা করেন এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পুনরায় আওয়ামী সরকার ও নবীনগর থেকে এবাদুল করিম বুলবুলের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৯ শয্যা বিশিষ্ট ভবনটি ২০১৪ সালে উদ্বোধন হলেও ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবনটি ছিল জরাজীর্ণ। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ডাক্তার ও নার্সরা। এছাড়া পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ভবন ঝুঁকিতে থাকায় বেশির ভাগ রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এসব জটিলতা নিরসনে নবীনগরের বর্তমান এমপি এবাদুল করিম বুলবুল ২০১৯ সালে ৩১ শয্যার ৩তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে ওই সালের শেষের দিকে সরকারি অর্থায়নে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে তা শেষ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. শাহ আলম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির,ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগী ও তার স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮এপ্রিল রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ সফিউল্লাহ আরাফাত কর্তব্যরত অবস্থায় রোগী ও স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহার করে হুমকি দেন। পাশাপাশি চিকিৎসায় কালক্ষেপন করেন। এই ঘটনার পর রোগীর স্বজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের পূর্ব পাইকপাড়ার রহিছ মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল রানা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এর নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগকারী মোঃ জুয়েল রানা বলেন, গত ১৮এপ্রিল আমার নিকট আত্মীয় আরাফাত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। সে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির গঙ্গাসাগর এলাকার মৃত হুমায়ূন আহমেদের ছেলে। মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় আখাউড়া কর্নেল বাজার নামক স্থানে অপর মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাফিক আইন না মেনে দ্রুত বেগে মোটরসাইকেল চালানোর কারনে সড়ক দূর্ঘটনায় ডান পায়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয় সে। ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। পরে ইমার্জেন্সী থেকে বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকিট সংগ্রহ করে ডাঃ মোহাম্মদ সফিউল্লাহ আরাফাত কে দেখানোর পর উক্ত টিকিটের মধ্যে পুলিশ কেইস সীলমোহর না থাকার কারনে আমরা আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবনা বুঝতে পেরে পুনরায় টিকিট কাউন্টারে গেলে কর্তব্যরত কাউন্টারের ব্যক্তি (মহিলা) জানান যে, পুনরায় একখানা টিকিট নিতে হবে। তার কথামত আমরা কাউন্টার থেকে পুনরায় পুলিশ কেইস সীলমোহর যুক্ত একখানা টিকিট গ্রহণ করে সাথে সাথে অভিযুক্ত ডাক্তারের নিকট গিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলি। রোগীর সাথে আগত ব্যক্তির জানা না থাকার কারণে সে পুলিশ কেইস সীলমোহর যুক্ত টিকিট নিতে পারে নাই। তাই পুনরায় যে পুলিশ কেইস সীলমোহর যুক্ত টিকিট নিয়েছি উহাতে যেন উনি ঔষধ লিখে দেয়। কিন্তু উনি চরমভাবে আমাদেরকে অশালীন ভাষায় কথা বলে অপমান অপদস্থ করে এবং উনি ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পোলা’ মর্মে দেখে নিবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করে। আমাদের টিকিটগুলো আটক রেখে উনার রুম থেকে বাহির করে দেন। আমাদেরকে পুলিশে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করেন। উনি আমাদের টিকিট গুলো আটক রাখার কারনে রোগীর ঐ সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এই ঘটনার বিচার চেয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। এবিষয়ে অভিযুক্ত ডাঃ মোহাম্মদ সফিউল্লাহ আরাফাত বলেন, তদন্ত অবস্থায় কোনো বক্তব্য দেওয়া নিষেধ। তদন্ত শেষ হলে আপনারা জানতে পারবেন। এখনও আমাকে ডাকেনি। অফিস থেকে এতটুকু জানিয়েছে আমাকে যেকোনো সময় ডাকা হবে। তদন্ত কমিটির হাতে সব। তদন্ত কমিটি আমাকে এবং অভিযোগকারীকে ডাকবে, আমাদের বক্তব্য শুনবে। তারপর তারা প্রতিবেদন তৈরি করবে। এবিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।