ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও হুমকির অভিযোগ

Dainikpatrika স্বাস্থ্য, 15 May 2023, 314 Views,

জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের  এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগী ও তার স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮এপ্রিল রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ সফিউল্লাহ আরাফাত কর্তব্যরত অবস্থায় রোগী ও স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহার করে হুমকি দেন। পাশাপাশি চিকিৎসায় কালক্ষেপন করেন। এই ঘটনার পর রোগীর স্বজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের পূর্ব পাইকপাড়ার রহিছ মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল রানা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এর  নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগকারী মোঃ জুয়েল রানা বলেন, গত ১৮এপ্রিল আমার নিকট আত্মীয় আরাফাত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। সে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির গঙ্গাসাগর এলাকার মৃত হুমায়ূন আহমেদের ছেলে। মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় আখাউড়া কর্নেল বাজার নামক স্থানে অপর মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাফিক আইন না মেনে দ্রুত বেগে মোটরসাইকেল চালানোর কারনে সড়ক দূর্ঘটনায় ডান পায়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয় সে। ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। পরে ইমার্জেন্সী থেকে বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকিট সংগ্রহ করে ডাঃ মোহাম্মদ সফিউল্লাহ আরাফাত কে দেখানোর পর উক্ত টিকিটের মধ্যে পুলিশ কেইস সীলমোহর না থাকার কারনে আমরা আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবনা বুঝতে পেরে পুনরায় টিকিট কাউন্টারে গেলে কর্তব্যরত কাউন্টারের ব্যক্তি (মহিলা) জানান যে, পুনরায় একখানা টিকিট নিতে হবে। তার কথামত আমরা কাউন্টার থেকে পুনরায় পুলিশ কেইস সীলমোহর যুক্ত একখানা টিকিট গ্রহণ করে সাথে সাথে অভিযুক্ত ডাক্তারের নিকট গিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলি। রোগীর সাথে আগত ব্যক্তির জানা না থাকার কারণে সে পুলিশ কেইস সীলমোহর যুক্ত টিকিট নিতে পারে নাই। তাই পুনরায় যে পুলিশ কেইস সীলমোহর যুক্ত টিকিট নিয়েছি উহাতে যেন উনি ঔষধ লিখে দেয়। কিন্তু উনি চরমভাবে আমাদেরকে অশালীন ভাষায় কথা বলে অপমান অপদস্থ করে এবং উনি ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পোলা’ মর্মে দেখে নিবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করে। আমাদের টিকিটগুলো আটক রেখে উনার রুম থেকে বাহির করে দেন। আমাদেরকে পুলিশে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করেন। উনি আমাদের টিকিট গুলো আটক রাখার কারনে রোগীর ঐ সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এই ঘটনার বিচার চেয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। এবিষয়ে অভিযুক্ত ডাঃ মোহাম্মদ সফিউল্লাহ আরাফাত বলেন, তদন্ত অবস্থায় কোনো বক্তব্য দেওয়া নিষেধ। তদন্ত শেষ হলে আপনারা জানতে পারবেন। এখনও আমাকে ডাকেনি। অফিস থেকে এতটুকু জানিয়েছে আমাকে যেকোনো সময় ডাকা হবে। তদন্ত কমিটির হাতে সব। তদন্ত কমিটি আমাকে এবং অভিযোগকারীকে ডাকবে, আমাদের বক্তব্য শুনবে। তারপর তারা প্রতিবেদন তৈরি করবে। এবিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।