স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন জনতার খবর এর সম্পাদক- সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জমকালো আয়োজনে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন এর সঞ্চালনায়, এতে সভাপতিত্ব করেন, আবু নাসের বাহার। প্রধান অতিথি ছিলেন, কবি দেওয়ান মারুফ। উদ্বোধন করেন, মনির হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক- সিলেট বিভাগীয় আবৃত্তি সংগঠন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দ্বীপক চৌধুরী বাপ্পি। সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক- কবি আব্দুল মান্নান সরকার। বীরমুক্তি যোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী। বীরমুক্তি যোদ্ধা আসবারুন নবী মোবারক। মাসিক তিতাস বার্তার সম্পাদক- এম,এ মতিন সানু। সাপ্তাহিক অগ্রধাপ পত্রিকার সম্পাদক- শেখ ফরিদ। পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. মাসুক কবির। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক- আনোয়ার হুসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া সমিতির সভাপতি এডভোকেট হুমায়ূন কবির। বি আর ডিবি’র চেয়ারম্যান আবু কাউছার। দৈনিক মুক্তির লড়াই এর জেলা প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ খোকন। জেলা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম তৌছির। জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কোচ ও প্রাক্তন কৃতি খেলোয়াড় আতাউর রহমান ইয়াকুব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক- নিছার ভূঁইয়া।
বৈশাখী শিল্পী গোষ্টীর নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে যারা সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসা সেবার অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ কে সম্মাননা পদক। নদী ও প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষায় অবদানে নোঙর সভাপতি মোঃ শামীম আহমেদ, ৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্দা আসরারুন নবী মোবারক, সাহিত্যে ও অভিনয়ে দীর্ঘদিন দরে অবদান রাখার জন্য কবি আঃ মান্নান সরকার, সাংবাদিকতায় এম এ মতিন সানু মাসিক তিতাস বার্তা, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য সাংবাদিক ও কলামিস্ট -আদিত্ব্য কামাল, বিশিষ্ট নারী সংগঠক প্রাউড ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কর্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পীদের সংগঠনে বিশিষ্ট সংগঠক হিসাবে মনোনীত হয়েছেন আনিছুল হক রিপন প্রতিষ্ঠাতা অংকুর শিশু কিশোর সংগঠন, আবৃত্তি শিল্পী এবং আবৃত্তিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মোঃ হাবিবুর রহমান পারভেজ নির্বাহী সম্পাদক আবরণী আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, যন্ত্র সংগীতে বিশেষ অবদানে দিলিপ বণিক তবলা উস্তাদ সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, চিকিৎসা সেবার বিশেষ অবদানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যমুনা হসপিটেল এন্ড ডায়াগনস্টিক এর ব্যবস্হাপনা পরিচালক জুলফিকার আলী ভুট্টো, চিকিৎসা সেবায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া যমুনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. ইমরান খান। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশিষ্ট সমাজ সেবক সবজুল মুমিন তালুকদার সবুজ।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা জজ আদালত এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিযুক্ত হওয়ায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড, মাহবুবুল আলম খোকন’কে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টার এ ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেয়া হয়।জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ খোকন এর সার্বিক পরিচালনায় ও সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এড. উসমান গণি, সাবেক সভাপতি জেলা আইনজীবী সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব ইস্কান্দার মির্জা সহ-সভাপতি জেলা নাগরিক কমিটি, জনাব আব্দুস সালাম সহ-সভাপতি জেলা নাগরিক কমিটি, জনাব আ: রউফ সহ-সভাপতি জেলা নাগরিক কমিটি, এড. শেখ জাহাঙ্গীর সভাপতি পিস ভিশন বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীর আলম জেলা আওয়ামীলীগ নেতা, আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর, লিয়াকত সিদ্দিকী সহ-সভাপতি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, মকবুল হোসেন সহ-সভাপতি জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা, জনাব আসিফ ইকবাল সত্ত্বাধিকারী ব্রাদার্স লিমিটেড, মোহাম্মদ হোসেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী, সামসুল আলম বাবু সহ-সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী, শফিকুল ইসলাম তৌসির সাধারণ সম্পাদক শহর সেচ্ছাসেবক লীগ, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কর্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, রুমানা আক্তার শ্যামলী সভানেত্রী জেলা জাতীয় পার্টি, আয়ূবুর রহমান সরকার, মুকিম আহমেদ চৌধুরী, ইটালি প্রবাসী সোহেল খাঁন প্রমূখ।
মোঃ হাসান লিটন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে মো. তারেক (২৩) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চাচা হাফেজ গংদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড হানিফ মিস্ত্রি’র বাড়িতে প্রতিবন্ধী যুবককে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত যুবক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিবন্ধী যুবক তারেক ওই বাড়ির মোহাম্মদ সিদ্দিকের ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক তারেক জানান, রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আমাদের নিজ বাড়িতে এ-র আগে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মা ও চাচীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হলে তার ফয়সাল করার জন্য গত শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদের বাড়ির উঠানে বসেন। এরপর সালিসি শেষের একপর্যায়ে আমার চাচা মো. হাফেজ উত্তেজিত হয়ে আমার গালে থাপ্পর মারেন। কেন আমাকে থাপ্পড় মারলো তা জিজ্ঞেস করা মাত্রই আমার অন্য চাচা ইয়াছিন, অলু, এবং ফুফু ছফুরা, ও রাসেদা একাত্রিত হয়ে ফের আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার মা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে রওনা হলে পথিমধ্যে তারা আমাকে ও আমার মাকে বাধা দেয়। এরপর ঘটনার একদিন পর শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ভয়ে পালিয়ে রোববার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন রয়েছি। এসব সততা নিশ্চিত করে আহত যুবকের মা বিনু বেগম জানান, আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করার সময় আমি বাধা দেওয়ায় আমাকেও দেবর হাফেজ মারধর করে। এবং আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিলে আমাকে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। বর্তমানে আমার ছেলেকে পালিয়ে নিয়ে এসে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাচ্ছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফেজ গংদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ভাতিজা তারেক আমাদের সাথে অন্যায় করায় তাকে একটা থাপ্পর মারছি। তাবে বড় ভাই সিদ্দিকের স্ত্রী বিনু বেগমকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক বলেন,প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর করা তাদের অন্যায় হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ সমাধান করে দিবো। শশীভূষণ থানার(ওসি) মু. এনামুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী যুবকে মারধর করে অন্যায় করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আদিত্য কামাল
আখাউড়ার চাঞ্চল্যকর শরীফ খাঁ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকির খাঁকে (৪০) গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর শাহাজাহানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার অন্য পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মাহবুব খাঁ (৩০) ও গাজী খাঁ (৬৫)। এছাড়া, আমানত খাঁকে (৬৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাঁচ আসামির মধ্যে অন্যতম আমির খাঁ মারা গেছেন। আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চানপুর গ্রামে ২০১৫ সালের ৬ আগস্টে শরীফ খাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত। হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পলাতক জাকির খাঁ’কে অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো আখাউড়া থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, ৮ বছর পর চাঞ্চল্যকর শরীফ খাঁ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকির খাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় অন্য দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট আসামিরা শরীফ খাঁকে পারিবারিক ও সম্পত্তিজনিত কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। উল্লেখ্য, গ্রেফতার আসামি জাকিরের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় ১টি মাদক, ১টি নারী শিশু ও ১টি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা রয়েছে।
আদিত্য কামাল
প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট গ্রেফতার ও শ্যালক নিখোঁজের পর এবার খোঁজ মিলছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের। গত শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আবু আসিফের বাড়ির সামনে দিন-রাত সাদা পোশাকধারী লোকজন অবস্থান করছেন। গত শুক্র ও শনিবার বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন। আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিএনপি’র সাবেক নেতা ও ওই আসন থেকে পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এর আগে গত বুধবার আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মুসা মিয়া (৮০) নামের এক বৃদ্ধকে হামলা ও সংঘর্ষ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আবু আসিফের নির্বাচন সমন্বয়কারী ও তার শ্যালক সাফায়েত সুমন ইতিমধ্যেই আত্মগোপনে আছেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বহিস্কৃত পাঁচবারের সাবেক সংসদ আব্দুস সাত্তার ভূঁঞা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। এর মধ্যে জিয়াউল হক মৃধা প্রতীক বরাদ্দের পর বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলেও উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, এমপি, জেলা ও উপজেলার নেতারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার দুপুরে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরন্নিছা মেহরীন বলেন, ‘আমার স্বামীর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমার বাড়ির সামনে সাদা পোশাকে লোকজন অবস্থান করছেন। আমার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি হয়েছে। আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তার (আবু আসিফ) শুভাকাঙ্খীরা তাকে দাঁড় করিয়েছেন। তারা এখন বলছেন ওই যেখানেই থাকুক না কেন প্রচারণার কাজ তারা চালিয়ে যাবেন। তারা কেন্দ্রেও যাবেন। তবে সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা সেটা এখন বড় বিষয়।
আবু আসিফের আশুগঞ্জ বাজারের বাড়ির দারোয়ান মোঃ ইউসুফ বলেন, ‘পরশু রাতে কয়েকজন এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে পুরো বাড়ি তল্লাশি করে। পরদিন আবার আসে। বাসার সামনে সাদা পোশাক ধারী লোকজন অবস্থান করছেন। কে এলো না এলো তার ছবি তুলছেন।
তবে আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান জানান,আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ কি-না সে বিষয়ে পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাড়ির সামনে সাদা পোশাকধারী আরো অবস্থানের বিষয়টিও তিনি জানেন না বলে জানান।
আদিত্ব্য কামাল,নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
তিনি ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আব্দুল হামিদ খান পেয়েছেন ৯৬৩৫ ভোট।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিষ্কৃত আরেক নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছেন।