স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্ব্য কামাল,নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অলি মিয়া (৫০) নামের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অলি মিয়া উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের মৃত শহীদ মিঞার ছেলে। তিনি ছলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের বহু মামলার আসামি ইকবাল হোসেনের সাথে অলি মিয়ার এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছি। রোববার বিকালে গ্রামের একজনের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরেন। পরে ইকবাল ও তার লোকজন অলি মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে পাশের জমিতে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রঞ্জন বর্মণ জানান, নিহত অলি মেম্বারকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ছোট বোন কল্পনা বেগম জানান, আমার ভাই বাড়ি ফেরার পর সন্ত্রাসী ইকবালসহ ১০-১৫ জনের একটি দল আমাদের বাড়িতে এসে বাড়ি ঘেরাও করে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে বাড়ির পাশে জমিতে নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আমরা ভাইকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে আমার ভাই মারা গেছেন। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, আজকে অলি মেম্বারের ওপর ইকবালের লোকজন হামলা চালায়, তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা আসামি ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সাংবাদিক ও ইউপি সদস্যের সাথে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম এর দুর্ব্যবহারের অডিও কলরেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বুধবার এই ঘটনা জানার পর স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃত্ববৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ০৯নং ওয়ার্ড (ফতেহপুর) মেম্বার ও জাতীয় দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক সফল আলী গত ২৩ জানুয়ারি তার আপন ছোট ভাই মোতালিবের বাসায় ও দোকানে দুইটি মিটার প্রয়োজন হওয়ায় নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোরশেদ এর নিকট মুঠোফোনে এক সহকর্মীকে পাঠিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেবা দেয়ার বিপরীতে ডিজিএম কর্কশ ভাষায় সাংবাদিককে ভবঘুরে, প্রশ্রয় দিলে মাথায় উঠে যান, আপনারা সেবা নিতে আসলে কি আমি আপনার জন্য বসে থাকব? এসব কথা বলে মন্তব্য করেন। এই কর্মকর্তা বদলি না করা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ এর সকল সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার থেকে বিরত থাকার মত প্রকাশ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এবিষয়ে সাংবাদিক সফর আলী জানান, আমি একজন জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক। আমার সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য ছিল না। এমন ডিজিএমকে নবীনগর থেকে বদলি না করলে সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোনোয়ার মোরশেদ ওই ফোনালাপটি অস্বীকার করেন।
মোঃ রুবেল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধানিজমি থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার উচালিয়া পাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নিহত বৃদ্ধ আব্দুল হামিদ (৫৮)ওই এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হন আব্দুল হামিদ। পরে গভীর রাত হলেও আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর করে তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরে সকালে বাড়ির পাশে ধানিজমিতে তার মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
ইসলাম ধর্মের মূল কাজ হলো পাঁচটি,কালেমা,নামাজ, রোজা,হজ্ব,যাকাত এর মধ্যে রমজান হলো একটি তাই এই মাসটি হলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাস,আল্লাহ পাক এর ইবাদত করার জন্য । রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাদেকপুর ইউনিয়ন চিলোকূট গ্ৰামে মাদার রাজিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চিলোকূট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব হাজী শামসূল হক চৌধুরী(নোয়াব মিয়া) পহ্ম থেকে ১০ লহ্ম টাকা মূল্যের ৪৫০ পরিবারের মাঝে,২৫কেজি চাল,২কেজি পিঁয়াজ,৫কেজি আলু,২কেজি ডাল,২লিটার তেল প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিতি ছিলেন চিলিকূট গ্ৰামের হাজী শামসূল হক চৌধুরী (নোয়াব মিয়া) বর্তমান ইউপি সদস্য জনাব মুক্তার চৌধুরী,উপস্থিতি ছিলেন চিলিকূট উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক কাজি জাহাঙ্গীর আলম, সার্জেন্ট (অব:) শামসুজ্জামান,ডাক্তার জহির হোসেন,ডাক্তার হামিদুল করিম জিল্লু মাস্টার,মোঃ ইসমাইল খান মাস্টার,আলাউদ্দীন মেম্বার সহ আরো অনেক বেক্তিগন উপস্থিতি ছিলেন ।
মাদার রাজিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব আল মুমিন চৌধুরী বলেন মাদার রাজিয়া ফাউন্ডেশন আমি ও আমার ছোট ভাই আল মুনছুর চৌধুরী এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত করেছি আমি হংকং প্রবাসী। মাদার রাজিয়া ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ও আমার বাবার ব্যক্তিগত সহযোগিতায় করূনা থেকে শুরু করে আরও অনেক সহযোগিতা আমরা করেছি । এই রামজান মাসে আমার প্রয়াত মা এর জন্য আমার গ্ৰামের মানুষ আত্বীয় স্বজন বন্ধু মহল সবার কাছে আমি দোয়া কামনা করি ।
মোঃ হাসান লিটন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় তিন বছর বয়সের অজ্ঞাত এক কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেঘনা নদীর তীরবর্তী বেতুয়া এলাকা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে চরফ্যাশন থানা পুলিশ।
চরফ্যাশন থানার (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি লঞ্চ অথবা যাত্রী ট্রলার থেকে পরে গিয়ে নিহত হন। শিশুটির গায়ে সাদা গোলাপি নিমা ও পড়নে লাল রঙের প্যান্ট, এবং পায়ে সাদা জুতা রয়েছে। ওই শিশুটিকে বেতুয়া নদীর পাড় ব্লকের ওপর পরে আছে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ অজ্ঞাত ওই কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্ধর দিয়ে আবারো শুরু হচ্ছে মাছ রপ্তানী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে মাছ, শুটকি, মাংস ও ফুড জাতীয় খাদ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবোরো মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে বন্দরে পুনরায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছে ব্যবসায়ীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারক এসোসিয়েশসের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার ফলে গেল বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল। এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ রপ্তানীর বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে এলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিঠি পাঠানো হয়।চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়, আগরতলা আইসিপিকে যেন এই তালিকার বাইরে রাখা হয়। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর সাথে কথা বলে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে রাজ্যকে বাদ রাখার আহবান জানান। মন্ত্রীর আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।এতে করে গত ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো সোমবার থেকে মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত শত শত ব্যবসায়ী এই শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবে।আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সুপারিন্টেনডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান, এই স্থলবন্দরটি রপ্তানি মুখি। বেশির ভাগই মাছ রপ্তানি হয়। কিন্তু ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পুনরায় মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেই। মাছ রপ্তানি শুরু হলে বন্দরে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি দিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সহ আশেপাশের সাতটি রাজ্যে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়।