স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের কিশোর জাহিদুল (১৬) কে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জগৎসার গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (৩৫), নজরুল ইসলাম (৪৪) ও মো. সিয়াম (১৫)।বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় পুলিশ। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, ঘটনার পর পরই আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজহার ভুক্ত আসামী মোহাম্মদ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করি। তার দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার রাতে জগৎসার গ্রাম থেকে আরো দুই আসামী নজরুল ইসলাম ও সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ক্ষুর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, নিহত জাহিদুলের বড় ভাই ছানাউল্লাহ্ একই এলাকার নজরুল ও হোসেনেকে মাদকসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই তারা জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ নিতে ছানাউল্লাহ্কে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে স্থানীয় পুকুরের পাড়ে ৫ জন মিলে ছুরি ও ক্ষুর দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। তবে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তার সত্যতা আরো নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় অপর দুই অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলাম প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার সুলতানপুর পূর্ব পাড়ায় একটি পুকুর থেকে কিশোর জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। অটোরিকশা চালক এলাছ মিয়ার চার ছেলে সন্তানের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করে। দুই সপ্তাহ আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে জবাই করা ছাড়াও দুই হাতে কব্জি, দুই কান কেটে দেওয়া হয়েছে। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুড়ি বের করে ফেলা হয়েছে। এঘটনায় জাহিদুলের পিতা এলাছ মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
লোকজন চুরির অভিযোগ এনে তাকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় সুজন (২৪) নামে আরেক যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার স্বজনেরা।
নিহত বজলু চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের আলী আফজলের ছেলে এবং সুজন একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বজলুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
তিনি জানান, চোর সন্দেহে বজলু নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এলাকার লোকজন। আরেকজনকে আহত করেছে। বজলুর লাশ উদ্ধার করে আজ সকালে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড়ুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইনস্) এলাকায় চলাচলের রাস্তায় রাতের আধাঁরে বালি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার। বর্তমানে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেডুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইন্স) হাইওয়ে রোডের পশ্চিম পাশের স্থায়ী বাসিন্দা গণ স্ব স্ব জায়গায় পৌরসভার নিয়মনীতি মেনে শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে, রাস্তাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবাত্তর সম্পত্তি হওয়ার তৎকালীন দেবতার পক্ষের সেবায়েতগণের অনুমতি সাপেক্ষে সংস্কার করিয়া যাতায়াত করে আসছে।
অতিসম্প্রতি জনাব আবু মিয়া নামের একজন এই দেবোত্তর পরিত্যাক্ত ভূমি/নালটি এবং চলাচলের ১৫ ফুট রাস্তাটি বালু দিয়ে ভরাট করার বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি সেবায়েত গণের পক্ষে মন্দির হবে বলে তাদেরকে আশ্বস্থ করেন এবং বলেন প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার অনুমতিক্রমেই এ কাজ করছেন। আবার পরক্ষনে বলেন ভূমি নাকি ক্রয় করেছে। একেক সময় একেক কথা বলেন।
চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে অভিযোগকারীগণ এই বলে বাধা দেয় যে রাস্তা বন্ধ করলে এলাকাবাসী কিভাবে চলাচল করবে। তখন জনাব আবু মিয়া তাদেরকে এই বলে আশ্বস্থ করেন যে চলাচলের কোনো অসুবিধা হবে না, কিন্তু রাতের আধারে অনেক শ্রমিক দিয়ে কাজ করে রাস্তা বন্ধ করে পুরোপুরি ঘর নিমার্ণ করে চলাচলা প্রতিবন্ধকতা ফেলে। বর্তমানে অবরুদ্ধ এলাকাবাসী অনেক কষ্ট করে অন্যদিক দিয়ে যাতায়াত করছেন।
এ বিষয়ে জনাব আবু মিয়া’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মোঃ জুয়েল মিয়া
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আলোচিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একজন জেলা স্বেছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লোকমান হোসেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এই উপজেলার নির্বাচনের দৃশ্যপটের পরিবর্তন শুরু হয়েছে।এখন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) এর সঙ্গেই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।হেলাল উদ্দিন জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের ছোট ভাই। এই পরিচয়কে সামনে রেখে এবং আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। দলের নেতাদেরও তার পক্ষে নামানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে শোভনের অবস্থান তত ভালো হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শোভনের পক্ষে সর্বত্র সক্রিয় রয়েছেন। রমজানে ভর্তুকিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করে দৃষ্টি কাড়েন শোভন। এছাড়া ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।চেয়ারম্যান পদে লোকমান হোসেন ছাড়াও আরও ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত-কলম) ও আব্দুল কারীম (মোটরসাইকেল)। তারাও ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তফাজ্জল সিকদার (উড়োজাহাজ), মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই), মো. আজহারুল ইসলাম (তালা), মো. আনিছ খান (টিউবওয়েল), মো. ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম), রবিউল আলম (চশমা) ও শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উম্মে হানি সেতু (কলস), আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল), নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) ও শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।গতকাল শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঘোষিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লোকমান হোসেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে এবং দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই জন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, ভোটার, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খির কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যত দিন বেঁচে থাকবো সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সচেষ্ট থাকব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করে আগামীর পথচলার অঙ্গীকার করছি।’
এ বিষয়ে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকায় একটি যাত্রীবাহী সিএনজি খাটিহাতা বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে সিলেটগামী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ওই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। অপরজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে খাটিহাতা বিশ্বরোড যাওয়ার পর মারা যান।
নিহতরা হলেন- সিএনজিচালক সরাইল উপজেলা বলিবাড়ির মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে সোহেল, সিএনজির যাত্রী নাজমুল মিয়ার ছেলে জিলানী, মৃত জাফর আলীর ছেলে আসকর মিয়া। বাকি একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।