স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণ অধিকার পরিষদের আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় জেলাশহরের কাউতলীতে অবস্থিত নওমী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্র, যুব, শ্রমিক এবং প্রবাসী অধিকার পরিষদ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফুল হাসান তপু, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফোরকান বিন ফরিদ, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোরকান উদ্দিন মুন্না, জেলা ছাত্র অধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব মো.সুজন আকবর, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান উবায়দুল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন,শাহাদাত নুর লিটন, সবুজ খান জয়, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম সহ অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। এসময় বক্তারা মাহে রমজানের তাৎপর্য ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন কর্তৃক স্থানীয় সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রতিবাদে এবং অতি দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীনগগরের সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে বুধবার উপজেলা সদরের ডাক বাংলোর সামনে রাস্তায় এ কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী, কমরেড মোঃ ইসহাক, মাওলানা মেহেদী হাসান, মোঃ আমীর হোসেন, সাংবাদিক মাহাবুব আলম লিটন, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম চৌধৃুরী, শাহিন রেজা টিটু, হেদায়েত উল্লাহ, খান জাহান আলী চৌধুরী, মো বাবুল আহম্মেদ, মো. সফর আলী, পুতুল বেগম, সঞ্জয় শীল, কয়েছ আহম্মেদ প্রমূখ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ নবীনগরের সাত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যথায় সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা।উল্লেখ্য, নবীনগরে এক সমাজ সেবিকা ও নারী উদ্দ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল গত ৮ ডিসেম্বর কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ইউএনওর বরাবরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূয়া সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিকর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। ওই সংবাদ প্রকাশের জেরে নবীনগর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে গত ৫ জানুয়ারী মামলাটি দায়ের করেন। গত শুক্রবার আসামিদের নাম ও ঠিকানা যাচাই করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানানোর জন্য নবীনগর থানাকে চিঠি দেন। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মামলার সাত আসামি হলেন সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল (দৈনিক ভোরের সময়), মাহাবুব আলম লিটন (দৈনিক সমকাল), মো. বাবুল (দৈনিক আমার সংবাদ), জ, ই বুলবুল (দৈনিক দেশ রূপান্তর), মো. সফর মিয়া (দৈনিক বর্তমান), দৈনিক সত্যের সন্ধ্যানে পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি (নাম জানা যায়নি) ও মমিনুল হক রুবেল (ঢাকা নিউজ)।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে শাহিনুর বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে মধ্যপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শাহিনুর বেগম সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে ও দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার স্ত্রী।হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৮ বছর আগে শাহিনুরকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে মধ্যপাড়া এলাকার মৃত শাজাহান মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে ফারিয়া (৬) ও ফাহিমা (৪) নামে দুইটি মেয়ে সন্তান আছে। গত নভেম্বর মাসে দেশে আসেন ফারুক। শাহীনুর ও সন্তানদেরকে নিয়ে ৪-৫ দিন শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোর পর আজকে বাড়িতে ফিরেন ফারুক। রাতে সবার অজান্তে শাহীনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানের চিকিৎসক শাহীনুরকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন জানান, এক গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরও চার ইউএনও বদলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরও ৪টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম সই করা এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও মেজবা উল আলম ভূইয়াকে। আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমাকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ইউএনও রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগরের ইউএনও ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিলের ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বদলি করা হয়েছে,তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার ইউএনও মুহা.আবুল মনসুরকে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে এবং খাগড়াছড়ির পানছড়ির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বদলি করা ।
শহরের যান্ত্রিক কোলাহল আর অপসংস্কৃতির আড়ালে দিন দিন হারাতে বসেছে বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব আর সংস্কৃতি। তবুও যেটুকু টিকে আছে, তাতেই খুশি সহজ সরল এই মানুষগুলো। পড়ন্ত বিকেলে চমৎকার এই নৌকা বাইচ তাদের নিয়ে গেছে এক রকম ঘোরের রাজ্যে। নৌকা বাইচ উপলক্ষে শহরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। ভাদ্রের তপ্ত দুপুর গড়ানোর আগেই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহী দর্শকরা নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ, দারাজ বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল এর সহযোগীতায় তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উচ্ছাসে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডার শিশু পরিবার এলাকায় তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয় এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদরের ৪টি, বিজয়নগর উপজেলার ৫টি, নবীনগর উপজেলার ২টি, আশুগঞ্জ উপজেলার ২টি ও নাসিরনগর উপজেলার ১টিসহ মোট ১৫টি দল প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রং বে-রঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা চলার সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাত ছলাত আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।
বিকেল ৩টার দিকে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকায় নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
মেড্ডার কালাগাজীর মাজার এলাকায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে নবীনগর উপজেলা নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সরাইল উপজেলা নৌকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে আশুগঞ্জ উপজেলার নৌকা। পরে প্রধান অতিথি প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং ট্রফি উপহার হিসেবে প্রদান করেন। এছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এদিকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ এলাকা থেকে হাজার-হাজার মানুষ তিতাসের দু’পাড়ে, বিভিন্ন ভবনের ছাদের উপর ভীড় জমায়। অনেকেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলার সময় শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডা শিশু পরিবার এলাকা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, নৌ-পুলিশ, ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম কয়েকটি টীম নিয়োজিত ছিল। এছাড়াও ছিল ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। নিরাপত্তার জন্য আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে শহরের ট্যাংকের উত্তরপাড় এলাকায় আজাদ অটোরিকশা গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ গ্রামের মৃত রশদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা চালানো শেষে রাতে ওই গ্যারেজে তার অটোরিকশাটির ব্যাটারি চার্জ দিতে যান। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
স্থানীয়রা সুমন মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।