স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ঈদ আনন্দ হউক সবার’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা শ্রেণী পেশার ৫’শ দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লক্ষ টাকার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে মজিদ নাহার ফাউন্ডেশন।বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, তেল ১ লিটার, দুধ, চিনি, সেমাই, ট্যাংসহ ১০ ধরণের খাদ্য সামগ্রী।মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়া জাকিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলম।বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আল আমিন শাহিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, যারা সামর্থ্যবান ব্যাক্তিবর্গ আছেন তারা মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের মতো এগিয়ে আসলে আরো ব্যাপকভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবেন।মজিদ নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জাকারিয়া জাকির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মজিদ নাহার ফাউন্ডেশন বরাবরি মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছে শুধুমাত্র পুণ্যলাভের আশায়। তিনি আরো বলেন, সমাজের বিত্তবানরা যদি অসহায়দের পাশে দাড়ায় তাহলে সমাজ আরো সুন্দর ও সুশ্রী হবে।আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটু তার পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে অসহায়-দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করছেন। প্রতিবছর ঈদ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা ছাড়াও সেলাই মেশিন, শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরন করে আসছে এই ফাউন্ডেশন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত সঠিকভাবে বলতে না পারায় এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেন তিনি।জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে এসে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ খবর নেন। এক পর্যায়ে শরীর চর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। যতদিন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত এবং শপথ গাইতে ও বলতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত তার বেতন স্থগিত থাকবে। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন ।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, ডিসি স্যার আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প, আখাউড়া থানা, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ভূমি অফিস, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, আশ্রয়ণ প্রকল্প, মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন যায়গা পরিদর্শন করেন। মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিসি স্যার পরিদর্শনে যাবেন সেটা প্রধান শিক্ষক জানতেন। সেখানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন না। ওই শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো জাতীয় সঙ্গীত ও শপথ বাক্য পরিবেশন করতে না পারায় ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিতের নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তাকে উপস্থিত না থাকার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ তথা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পতাকাতলে আসার জন্য বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামীলীগ। সোমবার দুপুরে হওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রীর সংসদীয় এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪( কসবা-আখাউড়া) আসনের আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এ আহ্বান জানান।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘আমি বিএনপির বর্তমান কমিটির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে বলেছি ভোটে তো আপনারা কাউকে এমপি নির্বাচিত করবেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতলে তো আবার মন্ত্রী হবে। তাই আসুন আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা একই পতাকাতলে গিয়ে কাজ করি।’আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করা, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও আইনমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায়ে আবারও কসবা-আখাউড়া আসন থেকে নির্বাচন করবেন আনিসুল হক। ২ মে থেকে তিনি আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। এ সময় তিনি উপজেলার মনিয়ন্দের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করবেন। তাছাড়া দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী এলজিইডির মাধ্যমে ২২৮ কোটি টাকা, পিআইও দপ্তরের মাধ্যমে ৮৭ কোটি টাকা, পৌরসভার মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেন। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়া আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩২ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবন মেরামতের জন্য এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আনিসুল হক শুধু সরকারি বরাদ্দের দিকে না তাকিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগতভাবেও টাকা খরচ করেন। পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য জমি ক্রয়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ টেকসই করতে ৬০ লাখ টাকা প্রদান, একটি বিদ্যালয়ের জন্য জমি ক্রয়ের টাকা দেওয়া।সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পরপরই আখাউড়ার কমিটি গঠন করা হবে। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ নয়, জনগণই বিএনপিকে মোকাবেলা করবে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, মন্ত্রীর সংসদীয় এলাকায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া একটি অর্থনৈতিক জোন করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অচিরেই আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হবে।সমাপনী বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান নাজিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আদিত্য কামাল
গ্যাস সংকট সহ নানা কারনে প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কারখানাটিতে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়। তবে উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১১শ মেট্টিক টন সার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।কারখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের পহেলা মার্চ থেকে সংস্কার কাজ করতে৮০ দিনের জন্য আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে উৎপাদন বন্ধ করা হয়। সংস্কার কাজ শেষকরে ২০ মে কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু করার কথা থাকলেও গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায়কারখানাটি সংস্কার করেও উৎপাদনে ফিরে আসতে পারছিল না।আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল চন্দ্র দাস জানান, সকল জটিলতা শেষ করে প্রায় ১০ মাস পর কারখানাটি উৎপাদনে ফিরেছে। কোন যন্ত্রাংশে সমস্যা আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। যেখানেই সমস্য পাওয়া যাবে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিক কতটুকু সার উৎপাদন হবে তা এখনই সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।প্রসঙ্গত, এই কারখানায় উৎপাদিত সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ,কুমিল্লাসহ ৮টি জেলার ইউরিয়া সারের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
শহরের যান্ত্রিক কোলাহল আর অপসংস্কৃতির আড়ালে দিন দিন হারাতে বসেছে বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব আর সংস্কৃতি। তবুও যেটুকু টিকে আছে, তাতেই খুশি সহজ সরল এই মানুষগুলো। পড়ন্ত বিকেলে চমৎকার এই নৌকা বাইচ তাদের নিয়ে গেছে এক রকম ঘোরের রাজ্যে। নৌকা বাইচ উপলক্ষে শহরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। ভাদ্রের তপ্ত দুপুর গড়ানোর আগেই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহী দর্শকরা নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ, দারাজ বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল এর সহযোগীতায় তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উচ্ছাসে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডার শিশু পরিবার এলাকায় তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয় এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদরের ৪টি, বিজয়নগর উপজেলার ৫টি, নবীনগর উপজেলার ২টি, আশুগঞ্জ উপজেলার ২টি ও নাসিরনগর উপজেলার ১টিসহ মোট ১৫টি দল প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রং বে-রঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা চলার সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাত ছলাত আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।
বিকেল ৩টার দিকে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকায় নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
মেড্ডার কালাগাজীর মাজার এলাকায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে নবীনগর উপজেলা নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সরাইল উপজেলা নৌকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে আশুগঞ্জ উপজেলার নৌকা। পরে প্রধান অতিথি প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং ট্রফি উপহার হিসেবে প্রদান করেন। এছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এদিকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ এলাকা থেকে হাজার-হাজার মানুষ তিতাসের দু’পাড়ে, বিভিন্ন ভবনের ছাদের উপর ভীড় জমায়। অনেকেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলার সময় শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডা শিশু পরিবার এলাকা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, নৌ-পুলিশ, ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম কয়েকটি টীম নিয়োজিত ছিল। এছাড়াও ছিল ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। নিরাপত্তার জন্য আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।