স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও ভৈরবে পৃথক পৃথক অভিযানে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প। এসময় ০১ টি মাইক্রোবাস ও ০১টি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (০৯ এপ্রিল) সকাল ০৬.২০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আখাউড়া পৌরসভার দেবগ্রামের সামসুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মাদক কারবারি মনির হোসেন ভূঁইয়া(৪৮) কে আটক করা হয়। এসময় ০১ টি মাইক্রোবাস তল্লাশী করে ৩৬ কেজি গাঁজা এবং নগদ ৪হাজার ৫শত টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। একই দিন সকাল ০৮.৩০ ঘটিকায় অপর অভিযানে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন উজানভাটি হোটেলের সামনে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেন থেকে মাদক কারবারি মামুন হোসেন (৩৫)কে আটক করেন। তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার সাইনাল গ্রামের মোঃ হোসেন এর ছেলে। এসময় ১টি পিকআপ তল্লাশী করে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। জানা যায়, র্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও দিক নির্দেশনায় এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযানদ্বয় পরিচালনা করেন। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কোন রাজনৈতিক দল তার রাজতৈনিক কর্মকান্ড করতে পারে। তাতে আওয়ামীলীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কোন আপত্তি নাই। কারণ আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্র স্থাপন করেছে।’ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সংবিধান আছে। বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে তা সম্পূর্ণ ভাবে লিখা আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া-কসবা সার্কেল (অতিরিক্ত) নবীনগর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানসিক রোগী এক যুবককে মারধর করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ২১শে মার্চ বিকেল ৪টার সময় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর পিতা বাবুল ভূইয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগকারী বাবুল ভূইয়া বলেন, ‘আমার ছেলে মিম ভূইয়া গত তিনমাস যাবৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলের মতো দিনযাপন করছে। তাকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয়। মঙ্গলবার বিকেলে আলমগীর ও উজ্জ্বল ভূইয়ার নেতৃত্বে আমার মানসিক রোগী ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে তার মানসিক অবস্থার আরো অবনতি করেছে। আমার ছেলে প্রতিবেশী আলমগীর ভূইয়ার বাড়িতে গেলে আলমগীর ভূইয়া, উজ্জ্বল ভূইয়া, আবুল ভূইয়া, আবির ভূইয়া সহ আরও কয়েকজন তাকে জোরপূর্বকভাবে আটক করে বেধড়কভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার শরীরে আঘাতের গুরুতর চিহ্ন দেখে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করি। আমার ছেলের পাশাপাশি আমাকেও তারা প্রচন্ড মারধর করে। তারা আমার ভিটি বাড়ি গ্রাস করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়। এলাকায় তারা মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে উজ্জ্বল ভূইয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে মিম ভূইয়া আমার ভাইয়ের এক বছর বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় তাকে আমরা ধরে ফেলি কিন্তু মারধর করিনি। বাবুল ভূইয়ার পরিবারের সাথে আমাদের যায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে, ৪-৫টা মামলা করেছি তাদের বিরুদ্ধে।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তশেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাসুদেব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বাছির খান বলেন, ‘যায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলমগীর ভূইয়া ও উজ্জ্বল ভূইয়া গংদের সাথে বাবুল ভূইয়ার বিরোধ চলছে। এর আগে কয়েকবার সালিসের মাধ্যমে তার যায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল গ্রামের সাহেব-সর্দাররা। পরবর্তীতে আলমগীর ভূইয়া গংদের পক্ষ এটা মানেনি। এখন তারা বাবুল ভূইয়ার কাছে যায়গা পাওনা আছে বলে দাবি করছে। ওইদিন বাবুল ভূইয়ার ছেলে মানসিক রোগী মিম ভূইয়াকে আলমগীর ভূইয়ারা মারধর করে এটা শুনেছি। উজ্জ্বল ভূইয়া মিম ভূইয়ার বিরুদ্ধে শিশু ছিনিয়ে নিয়ে আসার যেই অভিযোগটি করেছে তা সত্য নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতি (কুভিকসাস) এর পালাবাদল হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি সদ্য বিদায়ী সভাপতি আশিক ইরান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। নতুন কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান রাসেল এবং সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতি-কুভিকসাস এর কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪ গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ধারা-৪ এর উপধারা (ঙ) অনুযায়ী সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত ১১ সদস্যকে আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হলো। সভাপতি আবু সুফিয়ান রাসেল, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী,যুগ্ম-সাধারণ আব্দুল্লাহ আল মারুফ,সাংগঠনিক সম্পাদক পুতুল আক্তার রলি,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব মাহমুদ,দফতর সম্পাদক মাকছুদুর রহমান। নির্বাহী সদস্য:আল আমিন কিবরিয়া, হাসিবুল ইসলাম সজিব,সাইমুম ইসলাম অপি, সদস্য তাহমিনা আক্তার তুলি।২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতি( কুভিকসাস) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। “বিবেকবান সাংবাদিক তৈরির প্রত্যয়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার কার্যালয় থেকে পরিচালিত হয় সংগঠনটি। কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ এ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক। অধ্যক্ষ কর্তৃক নির্বাচিত দুইজন শিক্ষা কর্মকর্তা কুভিকসাসের উপদেষ্টা হিসাবপ দায়িত্বে আছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক -আদিত্য কামাল
ট্রেন যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও রেলপথে নাশকতা রোধে সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করেছে র্যাব-৯। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন কেটে ফেলা সহ ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের নাশকতা রোধ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ এর আওতাধীন এলাকা সিলেটসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেলস্টেশনগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।এছাড়া রেলস্টেশনগুলোতে নিয়মিতভাবে রোবাষ্ট পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে। নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন দাহ্য পদার্থ, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য কিংবা অবৈধ মালামাল (মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র) ইত্যাদি বহন করতে না পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর আওতাধীন স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সময় ধারাবাহিকভাবে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রেল স্টেশন এবং বিভিন্ন ট্রেনে র্যাব-৯ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কর্তৃক বিভিন্ন সময় সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।পাশাপাশি যে কোন ধরনের নাশকতা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অত্যন্ত সর্তকতার সাথে র্যাব-৯ কর্তৃক সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ট্রেন যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর ।
মোঃ হাসান লিটন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে মো. তারেক (২৩) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চাচা হাফেজ গংদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড হানিফ মিস্ত্রি’র বাড়িতে প্রতিবন্ধী যুবককে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত যুবক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিবন্ধী যুবক তারেক ওই বাড়ির মোহাম্মদ সিদ্দিকের ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক তারেক জানান, রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আমাদের নিজ বাড়িতে এ-র আগে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মা ও চাচীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হলে তার ফয়সাল করার জন্য গত শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদের বাড়ির উঠানে বসেন। এরপর সালিসি শেষের একপর্যায়ে আমার চাচা মো. হাফেজ উত্তেজিত হয়ে আমার গালে থাপ্পর মারেন। কেন আমাকে থাপ্পড় মারলো তা জিজ্ঞেস করা মাত্রই আমার অন্য চাচা ইয়াছিন, অলু, এবং ফুফু ছফুরা, ও রাসেদা একাত্রিত হয়ে ফের আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার মা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে রওনা হলে পথিমধ্যে তারা আমাকে ও আমার মাকে বাধা দেয়। এরপর ঘটনার একদিন পর শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ভয়ে পালিয়ে রোববার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন রয়েছি। এসব সততা নিশ্চিত করে আহত যুবকের মা বিনু বেগম জানান, আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করার সময় আমি বাধা দেওয়ায় আমাকেও দেবর হাফেজ মারধর করে। এবং আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিলে আমাকে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। বর্তমানে আমার ছেলেকে পালিয়ে নিয়ে এসে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাচ্ছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফেজ গংদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ভাতিজা তারেক আমাদের সাথে অন্যায় করায় তাকে একটা থাপ্পর মারছি। তাবে বড় ভাই সিদ্দিকের স্ত্রী বিনু বেগমকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক বলেন,প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর করা তাদের অন্যায় হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ সমাধান করে দিবো। শশীভূষণ থানার(ওসি) মু. এনামুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী যুবকে মারধর করে অন্যায় করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।