স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত সঠিকভাবে বলতে না পারায় এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেন তিনি।জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে এসে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ খবর নেন। এক পর্যায়ে শরীর চর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। যতদিন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত এবং শপথ গাইতে ও বলতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত তার বেতন স্থগিত থাকবে। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন ।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, ডিসি স্যার আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প, আখাউড়া থানা, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ভূমি অফিস, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, আশ্রয়ণ প্রকল্প, মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন যায়গা পরিদর্শন করেন। মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিসি স্যার পরিদর্শনে যাবেন সেটা প্রধান শিক্ষক জানতেন। সেখানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন না। ওই শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো জাতীয় সঙ্গীত ও শপথ বাক্য পরিবেশন করতে না পারায় ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিতের নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তাকে উপস্থিত না থাকার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
মোঃ হাবিব মিয়া (৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তি গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর (এলহামপাড়া) নিজ বাড়ি থেকে সবার অগোচরে বের হয়ে যায় এবং অদ্য পর্যন্ত আর ফিরে আসেনি। তাহার পরিবার আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজাখুঁজি করিয়াও তাহার সন্ধান পায়নি।
হারানোর সময় তার পরনে ছিল লাল খয়েরি শার্ট, লুঙ্গী পরিহিত এবং তাহার গলায় একটি লুঙ্গী সবসময় ঝুলানো থাকে, গায়ের রং শ্যামবর্ণ, শরীরের গড়ন পাতলা, মাতার চুল কালো ছোট, মুখমণ্ডল গোলাকার, মুখমন্ডলে সামান্য দাড়ি আছে, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। জিডি নং – ৯২৯ । যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান তাহলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
যোগাযোগের ঠিকানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা অথবা তাহার বড় ভাই মোঃ মিয়াচান মিয়া, পিতা মৃত মোতালিব মিয়া, গ্রাম: ভাদুঘর (এলহামপাড়া), থানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মোবাইল : ০১৭৫৩১৭৬৮৬১
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি। এ হুমকি দেওয়ায় তাঁকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) এমপি ফরহাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ বা শোকজ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে হবে ফরহাদকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারি জজ ও অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোহাম্মদ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়,উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “চেয়ারম্যানের নাম মুছতে চান এমপি, হাত ভাঙার হুমকি আ.লীগ নেতার” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা এই কমিটির গোচরীভূত হয়েছে। উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনের ভাষ্যমতে, আপনি জনাব বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ২৪৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০১) বিগত ২২/১২/২০২৩ইং তারিখে রোজ শুক্রবার বিকালে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেছেন যার ফলে এই ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে প্রতিবেদককে জানান। আপনার উত্তরুপ প্রদত্ত বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৭(১) অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১১ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে অত্র কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে আগামী ২৫/১২/২০২৩ইং তারিখ বিকাল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হল।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন সেখানকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জান মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। গত শুক্রবার বিকেলে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। জনসভায় এমপি ফরহাদ হোসেন বক্তব্যে বলেন, “নাম বলতেও আমার লজ্জা লাগে। নিজেকেই আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে, আমি কি মানুষ এত কম চিনলাম। নাম ধরেই বলছি- নাসির (ইউপি চেয়ারম্যান) আপনাদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি খুব অবাক হয়ে গেছি। আগেরদিন আমার সঙ্গে সে মিছিল করেছে নৌকার। হঠাৎ কী হলো? এত কথা, কাজের অমিল। কিন্তু তুমি মনে রেখো, তুমি খালি কুণ্ডাবাসী নও, এই নাসিরনগর থেকে তোমার নাম মুছে যাবে। আমি আজকে বলে দিয়ে গেলাম। নড়চড় মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আমি তো তোমাকে ডাকিনি, তুমিই এসেছিলে। তুমি স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করছিলে ভালো কথা। আমি বলেছিলাম, তুমি কাজ করো। তোমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এর মানে এই নয় যে, তুমি নৌকায় উঠে নৌকার পিঠে ছুরি মারবা। তাহলে তুমি বোকার স্বর্গে বাস করছো।’
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকায় একটি লিচু বাগানের গাছের নিচ থেকে বস্তাভর্তি গাঁজা উদ্ধার করেছে চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের একটি লিচু বাগান থেকে বস্তাভর্তি ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এক জনের নাম উল্লেখ তবে দুইজনের নামে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পলাতক আসামি হলেন সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদী গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ফরিসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় আরও এক জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের নুর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরআলী-আইয়ুব গ্রুপের লোকজন মতি-জাফর গ্রুপের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সরাইল সদর ইউনিয়নের নিজ সরাইল গ্রামের লোকমান মিয়া (২৯), আমজাদ হোসেন (১৮) ও শরীফ মিয়া (১৬)। সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, তেরকান্দা গ্রামের একটি বাড়িতে বাউন্ডারির দেওয়াল নির্মাণ চলছিল। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত লোহার রড অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে স্পর্শ করে। এতে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের পরিবার লাশগুলো কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে নিয়ে গেছে। লাশ ফিরিয়ে এনে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।