স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম মেড্ডার আরামবাগে অবস্থিত স্কুল প্রাঙ্গণে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সভাপতিত্বে ও আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নতুন মাত্রা’র সম্পাদক আল-আমিন শাহীন, জনতার খবর সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুনাহার, বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক সামসুল আলম বাবু, পিসভিশন সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খাঁন, কবি আজীজা সোপান, কবি গোলাম মোস্তফা, জেলা কিন্ডার গার্টেন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ফারহানা ববি, কবির কলম এর সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, সোনালি সকালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, সমন্বয়ক শাহআলম পালোয়ান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক মোহাম্মদ আবদুল বাতেন, কেক সুন্দরী আখি নূর, কণ্ঠ শিল্পী সাজ্জাদ হোসেন হেলাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবদুল্লাহ্ আল নাঈম, ভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভির সম্পাদক জানে আলম, প্রিয় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর রহমান নাহিদ, জননী কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পারভিন বেগম, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র এডমিন সোহাগ সরকার, শাহরিয়ার আহমেদ শুভ, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনে সভাপতি সৈয়দ রুম্মান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা ফিভা ও নুসরাত আক্তার।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা, সবশেষে কেক কেটে উপস্থিত সকালের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জুয়েল মিয়া
আগামী ২১ মে ২য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাবমুক্ত, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। শনিবার (১৮মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সড়ক বাজারে অবস্থিত উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুয়েল রানা (টিউবওয়েল) ওই দাবি জানান।টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জুয়েল রানা অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা প্রচার করছে তাকে আওয়ামীলীগ সমর্থন দিয়েছে। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমার বৈঠক/সভাতে উপস্থিত হওয়া লোকজনকে নির্বাচনের পরে দেখে নেবে বলে ওই প্রার্থী ও তার কর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন। জোর করে ভোট ছাপিয়ে নিবে বলেও প্রচার করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি সুষ্ঠু ভোটের ব্যপারে আশঙ্কা করছি। জনগণ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, নির্বাচনের সেই সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবী জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট নিরপেক্ষভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের আয়োজনের আবেদন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’এসময় জুয়েল রানার ভাগিনা আবির বলেন, ‘শাপলু বলছে সম্পর্কটা যাতে নষ্ট না হয় এবং তুমি সাবধানে থাইকো। আমি বলছি ভাই আমরা চাই নির্বাচনটা যেন ফ্রি এন্ড ফেয়ার হয়। আপনি পাশ করেন আমাদের কোনো আপত্তি নাই। নির্বাচন যদি কেউ বানচাল করতে চাই তাইলে আমরা বাঁধা হিসেবে কাজ করবো। ওনি বলছে একটু সাবধানে থাকতে। এটা হুমকিস্বরূপই মনে হইতেছে।’এসময় যুবলীগ নেতা মনির খান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটা শংকা কাজ করে তারা ভোট দিতে যেতে পারবে কিনা, ভোট হবে কিনা, নাকি ভোট জোরে নিয়ে যাবে। আমাদের প্রতিপক্ষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। আমরা মিটিং করে চলে আসলে আমাদের সমর্থকদের প্রতিপক্ষের কর্মীরা গিয়ে বলে, আপনাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে না। ভোট ছাপাই ফেলবো। নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে কিনা সেটা আজও আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।’অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইক প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু বলেন, ‘অনেক প্রার্থী অনেকভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। গত পাঁচটি বছর আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি কোনোদিন কাউকে কোনো হুমকি-ধমকি দিয়েছি এই প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। প্রত্যেক ভোটারদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। জনগণের মন জয় করার চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ ভোটের মাধ্যমেই আমার বিজয় সুনিশ্চিত হবে। আমি হুমকি ধমকিতে বিশ্বাসী না, জনগণকে বিশ্বাস করি, জনগণের ভোটকে বিশ্বাস করি। এখন আমার শক্তি দেখে, ভোটারদের আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস দেখে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করার চেষ্টা করতেছে। ভোটারদের অনুরোধ করব নির্দ্বিধায় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন, কোনো জবরদস্তির বিষয় নাই। এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাকে দলীয় সমর্থন দিয়েছে এমন কথা আমি কোনো মিটিং মিছিলে বলিনি, এটা তাদের ভুল ধারণা।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে শহরের ট্যাংকের উত্তরপাড় এলাকায় আজাদ অটোরিকশা গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ গ্রামের মৃত রশদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা চালানো শেষে রাতে ওই গ্যারেজে তার অটোরিকশাটির ব্যাটারি চার্জ দিতে যান। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
স্থানীয়রা সুমন মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘স্বপ্নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ সংগঠনের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংগঠক আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহিন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুরাতন জেলাখানা ১ নং পুলিশ ফাঁড়ি মাঠে সংগঠনের কার্ণধার অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জননী বলে খ্যাত কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় পঞ্চাশেক অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মোরগ পুলাও বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙ্গালী ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশকে বিনাশ করার জন্য ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার পরিবারে ১৭ জনকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারি খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে চায়নি, সেই একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদেরকে আমরা জীবিত পেতাম না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুজন খুনীর একজন যক্তরাষ্ট্রে, একজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারি কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয়না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণ কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, যড়যন্ত্রকারিরা কিন্ত বসে নেই। বিএনপি – জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারিরা রয়েছেন। তারা মিথ্যা বলেন। সত্যের কাছ দিয়ে হাটেন না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী তারা নিজেরা খুন করে অন্যের উপর দায় ছাপায়। তাই ষড়যন্ত্র কারিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল ও একেএম আতাউড় রহমান নাজিম, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, দর্শন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
জুয়েল মিয়া
অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে শাহনেওয়াজ শাহ্ এর দ্বিতীয় বই ‘কলম সৈনিক’। মোট ৫৫ টি কবিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। বইটির ক্যানভাসে লেখক কাব্যের মাধ্যমে সামাজিক প্রেক্ষাপট, মানব চরিত্র ও জীবনের আনুসঙ্গিক বিভিন্ন অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরেছেন। বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন সজীব কুমার। নির্বাণ প্রাকশ থেকে প্রকাশ হওয়া বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ২৪০ টাকা। বইমেলার ১৬ নম্বর গণপ্রকাশন এবং স্বনির্ভর প্রকাশনীর নিজস্ব স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
লেখক শাহনেওয়াজ শাহ্ লেখালেখি শুরু করেন ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তার লেখা প্রকাশ হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও শুরু করেন তিনি।বিভিন্ন পত্রিকায় ফিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন কবিতা ও গল্পও লিখেন তিনি। লেখকের পূর্ব প্রকাশিত বই “বদলে যাবো, বদলে দিবো” ২০২১ সালে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এই তরুণ লেখকের প্রকাশিতব্য বই “শেষ ঠিকানা”। তিনি ভবিষ্যতে আরো অনেক বই রচনা করার এবং সাহিত্য চর্চা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তরুণ লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক শাহনেওয়াজ শাহ্ এর জন্ম ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০০ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মোঃ বেনুজীর শাহ্ পেশায় একজন কৃষক ও মাতা উম্মে কুলসুম গৃহিণী। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাতে কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় দৈনিক তৃতীয় মাত্রা, জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা, জাতীয় দৈনিক পর্যবেক্ষণ, জাতীয় দৈনিক মতপ্রকাশ, দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিন, স্থানীয় দৈনিক দিনদর্পন, পাক্ষিক আলোর সারথি, পাক্ষিক ভয়েস অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বহুল প্রচারিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক প্রাণকণ্ঠ এর সম্পাদক ও প্রকাশক।
কবি ও লেখক শাহনেওয়াজ শাহ্ বলেন, বই সভ্যতার প্রতিক। নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ ও বিকশিত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই। একজন লেখক হয়ে উঠার পূর্ব শর্তই হচ্ছে প্রচুর বই পড়তে হবে। একটি কবিতার মাধ্যমে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। একটি গল্পের মাধ্যমে একটি জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব। পাঠকদের প্রতি বই মেলায় আসার, দেখার ও বই কিনার আহ্বান রইল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো.জুয়েল মিয়া বলেন, বহুগুণে গুণান্বিত তরুণ লেখক ও কবি শাহনেওয়াজ শাহ্ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তার লেখায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের প্রতিধ্বনি শুনা যায়। সমাজের অন্যায়, অনিয়ম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার লেখা দেশরক্ষায় নিয়োজিত সৈনিকের অস্ত্রের মতো চলমান থাকুক। তার প্রতি বিপ্লবী ভালোবাসা রইল।