স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
সপ্তাহের শেষে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আজ খুলনা বিভাগসহ পটুয়াখালী, ভোলা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও পাবনা জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।আগামীকাল রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তৃতীয়দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের তিন বিভাগ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৪৮ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ১১ মিনিটে।
সূত্র বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, গৌতম ভট্টাচার্য, হাবিবুর রহমান, পরিতোষ মন্ডল ও মো. এসকেন আলী খান। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, ৪টি মোবাইল, দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত খাকি রঙের ১টি খাম ও দুদকের একটি নোটিশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গৌতম ভট্টাচার্য দুদকের ডিজি মানি লন্ডারিং-এর পিএ হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। গ্রেফতার এসকেন আলী খান চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য, তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। অপর দু’জন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তারা বিভিন্ন প্রতারণার সাথে জড়িত বলে জানা যায়।শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের স্পেশাল অপারেশন টিম তাদের গ্রেফতার করে।শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, গত ২০ জুন সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকার ব্যবসায়ি আশিকুজ্জামানের উত্তরার বাসায় দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত খাকি রঙের খামে ১টি নোটিশ নিয়ে একজন অফিসার হাজির হয়। কার্পেটের ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণের চোরাচালান এবং মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ শুনে ভয় পেয়ে যান আশিকুজ্জামান। তখন দুদকের সে অফিসার আশিকুজ্জামানকে একটু সহানুভূতি দেখানোর ভান করে তাকে মোবাইল বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ডিবি, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক এবং এনএসআই দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে খুঁজছে বলেও ভয় দেখানো হয়। দুদকেও তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, এরপর চক্রটি ভুক্তভোগীকে মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে মতিঝিলের একটি হোটেলে আসতে বলে। এ বিষয়ে আগে থেকে গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছিল গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। পরে দাবি করা টাকা নিতে হোটেলে আসলে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি স্পেশাল অপারেশন টিম।
তিনি বলেন, মূলহোতা গৌতম ভট্টাচার্য কর্ম সূত্রেই জানে কিভাবে মানুষকে দুর্নীতি সংক্রান্ত নোটিশ পাঠাতে হয়। কিভাবে তাদের কাছ থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক ব্যাখ্যা নেয়া হয় এবং কিভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সে তার দুষ্কর্মের সহযোগীদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও চাকুরীজীবীকে টার্গেট করতো। তাদের ব্যক্তিগত নানা তথ্য সংগ্রহ করে দুদকের চিঠির খামে, প্যাড ও ফরমেট ব্যবহার করে অভিযোগের নোটিশ পাঠাতো। পরবর্তীতে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দান ও সমঝোতার নামে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিত চক্রটি।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রঃ ঢাকা, বাসস
জুয়েল মিয়া
যারা বাংলাদেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিব। উদ্যোগ যেটা আছে সেটাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবো।’ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসব কথা বলেন। ড. মোহাম্মদ ইউনূছের মামলায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে, ১২ জন মার্কিন সিনেটরদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর এই মামলার কাগজপত্র দেখেছি। সেখান থেকে আমি বলতে পারবো বিচারিক আদালতে প্রচলিত আইনের যে ধারা আছে সে ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে কিছু বলবো না। তার কারণ হচ্ছে, যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি নিশ্চয় আপিল করবেন। সেখানে কোন প্রভাব করুক সেটা আমি চাই না।’ সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক এক কথায় বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নিজ নির্বাচনি এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক গণসংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুদিনের সফরে সকালে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাসেদুল কাওছার জীবন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া সংসদীয় এলাকা থেকে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং টানা তিন বার আইনমন্ত্রী হওয়ায় শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনিসুল হককে গণ সংবর্ধনা দিবে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
নিউজ ডেস্ক : ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোববার রাত ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৩৩ বছরের মধ্যে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম ঢাকা সফর। জানা গেছে, ম্যাক্রোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সোমবার সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই শেষে উভয় নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে থাকছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী কেথেরিন কলোন্না। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকারের আশা, ম্যাক্রোঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বিস্তৃত হবে ও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।
১৯৯০ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। মিত্রান্দের ওই সফরের পর থেকে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে ও ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ। ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশের প্রকৌশল, জ্বালানি, মহাকাশ ও পানিসহ বিভিন্ন খাতের সঙ্গে জড়িত।
ঢাকা বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই কেবল দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই কেবল জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য এবং জনগণের সেবা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগের মূলমন্ত্র।আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে জনগণ সুবিধা পায় এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, এটা প্রমাণিত সত্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই, আজ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে।বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে না দেয়া হবে না বলে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমি জানি অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম নাদেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আক্তার জাহান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা উত্তর মহানগর সভাপতি বজলুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে পরিবর্তন কখনোই আসত না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি গৃহহীন ব্যক্তিকে একটি বাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন থাকবে না, কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তার সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দিচ্ছে। এমনকি বিনামূল্যে ইনসুলিনও দেওয়া শুরু হয়েছে। “তার মানে, আমরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং শিক্ষার মতো মানুষের প্রতিটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়াস অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, “সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।কোভিড-১৯, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “(দেশের মানুষ) একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমি এটা জানি। মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।শেখ হাসিনা দেশের ধনী ব্যক্তিদের আশেপাশে বসবাসতারী যারা একটু দরিদ্র তাদের প্রতি খেয়াল রাখার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, “কেউ যেন অস্বাস্থ্যকরভাবে জীবনযাপন না করে। আমরা প্রত্যেককে একটি সুন্দর বাড়ি এবং একটি সুন্দর জীবন দেব।” এটি হবে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার। একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন,জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি এবং আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছি আজকের বাংলাদেশে মানুষ নুন ভাতের বদলে ভাত মাংস খেতে চায়। অন্তত, আমরা এই উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের পরিকল্পিত উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করে। তিনি দেশের বিভিন্ন খাতে ও সামাজিক সূচকে তার সরকারের অর্জন এবং বিএনপি শাসনামল ও আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসনামলের মধ্যে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের আকার ২০০৬ সালের মাত্র ৬১,০০০ কোটি টাকা থেকে ৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকা, জিডিপির আকার মাত্র ৪.১৫ লাখ কোটি টাকা থেকে এখন ৫০.৩১ লাখ কোটি টাকা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ২০০৬ সালের ৫.৪০ শতাংশ থেকে ৭.২৫ শতাংশে (গড় ৬%) এডিপির আকার ২১,৫০০ কোটি টাকা থেকে ২৭৪,৬৭৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৫৪৩ মার্কিন ডলার তা থেকে ২,৮২৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদিও এখন তা ২,৭৬৫ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাড়িয়েছিল যা বিএনপি শাসনামলে ছিল মাত্র ০.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখনও ৩০.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ রয়েছে। তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২০০৬ সালের ১০.০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫২.৯৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বার্ষিক রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৪.০৩ বিলিয়ন ডলার যা বিএনপির আমলে ছিল ৪.৮ বিলিয়ন ডলার। রাজস্ব সংগ্রহ ৩৭,৮৭০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০,০০০ কোটি টাকার উপরে দাঁড়িয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার বিএনপি শাসনামলে ছিল ৪১.৫১ শতাংশ থেকে থেকে কমে এখন ১৮.৭ শতাংশে, চরম দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ৪৯ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, গড় আয়ু ৫৯ বছর থেকে ৭৩ বছর, বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩,০৭৮ মেগাওয়াট থেকে ২৫,২২৭ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে এবং ২০০৬ সালে মাত্র ২৮ শতাংশ থেকে জনসংখ্যার ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ কভারেজের সুবিধাভোগী, স্যানিটারি ল্যাট্রিন কভারেজ ৯৭.৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ৪৩.২৮ শতাংশ থেকে পানীয় জলের সুবিধাভোগী ৫৫ শতাংশ থেকে ৯৮.৮ শতাংশে, সামাজিক নিরাপদ কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ ২,১০৫ কোটি (৪ শতাংশ) থেকে ১২৬,২৭২ কোটি টাকা (বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ) এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা বিএনপি শাসনামলের ২১,৪৯,৩৫৭ থেকে ১,৮,১২৩,৫৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৬৭২ থেকে ১১৮,৮৯১টি, খাদ্য উৎপাদন ২.৬১ কোটি মেট্রিক টন থেকে ৯.৮০ কোটি মেট্রিক টন, খাদ্যশস্য উৎপাদন ১.৮০ কোটি মেট্রিক টন থেকে ৪.৯২ কোটি মেট্রিক টনেদাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ০.২৩ শতাংশ থেকে ৭৩.৫ শতাংশ, মোবাইল সিম সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা ১৯ মিলিয়ন থেকে ১৮৩ মিলিয়নে, ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ২০০ থেকে ৬৭০,০০০ জন, ডিজিটাল পরিষেবার সংখ্যা মুষ্টিমেয় কয়েকজন থেকে ২,১৮০ জনে উন্নীত হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটের সংখ্যা মাত্র ৯৮টি থেকে ৫১,৬৭৮টি হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে গ্রামীণ সড়ক ৩ হাজার ১৩৩ কিলোমিটার থেকে ৮৯ হাজার ৮৭৪ কিলোমিটার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এর মানে আমরা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি।