স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃ জুয়েল মিয়া
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আলোচিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একজন জেলা স্বেছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লোকমান হোসেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এই উপজেলার নির্বাচনের দৃশ্যপটের পরিবর্তন শুরু হয়েছে।এখন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) এর সঙ্গেই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।হেলাল উদ্দিন জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের ছোট ভাই। এই পরিচয়কে সামনে রেখে এবং আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। দলের নেতাদেরও তার পক্ষে নামানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে শোভনের অবস্থান তত ভালো হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শোভনের পক্ষে সর্বত্র সক্রিয় রয়েছেন। রমজানে ভর্তুকিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করে দৃষ্টি কাড়েন শোভন। এছাড়া ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।চেয়ারম্যান পদে লোকমান হোসেন ছাড়াও আরও ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত-কলম) ও আব্দুল কারীম (মোটরসাইকেল)। তারাও ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তফাজ্জল সিকদার (উড়োজাহাজ), মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই), মো. আজহারুল ইসলাম (তালা), মো. আনিছ খান (টিউবওয়েল), মো. ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম), রবিউল আলম (চশমা) ও শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উম্মে হানি সেতু (কলস), আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল), নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) ও শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।গতকাল শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঘোষিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লোকমান হোসেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে এবং দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই জন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, ভোটার, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খির কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যত দিন বেঁচে থাকবো সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সচেষ্ট থাকব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করে আগামীর পথচলার অঙ্গীকার করছি।’
নিউজ ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এবার স্কুলে এগুলো না পড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দেশের সব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয় দুটির ‘অনুশীলনী পাঠ’ ও ষষ্ঠ শ্রেণির ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তকগুলোর কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। ওই দুই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটিরও কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সংশোধনীগুলো শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।
তবে কী কারণে বই দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে এনসিটিবি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার ভাদুঘরে ৭ জনকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন ‘নারী বিদ্বেষী’ এক যুবক। এ সময় ১ নারী নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ঘাতক সিহাব মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত নয়ন মণি জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমাকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তবে আমার সঙ্গের কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নয়ন মণীর ভাই জুনায়েদ বলেন, ‘সিহাব গত এক মাস আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। সে প্রায়ই রাস্তাঘাটে মানুষকে বিরক্ত করতো’।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত সিহাব ‘নারী বিদ্বেষী’ ছিলেন। প্রতিনিয়ত নারীদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আখাউড়ায় পুলিশের অভিযানে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) চোরাইকৃত ২টি গরু এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত ১টি পিকআপ সহ চোর চক্রের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতার হওয়া চোর চক্রের দুই সদস্যরা হলেন,উপজেলার ছতুরা শরীফ গ্রামের আবুল ফরাগ মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (৩৪) এবং একই উপজেলার ভাটামাথা গ্রামের মোঃ আবু তাহের ওরফে মাখন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৭)।আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধরখার ফাঁড়ি থানার এসআই মোঃ মোবারক হোসেন ও এসআই আবুল কালাম এর সহায়তায় একটি টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে ২টি চোরাই গরু ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ সহ হাতে নাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এবং জেলা বিজ্ঞ আদালতে সপর্দ করা হয়।উল্লেখ্যঃ গত ০৭/১২/২০২৩ ইং রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় আখাউড়া থানাধীন ২নং ধরখার ইউপির, ছতুরা শরীফ গ্রামের হাসান মিয়ার বসত বাড়ির টিনসেড বিশিষ্ট গোয়াল ঘরের ভিতর হইতে ২ টি গরু চুরি হওয়ার পর হাসান মিয়াথানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রেইনবো প্রি স্কুলের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক জমকালো আয়োজনে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেন্টাল সার্জন ডা. মেজবাহ উদ্দিন, সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন ও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সালমা বারী, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, পাইকপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কবির আখন্দ, এবং সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশ এবং মেধায় সৃজনশীলতা গঠনে রেইনবো প্রি স্কুল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা আরও বলেন, কর্মজীবী বাবা-মায়েরা প্রাথমিক স্তরে শিশুদের প্রস্তুত করতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়, তবে রেইনবো প্রি স্কুল আনন্দের মাধ্যমে খেলার ছলে শিশুদের পাঠদান করে থাকে। বক্তারা স্কুলটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেইনবো প্রি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তার। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. নূরল আমিন এবং আশামনি।
এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, রাফেল ড্র এবং জাদু প্রদর্শনের মাধ্যমে অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পুরনো শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা স্বরূপ ড্রেস, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং নতুন শিক্ষার্থীদের মেডেল পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০ জন শিক্ষকের সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় রেইনবো প্রি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শারমিন আক্তারের বাবা মো. দুলাল মিয়া ও মা জোসনা বেগমকে।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে বেকিং সুন্দরী খাদিজা আক্তারের স্পনসর করা একটি কেক কেটে।