স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
আগামী ২১ মে ২য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাবমুক্ত, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। শনিবার (১৮মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সড়ক বাজারে অবস্থিত উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুয়েল রানা (টিউবওয়েল) ওই দাবি জানান।টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জুয়েল রানা অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা প্রচার করছে তাকে আওয়ামীলীগ সমর্থন দিয়েছে। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমার বৈঠক/সভাতে উপস্থিত হওয়া লোকজনকে নির্বাচনের পরে দেখে নেবে বলে ওই প্রার্থী ও তার কর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন। জোর করে ভোট ছাপিয়ে নিবে বলেও প্রচার করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি সুষ্ঠু ভোটের ব্যপারে আশঙ্কা করছি। জনগণ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, নির্বাচনের সেই সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবী জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট নিরপেক্ষভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের আয়োজনের আবেদন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’এসময় জুয়েল রানার ভাগিনা আবির বলেন, ‘শাপলু বলছে সম্পর্কটা যাতে নষ্ট না হয় এবং তুমি সাবধানে থাইকো। আমি বলছি ভাই আমরা চাই নির্বাচনটা যেন ফ্রি এন্ড ফেয়ার হয়। আপনি পাশ করেন আমাদের কোনো আপত্তি নাই। নির্বাচন যদি কেউ বানচাল করতে চাই তাইলে আমরা বাঁধা হিসেবে কাজ করবো। ওনি বলছে একটু সাবধানে থাকতে। এটা হুমকিস্বরূপই মনে হইতেছে।’এসময় যুবলীগ নেতা মনির খান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটা শংকা কাজ করে তারা ভোট দিতে যেতে পারবে কিনা, ভোট হবে কিনা, নাকি ভোট জোরে নিয়ে যাবে। আমাদের প্রতিপক্ষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। আমরা মিটিং করে চলে আসলে আমাদের সমর্থকদের প্রতিপক্ষের কর্মীরা গিয়ে বলে, আপনাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে না। ভোট ছাপাই ফেলবো। নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে কিনা সেটা আজও আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।’অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইক প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু বলেন, ‘অনেক প্রার্থী অনেকভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। গত পাঁচটি বছর আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি কোনোদিন কাউকে কোনো হুমকি-ধমকি দিয়েছি এই প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। প্রত্যেক ভোটারদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। জনগণের মন জয় করার চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ ভোটের মাধ্যমেই আমার বিজয় সুনিশ্চিত হবে। আমি হুমকি ধমকিতে বিশ্বাসী না, জনগণকে বিশ্বাস করি, জনগণের ভোটকে বিশ্বাস করি। এখন আমার শক্তি দেখে, ভোটারদের আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস দেখে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করার চেষ্টা করতেছে। ভোটারদের অনুরোধ করব নির্দ্বিধায় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন, কোনো জবরদস্তির বিষয় নাই। এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাকে দলীয় সমর্থন দিয়েছে এমন কথা আমি কোনো মিটিং মিছিলে বলিনি, এটা তাদের ভুল ধারণা।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।
তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বিদুৎ, গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া,
জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ, ছাত্র নেতা তাসকিন আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ১০বছর যাবৎ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেনা৷ দিনের পরিবর্তে রাতেই ভোটের কাজ শেষ হয়ে যায়। বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হরিলুট চলছে। উপনির্বাচনে হিরো আলমের সাথে দুর্নীতি করে জোরপূর্বকভাবে তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে। অথচ তিনি হিরো আলমের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি। জনগণ আজ দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়ে যদি জনগণের ভোট পেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হয় তাতে এদেশের জনগণের কোনো সমস্যা নাই। রাজবন্দিদের অচিরেই মুক্তি দিতে হবে, মামলা হামলার পথ ছেড়ে জনগণের দাবি মেনে নেন। অনতিবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেন। আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করলেই প্রমাণ হবে। ২০পারসেন্ট ভোট পাবে কিনা সন্দেহ। চেতনা বিক্রি বন্ধ করুন, জনগণ সব বুঝে, জানে এবং দেখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল -আশুগঞ্জ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাত্তারকে সমর্থন করে ২০শতাংশের মতো ভোট গ্রহণ দেখিয়ে এমপি নির্বাচন করতে হয় আওয়ামীলীগের।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীর বলেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, বাঁচার জন্য পেটে ভাত না থাকলে, উন্নয়ন দিয়ে কি হবে?
ঝুঁকিপূর্ণ চড়া সুদের বিদেশি ঋণের টাকায় আইওয়াশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে, জনগণের কল্যাণে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন করুণ।
অর্থপাচার, লুটপাট, দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রোধ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা সহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য হলেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন।
অন্যথায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, বাংলাদেশের জনগণ আর মানবেনা। বাংলাদেশের জনগণ সেই ১৯৪৮, ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে ইতিহাস রচনাকারী জাতি। তারা প্রয়োজনে আরও শত সহশ্র বার অন্যায়, অনিয়ম, অধিকার হরণের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে ইতিহাস রচনা করবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, টেলিভিশন জার্লালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে তিনদিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করেছে প্রেসক্লাব। কর্মসূচীর মধ্যে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন। সংবাদকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারন।৩ দিনের শোক শেষে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ১০ই মার্চ শুক্রবার বাদ জুম্মা সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যেগে শহরের প্রত্যেক মসজিদে দোয়ার আয়োজন।
রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সুধীজনদের অনুভুতি প্রকাশের জন্য শোক বই খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার (০৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।উল্লেখ্য, সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।তার ছোট ভাই শিহাব উদ্দিন বিপু জানান, মরদেহ ভারত থেকে আসার পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে নামাজের জানাযা সময় নির্ধারণ করা হবে। এ দিকে রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাঁর বাসায় সহকর্মী সাংবাদিকবৃন্দ, আত্মীয়স্বজনসহ শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাব ৫ দিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করে কালো ব্যাচ ধারন করেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উদ্যোগে কোরআন খতম কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে সম্মানিত সকল সাংবাদিকদের নিজ নিজ মহল্লার মসজিদে মঙ্গলবার বাদ এশা দোয়ার আয়োজন করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বেলাল।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে নিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।জেলার ছয় আসনের মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে প্রত্যাহার করেন।প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন জহিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সেলিম কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে জামসেদ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আব্দুল আজির।জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। বাকি একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে আবেদন করে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা তা বুঝতেই পারছেন। আমরা কোনো সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নিবো না।