স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খাল ভরাট করে দখলের পর এবার ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলছে একটি প্রভাবশালী মহল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের অন্তর্গত বনগজ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন লতিফ খন্দকার ও রমজান মিয়ার বাড়ির পাশের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়েই ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলছে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমকেও পাওয়া যায়। বনগজ গ্রামের মৃত ছেলু মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম সফিক এবং শাহেদ মিয়ার ছেলে কালন মিয়ার নেতৃত্বে ও তত্বাবধানে ব্রিজটি ভাঙ্গা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। ব্রিজটি ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা হলেন ছাদেক হোসেন ও মিজান মিয়া। তাদেরকে সফিক ও কালন মিয়া ব্রিজ ভাঙ্গার এই কাজে নিযুক্ত করেছেন বলে তারা জানান। ব্রিজের জায়গায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে কালন ও সফিক আত্মগোপনে চলে যান। পরে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে তখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ আলমের আমলে খালটির ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। খালটির দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের সুবিধার জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির দুইপাশের একটি বৃহৎ অংশ মাটি ফেলে ভরাট করে দখল করে ফেলেছে। এতে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এখন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে খালের পুরো অংশ ভরাট করে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার জহুরুল ব্রিজ ভাঙ্গার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে আমার নামে এমন একটি কথা আমিও শুনেছি। তবে এটি সত্য নয়। ব্রিজ ভাঙ্গতে হলে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন,‘ আসলে এই বিষয়টি আমি আপনাদের (সংবাদকর্মীদের) মাধ্যমে প্রথম অবগত হয়েছি।আমরা পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।খালটির দুইপাশে ভরাটের বিষয়টিও অবগত হলাম, আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। ব্রিজটি ভাঙ্গার জন্য কোনো ধরনের অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’আখাউড়া তন্তর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা এবিএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড)স্যার আমাকে পাঠাইছে। ব্রিজটি যে ভাঙ্গতেছে এটা দেখার জন্য আমি সরজমিনে আসছি।স্থানীয় মেম্বার বলছে তিনি ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানেন না।যারা ব্রিজ ভাঙ্গার কাজ করছে তারা কালন ও সফিকের নাম বলছে। ওনারা ভাঙ্গাইতাছে। ধরখার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। চেয়ারম্যান বলতাছে প্রাইমারি স্কুলের উন্নয়নের কাজ হইতেছে। সরকারী কাজের মালামাল এখান দিয়ে যাবে। ব্রিজটি থাকলে মালামাল নিতে সমস্যা হয়ে যায়।’এবিএম ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন,‘ আমার ধারণা সম্ভবত এখানে একটি খাল ছিল। খালটি তো দেখা যায় এখন ভরাট করে ফেলছে।এখন স্কুলের মালামাল নেওয়ার জন্য ব্রিজটি ভাঙ্গতেছে। আমি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে গেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে গেছি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলার জন্য। উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়ে ব্রিজ ভাঙ্গতো পারেনা। সরকারি ব্রিজ ভাঙ্গতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে দিনব্যাপী সচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে কুষ্ঠরোগ বিষয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাক্তার মফিজুর রহমান ফিরোজ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার জুয়েল খিয়াং প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা আরও বলেন, সার্বিক বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠরোগের তেমন বিস্তার নেই। আর যাদের শনাক্ত করা হয়েছিল তারাও চিকিৎসার মাধ্যমে এখন অনেকটা সুস্থ। এক সময় কুষ্ঠরোগীকে সমাজে বহু বঞ্চনার শিকার হতে হলেও এখন সে চিত্র পাল্টেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠরোগ থেকে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এছাড়া কুষ্ঠরোগ ব্যাকটেরিয়াজণিত ছোঁয়াচে রোগ হলেও চিকিৎসার আওতায় এলে ছোঁয়াচের মাধ্যমে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাও বহুলাংশে কমে যায়। বক্তারা কুষ্ঠরোগ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।কর্মশালায় তারা আরও জানান, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত ৪ বছরে জেলায় ১৬৯ জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এ নিয়ে চার বছর ছয় মাসে ১৮৫ জন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এই ঘটনা রাতে ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেপ্তারকৃত তিনজন সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতে মামলা নথিভুক্ত করার পর ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন সেই ওলিও। এক শতাংশ ভোটারের সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।এর আগে ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ জন ভোটারের একজন সাক্ষর করেননি মর্মে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর ফলে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোরজুর রহমান ওলিও।প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, ‘আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রবিবার ( ৭ এপ্রিল) রাত ১১ ঘটিকার সময় গোগন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের নছর উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল (২৭), একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাটপারা গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (২৭) এবং একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান(২১)। এসময় তাদের নিকট হইতে দেশীয় তৈরি এসএস পাইপের চাইনিজ কুড়াল ও রামদা উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্র জানায়, এসআই (নিঃ) জুলফিকার, এসআই ইসমাইল হোসেন, এসআই রেজাউল করিম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড় হরণ এর বাসিন্দা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগত বাজারের মেসার্স আল মদিনা বাণিজ্যালয় এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আশিকুল ইসলাম (৩৪) ও মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া (৪০) বাড়ি ফেরার সময় ব্যবসায়িক টাকা ভর্তি ব্যাগ ডাকাতি করার জন্য সদর থানার বড় হরণ গ্রামের ফাঁকা ব্রিজের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের সহযোগী আশুগঞ্জ উপজেলার মধুরহাটি গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে রাজীব (২৩) এবং একই এলাকার কাওছার (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ডাকাত দলের নতুন সদস্য। ডাকাত দলের সর্দার লালপুর এলাকার কাওছার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। ডাকাত দলের সর্দার কাওছারের নামে ডাকাতির মামলা আছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সালমান হোসাইন
২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিমরাইলকান্দিস্থ চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” বইয়ের পাঠ আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।জনাব মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায়, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি কথাসাহিত্যিক জনাব আমির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত পাঠ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব জয়দুল হোসেন, কবি ও গবেষক সভাপতি সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মনির হোসেন(বাচিকশিল্পী) সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম লিমন, সহকারী পরিচালক জেলা সরকারি গ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিমল ভৌমিক, প্রধান শিক্ষক গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়,মোহাম্মদ হারুন- আল -রশিদ ভূঁইয়া, নির্বাহী সম্পাদক, ‘চেতনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কবি মোঃ ইউনুছ সরকার, প্রমুখ। উক্ত আলোচনা৷ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ অন্যান্য অতিথি গণ।বর্তমান গল্পগ্রন্থ” নির্বাক জোছনার “খানবিশেক গল্পে তিনি বয়ন করেছেন জীবনের এমন সব কথা ও কাহিনি, অতি সাধারণ জিনিসও তার কলমের জাদুস্পর্শে অসামান্য হয়ে উঠেছে। মধ্যবিত্ত,নিম্নবিত্ত, দারিদ্র মানুষের সুখ- দুঃখ ট্র্যাজেডি, সমাজ ও ধর্মের নামে অনাচার, মাদ্রাসাশিক্ষার নামে শিশুনির্যাতন ও ধর্মব্যাবসা, নিপিড়ীত শৈশব- কৈশোর, বাঙালির প্রবাসজীবনের দুঃখ-বেদনা – হতাশা, বিদেশীদের জীবনাচরণ, পারিবারিক জীবনের জটিলতা, কুটিলতা, স্বার্থপরতা, প্রেম ও প্রতারণা ইত্যাদি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের বিস্মৃত ঘটনাবহুলতা ও খন্ড -অখণ্ড বাস্তবতা এর বহুকিছু তিনি তুলে আনেন হাস্যকরুণ ও মর্মস্পর্শী ভাষায় ব্রাহ্মণবাড়িযার কৃতি লেখক অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের নতুন গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” প্রকাশিত ১১তম গ্রন্থ।