স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
বিজয়নগরে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামির অভিযোগ পাওয়া যায় ।
মামলার বাদী:- উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের কামাল মোড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে আসমা আক্তার।
গত ৩১ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল আদালতে আসমা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আসামি, বিজয়নগর থানায় ধারা ৩৬(১) সারণীর ১০ (ক) ৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে, জিআর ১২৪/২৪ মামলার চিহ্নিত এজহারভুক্ত ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ী, তাহারা উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির ভারত সীমান্ত ঘেষা ধুরানাল গ্রামের আব্দুর রশিদ খন্দকারের ছেলে দুলাল খন্দকার ও মতিউর রহমান খন্দকারের ছেলে শফিউল আলম টিটু খন্দকার।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়,
এলাকায় ও থানায় চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী শফিউল ও দুলাল অত্যন্ত প্রভাবশালী এদের রয়েছে অডেল কালো টাকা, মাদক ব্যবসার সুবিধার্থে মামলার বাদির স্বামী মতিউর রহমানকে মাদক ব্যবসায় যুক্ত করতে শশুর বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে সে টাকায় মাদক ব্যবসায় শেয়ার হওয়ার জন্য কুপরামর্শ দেয়, এ বিষয়ে আসমা আক্তার জেনে যায়, যৌতুকের টাকায় মাদক ব্যবসা করার জন্য আসমা আক্তার অস্বীকৃতি জানায়, এরপরই শফিউল ও দুলালের প্রকাশ্য মদদে এদের সুখের সংসারে আগুন লাগে, শুরু হয় পারিবারিক কলহ, ঘটনার দিন ও সময়ে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় আসমার স্বামীর সহযোগে আসমাকে ৫ লক্ষ টাকা মাদক কারবারের শেয়ার হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে অস্বীকার করায় তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,
উক্ত বিষয়ে আসমা আক্তার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আদালতে পি৫৬/ ২৪ বিজনগর মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে এলাকার, ইকবাল মিয়া বিল্লাল মিয়া, সহ আরো অনেকের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
জুয়েল মিয়া
সরকারদলীয় প্রার্থীকে বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ( ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।এছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় একাধিক প্রার্থী তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এমপিরা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠলে ইসি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং নিয়ম অনুযায়ী কে কতটুকু সুবিধা পাবেন, তা-ও উল্লেখ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি উঠলে ইসি জানান, এখন থেকে আর আগের মতো প্রটোকলের বিষয়টি দেখা যাবে না। কিভাবে কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে আনিছুর বলেন, ‘ডানে-বাঁয়ে তাকানোর সময় নেই। কে কোন দলের সেটা আপনারা ভাববেন না। প্রিজাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যারা মাথায় নিয়ে রেখেছেন, সেটা মাথা থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। ভোটের আগে-পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
এ সময় বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য ও শহর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বশির আহমেদ ভূঁইয়া’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সুনামগঞ্জের জাবির হোসেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর (২০২৪ ইং) ৩৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ৭৪। এর মধ্যে বশির আহমেদ ৭ নম্বর আসামি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬/৩/২০২১ ইং সনে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেদ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ মোদির সফর বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হয়। উক্ত আন্দোলনের ফলে সৃজিত উত্তেজনা চট্রগ্রামে একটি মাদ্রাসায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আওয়ামীলীগ ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় গুলি করে ৪ জন মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করে। ফলে সারাদেশে মোদি বিরোধী আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬/৩/২০২১ ইং তারিখ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্র-শিক্ষক ধর্ম ভীরু তৌহিদী জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এর পরের দিন শনিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকে হরতালের সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধর্মভীরু তৌহিদী জনতা এবং মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি মিছিল নন্দনপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করিলে আওয়ামী ক্যাডাররা বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল, কাটা রাইফেল, চাইনিজ রাইফেল ইত্যাদি অস্ত্রাদি নিয়া ঘটনাস্থলে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। সন্ত্রাসীদের গুলি আমার ছেলে বাদল মিয়ার কোমড়ের ডানপাশ্বে লাগিয়া বামপাশে দিয়ে বের হয়। পরে আমার ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সদর হাসপাতালে তাহার মৃত্যুর সংবাদে উত্তেজনা সৃষ্টি হইলে প্রশাসনিক নির্দেশে এবং তাদের চাপে বিনা পোষ্টমর্টেমে আমার ছেলেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার নবাগত ইউএনও রাবেয়া আক্তার যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদান করার পর উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে নবাগত ইউএনওকে বরণ করে নেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সারাদেশে ইউএনও বদলী প্রক্রিয়ায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমাকে রাউজান উপজেলায় বদলী করা হয়। রাবেয়া আক্তারকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
জানা যায়, ইউএনও রাবেয়া আক্তার বিসিএস (এডমিন) ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে এমবিএ করেছেন। আখাউড়ায় যোগদানের আগে তিনি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিখোঁজের দুদিন পর রনি ওরফে ছোটন (৬) নামের এক শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।ছোটন সদর ইউনিয়নের ওই গ্রামের প্রবাসী মোঃ আব্দুল হাই ভূঁইয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দুই কিশোরকে আটক করা হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রনি ওরফে ছোটন মোবাইল নিয়ে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এসময় মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করে দেওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী শাহ আলমের ছেলে রিফাত, লিটন ও ইয়াছিন ফুঁসলিয়ে ছোটনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তারা শিশু ছোটনকে পাশের দাঁতমণ্ডল গ্রামের ওরশে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় স্বজনরা ছোটনকে না পেয়ে মোবাইলে ফোন দিলে রিফাত ফোনটি রিসিভ করার পর বন্ধ করে দেয়।এই ঘটনায় রনির মা সুলেমা বেগম বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। আরেকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে সেটি জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ২২ কেজি গাঁজাসহ এক মাদককারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় মাদকদ্রব্য পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিকেও জব্দ করা হয়।বৃহস্পতিবার ( ১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার পাইকপাড়া এলাকার কান্দু মিয়ার বাড়ির সামনে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারি মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে আবুল হোসেন (২৫)। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদক আটকের ঘটনায় থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।