স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের
অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এরকম একটি খাত হল বীমা শিল্প, যা তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছিল। বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা বীমা খাতের অগ্রগতি ও বিবর্তনে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে। তার রূপান্তরমূলক উদ্যোগ এবং অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পকে গঠন ও অগ্রসর করার পথে অগ্রসর হন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সকল নাগরিকের জন্য অপরিহার্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা যখন বীমা শিল্পের উপর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রভাবের দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তার স্থায়ী উত্তরাধিকার এই অত্যাবশ্যক খাতকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার দূরদর্শী নীতিগুলি এর বিবর্তনের দিকনির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দৃষ্টি ছিল। তিনি সমাজের সকল স্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য বীমা পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নয় বরং সামাজিক কল্যাণের দিকেও মনোযোগী ছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান করা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সরকার ২৯টি পাকিস্তানি কোম্পানিকে তদারকি করার জন্য ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি The Banglades (Taking over of control and management industrial and commercial concern) Order,1972 নামে একটি অধ্যাদেশ জারী করে উক্ত অধ্যাদেশের ২(১) এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance ( Emergency Provision) Order,1972 জারি করা হয়। এ Act এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের বীমা আইন হিসাবে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটিকে মূলভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ নং(৯৫) অনুযায়ী দেশের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। উক্ত আদেশে দেশের ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (Insurance Corporation Ordinance 1973) মাধ্যমে উক্ত পাচঁটি বীমা সংস্থাকে দুটি সংস্থার অধীনে আনা হয়। একটি হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হলো সাধারন বীমা কর্পোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করে আসছে সরকার। কারণ ১৯৬০ সালের এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন। আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে। ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক।
শুরু থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং স্থায়ী। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং জনসচেতনতার প্রচার বীমা খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার উদ্যোগের উত্তরাধিকার জাতিকে উপকৃত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে নাগরিকদের বীমা পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। সালমান হোসাইন,ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।
আদিত্য কামাল:
মা-বাবা ও সকল কবরবাসীর রুহের মাগফেরাত কামনায় সরকার পাড়া জামে মসজিদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির এর আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দারুল উলুম সরকার পাড়া মাদ্রাসায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।আব্দুল মতিন শিপনের উপস্থাপনায় ও হাফেজ মাওলানা আবু বকর আমীন কাশেমীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান লাইন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মেয়র জনাব মো. হেলাল উদ্দিন। মাহবুবুল বারী মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ। মাহবুবুল আলম খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ। কবি গীতিকার দেওয়ান মারুফ, সত্ত্বাধিকারী এম আর টেক্সটাইল। এড. শাহনূর ইসলাম, সভাপতি জেলা যুবলীগ। এড. ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক জেলা যুবলীগ। হাজী জসিম উদ্দিন জমসেদ, সাবেক সভাপতি জেলা বাস মালিক সমিতি। এড. লোকমান হোসেন, সভাপতি জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ। সাইদুজ্জামান আরিফ, সাধারণ সম্পাদক জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ। আমজাদ হোসেন রনি, সভাপতি শহর যুবলীগ। এড. কামরুজ্জান অপু, সভাপতি শহর সেচ্ছাসেবক লীগ। এ কে মামুন, সভাপতি সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ। আবু কাউছার, যুগ্ম সম্পাদক সদর উপজেলা যুবলীগ।আরও উপস্থিত ছিলেন, মোস্তাক আহমেদ খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শহর আওয়ামীলীগ। মো. বিল্লাল মিয়া, পরিচালক পৌর কমিউনিটি সেন্টার। বিশিষ্ট শালিসকারক মো. জিল্লু মিয়া। মোহাম্মদ হোসেন, সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী। ফারুক আহমেদ পারুল, সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদ। শরীফ আহমেদ খাঁন, সাধারণ পিস ভিশন বাংলাদেশ। আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর। বিপু মুন্সি, সত্ত্বাধিকারী সারগাম স্টুডিও। মো. মনির হুসেন, স্টাফ রিপোর্টার পথিক টিভি। হোসাইন ইসলাম জয়, নৃত্য শিল্পী প্রমূখ।দ্বীনি হেদমতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা স্বারক গ্রহণ করেন, মুফতি সাইফুল্লাহ্ নূর কাশেমী, ইমাম বেপারি পাড়া জামে মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মাওলানা নজরুল ইসলাম সাহেব, ইমাম ও খতিব সৈয়দ বাড়ি পুরাতন শাহী মসজিদ। মুফতি আবু ইউসুফ সাহেব, ইমাম ও খতিব মৌলভী হাটি জামে মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
দোয়া পরিচালনা করেন, আলহাজ্ব মোবারক উল্লাহ্ সরকার পাড়া জামে মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।কৃতজ্ঞতায়, জনতার খবর, পথিক টিভি, জাতীয় টিভি ও সারগাম স্টুডিও।
মুখলেছুর রহমান অভি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিজয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতা সুনির্মল সাহাকে সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদ সাগরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাক বাংলো খেলার মাঠে সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মিসভা শেষে নবগঠিত সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সুনির্মল সাহার সভাপতিত্বে কর্মিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর বিজয়নগর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঞা,জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানূর জাহান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক ভূইয়া সহ আরো অনেকে। সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মিসভা শেষে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সুনির্মল সাহা কে সভাপতি ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতা এমদাদ সাগর কে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উপজেলার সকল সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
একপ্রতিক্রিয়া নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এমদাদ সাগর এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাকে বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর বিজয়নগর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, আমাদের অবিভাবক জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তাছাড়া আমাদের সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন করার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সবসময় রাজপথে থাকবে।এমদাদ সাগর বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
জুয়েল মিয়া
মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নব নিযুক্ত সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে আমার উপর যে দায়িত্ব গুলো আছে বিশেষ করে সাধারণ মানুষ যেন নিরবিচ্ছিন্ন এবং উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পায়, সরকারের সেবাটা যেন মানুষ পায় ; এটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব এবং মানুষের খাদ্য পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য আমি অবশ্যই সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করে স্পেসিফিক সমস্যা গুলো চিহ্নিত করবো।আগামী সপ্তাহ থেকে কাজে নামব৷’
আজ বুধবার (২৭মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এর আগে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পদোন্নতি পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ২৫ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এর আগে আজ বুধবার (২৭ মার্চ) অপরাহ্নে জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন নব্য যোগদান করা সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এর নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এ দায়িত্বভার অর্পণ ও গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিএমএ ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: আবু সাঈদ,জেলার সকল ইউএইচএফপিওবৃন্দ, সিভিল সার্জন কার্যালয় সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে নারায়ণ চন্দ্র দাস (৬০) নামে এক নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আজ ভোররাতে উলজেলার রুপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণ চন্দ্র দাস উপজেলার রুপসদী ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের দক্ষিণ দাস পাড়ার মৃত দেবেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণ গত দুই বছর যাবত রূপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিল। প্রতিদিনের মত গতকাল রাতে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় একটি দোকানের ভারি কাঁচযুক্ত কাঠের রেক নারায়ণের উপর চাপা পড়িয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরও চার ইউএনও বদলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরও ৪টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম সই করা এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও মেজবা উল আলম ভূইয়াকে। আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমাকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ইউএনও রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগরের ইউএনও ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিলের ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বদলি করা হয়েছে,তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার ইউএনও মুহা.আবুল মনসুরকে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে এবং খাগড়াছড়ির পানছড়ির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বদলি করা ।