স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের
অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এরকম একটি খাত হল বীমা শিল্প, যা তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছিল। বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা বীমা খাতের অগ্রগতি ও বিবর্তনে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে। তার রূপান্তরমূলক উদ্যোগ এবং অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পকে গঠন ও অগ্রসর করার পথে অগ্রসর হন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সকল নাগরিকের জন্য অপরিহার্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা যখন বীমা শিল্পের উপর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রভাবের দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তার স্থায়ী উত্তরাধিকার এই অত্যাবশ্যক খাতকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার দূরদর্শী নীতিগুলি এর বিবর্তনের দিকনির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দৃষ্টি ছিল। তিনি সমাজের সকল স্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য বীমা পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নয় বরং সামাজিক কল্যাণের দিকেও মনোযোগী ছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান করা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সরকার ২৯টি পাকিস্তানি কোম্পানিকে তদারকি করার জন্য ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি The Banglades (Taking over of control and management industrial and commercial concern) Order,1972 নামে একটি অধ্যাদেশ জারী করে উক্ত অধ্যাদেশের ২(১) এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance ( Emergency Provision) Order,1972 জারি করা হয়। এ Act এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের বীমা আইন হিসাবে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটিকে মূলভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ নং(৯৫) অনুযায়ী দেশের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। উক্ত আদেশে দেশের ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (Insurance Corporation Ordinance 1973) মাধ্যমে উক্ত পাচঁটি বীমা সংস্থাকে দুটি সংস্থার অধীনে আনা হয়। একটি হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হলো সাধারন বীমা কর্পোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করে আসছে সরকার। কারণ ১৯৬০ সালের এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন। আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে। ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক।
শুরু থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং স্থায়ী। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং জনসচেতনতার প্রচার বীমা খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার উদ্যোগের উত্তরাধিকার জাতিকে উপকৃত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে নাগরিকদের বীমা পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। সালমান হোসাইন,ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকিটসহ আমীন মিয়া (৩২) নামে এক কালোবাজারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৫টি আসনের ছয়টি টিকিট পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে থানা পুলিশ ফাঁড়ির এক অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়া আমীন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউটের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমীন মিয়া সকাল নয়টার দিকে হাঁকডাক করে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছিলেন। এ সময় তাকে আটক করা হয়। কালোবাজারিতে টিকিট বিক্রির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আগেও একটি মামলা হয়। এখন আরেকটি নতুন মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর চেক উপহার পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৪জন সাংবাদিক। আজ সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উপহারের চেক গুলো তুলে দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে গঠন করা হয়েছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা কালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এছাড়াও অসচ্ছল ও অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসার জন্যে পাশে দাঁড়াচ্ছে সরকার। তিনি যে কোন প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি বলেন, করোনাকালীন সময়ে কয়েক ধাপে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন তাদেরও দেওয়া হয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্টে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার করার পর যে টাকা ছিল, তা ঈদ উপহার হিসেবে সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির জন্যে কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
সালমান হোসাইন
২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিমরাইলকান্দিস্থ চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” বইয়ের পাঠ আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।জনাব মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায়, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি কথাসাহিত্যিক জনাব আমির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত পাঠ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব জয়দুল হোসেন, কবি ও গবেষক সভাপতি সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মনির হোসেন(বাচিকশিল্পী) সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম লিমন, সহকারী পরিচালক জেলা সরকারি গ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিমল ভৌমিক, প্রধান শিক্ষক গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়,মোহাম্মদ হারুন- আল -রশিদ ভূঁইয়া, নির্বাহী সম্পাদক, ‘চেতনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কবি মোঃ ইউনুছ সরকার, প্রমুখ। উক্ত আলোচনা৷ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ অন্যান্য অতিথি গণ।বর্তমান গল্পগ্রন্থ” নির্বাক জোছনার “খানবিশেক গল্পে তিনি বয়ন করেছেন জীবনের এমন সব কথা ও কাহিনি, অতি সাধারণ জিনিসও তার কলমের জাদুস্পর্শে অসামান্য হয়ে উঠেছে। মধ্যবিত্ত,নিম্নবিত্ত, দারিদ্র মানুষের সুখ- দুঃখ ট্র্যাজেডি, সমাজ ও ধর্মের নামে অনাচার, মাদ্রাসাশিক্ষার নামে শিশুনির্যাতন ও ধর্মব্যাবসা, নিপিড়ীত শৈশব- কৈশোর, বাঙালির প্রবাসজীবনের দুঃখ-বেদনা – হতাশা, বিদেশীদের জীবনাচরণ, পারিবারিক জীবনের জটিলতা, কুটিলতা, স্বার্থপরতা, প্রেম ও প্রতারণা ইত্যাদি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের বিস্মৃত ঘটনাবহুলতা ও খন্ড -অখণ্ড বাস্তবতা এর বহুকিছু তিনি তুলে আনেন হাস্যকরুণ ও মর্মস্পর্শী ভাষায় ব্রাহ্মণবাড়িযার কৃতি লেখক অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের নতুন গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” প্রকাশিত ১১তম গ্রন্থ।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি :ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়েছে গত শনিবার। ১০ বছর পর হওয়া এই নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো ব্যাপক। নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্যের ৪টি এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্যের একটি পদের জন্যে দুটি প্যানেলে ১০ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এতে ৫টি পদেই জয় পেয়েছে খোকন-আনিছ পরিষদ। তাদের সবাই দ্বিগুনেরও বেশী ভোট পেয়েছেন। সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে সর্বোচ্চ ৫৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হন মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ,২য় মো: আজহারুল করিম পেয়েছেন ৫৩৯ ভোট,মো: আনিছ খাঁন ৫২৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং ৪৫৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আবদুল্লা আল সাঈদ। নারী অভিভাবক সদস্য পদে ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তাহমিনা আক্তার। তাদের প্রতিদ্বন্ধি পুরুষ অভিভাবক সদস্য মনির খাঁন পেয়েছেন ২৮৬ ভোট,মো: শফিকুর রহমান ২১২ ভোট,নন্দ দুলাল পাল ১৬৩,দীলিপ কুমার কর্মকার ১৪১ এবং বিউটি রানী সুত্রধর পেয়েছেন ২৫২ ভোট। খোকন-আনিছ পরিষদ বিদ্যালয়ের পাশের লোকনাথ ময়দান ভিত্তিক সংগঠন ‘ভোরের সাথী’ মনোনীত প্যানেল হিসেবে পরিচিত। সংগঠনের সভাপতি মো: আতিকুল ইসলাম আতিকের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ওই প্যানেলকে জয়ী করতে সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে মোট ১৪২১ ভোটের মধ্যে ৯৫৬ ভোট কাষ্ট হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু জামাল জানান-২০১৪ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর এডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার জীবন ভট্টাচার্য জানান-নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ন হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম মেড্ডার আরামবাগে অবস্থিত স্কুল প্রাঙ্গণে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সভাপতিত্বে ও আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নতুন মাত্রা’র সম্পাদক আল-আমিন শাহীন, জনতার খবর সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুনাহার, বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক সামসুল আলম বাবু, পিসভিশন সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খাঁন, কবি আজীজা সোপান, কবি গোলাম মোস্তফা, জেলা কিন্ডার গার্টেন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ফারহানা ববি, কবির কলম এর সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, সোনালি সকালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, সমন্বয়ক শাহআলম পালোয়ান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক মোহাম্মদ আবদুল বাতেন, কেক সুন্দরী আখি নূর, কণ্ঠ শিল্পী সাজ্জাদ হোসেন হেলাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবদুল্লাহ্ আল নাঈম, ভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভির সম্পাদক জানে আলম, প্রিয় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর রহমান নাহিদ, জননী কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পারভিন বেগম, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র এডমিন সোহাগ সরকার, শাহরিয়ার আহমেদ শুভ, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনে সভাপতি সৈয়দ রুম্মান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা ফিভা ও নুসরাত আক্তার।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা, সবশেষে কেক কেটে উপস্থিত সকালের মাঝে বিতরণ করা হয়।