স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকালে মামলা করা হয়েছে।বর্তমানে এলাকা পুরুষশূন্য। এ ঘটনায় ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও একই গ্রামের হারিছ মিয়াকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় আহত মো. মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাজুড়ে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হোসেনের ছোট ভাই মো. মোশাররফ হোসেনকে (৪০) খাদুরাইল মোড়ে একা পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষরা। তাকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আহত মোশাররফের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আদিত্ব্য কামাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. মুসলেখ উদ্দিন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মো. রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড।
ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নিয়াজ মো. বিটুর সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা রাখেন- প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় ফাউন্ডেশনের কার্য্যক্রমের ভুয়শী প্রশংসা করে বলেন- মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন আজকে মানবিকতার যে দর্শন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা সবার জন্যে অনুপ্রেরনা দায়ক। টাকা পয়সা অনেকে রোজগার করেন। কিন্তু মানবিক কাজে অর্থ ব্যয় করার মানসিকতা সকলের থাকেনা। ফাউন্ডেশনটির কর্নধার আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটুর মতো সবাই এভাবে এগিয়ে আসলে অসহায়-দরিদ্র মানুষ আরো নানাভাবে উপকৃত হতেন।
মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও সেলাই মেশিন, ঈদ-সামগ্রী, চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়ে থাকে।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে পরিষদের সদস্যরা আল মামুনের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদান ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। আল মামুন সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১লা ডিসেম্বর। এরপর সোয়া ২ মাসের মধ্যে তার কর্মকান্ডে সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।সরাইল থেকে নির্বাচিত পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোট পেতে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের আর্থিক বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটের দাম হিসেবে এখন তাদের ৪ লাখ ও ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। যা নিয়মে নাই। চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামতো সবকিছু করছেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।
গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। সদস্যদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার পরিষদের প্রথম সভায় সদস্যদের কোনো লিখিত ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী তিন জন সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করেন। সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে ভোটার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য তিনি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এটি প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। অথচ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতাবলে সকল উপজেলা চেয়ারম্যানকে ৪ লাখ টাকা, পৌরসভার মেয়রদের ৪ লাখ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা, ২০২২ এবং এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এর পরিপন্থি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। যার ছকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এবং এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সম্প্রতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ না করে প্রায় ৩ হাজার শীতবস্ত্র (কম্বল) ক্রয় করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ০৯/১০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভায়ও কোনো অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। এসব অভিযোগ তুলে ধরে তারা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সদস্যদের একজন বিউটি কানিজ সাংবাদিকদের জানান, প্রথম সভাতে চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানান। এরপর খুশিমতো প্রকল্প ও অর্থ বরাদ্দ দেন। কম্বলও নিজের মতো করে ক্রয় করেন। ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য বিল্লাল মিয়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ জানান।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার জানান, এধরনের কোনো কিছু ঘটেনি। নিয়ম-নীতির বাইরে কোনো কিছু করিনি। কার কি অভিযোগ সেটা আমি না দেখে বলতে পারবো না।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণ অধিকার পরিষদের আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় জেলাশহরের কাউতলীতে অবস্থিত নওমী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্র, যুব, শ্রমিক এবং প্রবাসী অধিকার পরিষদ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফুল হাসান তপু, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফোরকান বিন ফরিদ, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোরকান উদ্দিন মুন্না, জেলা ছাত্র অধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব মো.সুজন আকবর, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান উবায়দুল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন,শাহাদাত নুর লিটন, সবুজ খান জয়, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম সহ অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। এসময় বক্তারা মাহে রমজানের তাৎপর্য ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে শাহিনুর বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে মধ্যপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শাহিনুর বেগম সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে ও দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার স্ত্রী।হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৮ বছর আগে শাহিনুরকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে মধ্যপাড়া এলাকার মৃত শাজাহান মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে ফারিয়া (৬) ও ফাহিমা (৪) নামে দুইটি মেয়ে সন্তান আছে। গত নভেম্বর মাসে দেশে আসেন ফারুক। শাহীনুর ও সন্তানদেরকে নিয়ে ৪-৫ দিন শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোর পর আজকে বাড়িতে ফিরেন ফারুক। রাতে সবার অজান্তে শাহীনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানের চিকিৎসক শাহীনুরকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন জানান, এক গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।