স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শীত মানেই নানা রকম মুখরোচক খাবারের স্বাদ। আর এই মৌসুমকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎপাদিত হচ্ছে সুস্বাদু রসালো গুড় “লালী”।মহিষ দিয়ে চলছে আঁখ মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে যে রস মিলবে তা দিয়ে তৈরী হবে সুস্বাদু রসালো গুড়। যা লালী নামে পরিচিত। সুমিষ্ট এই লালী ছাড়া পিঠা, পুলির স্বাদ যেন অনেকটাই ফিঁকে ভোজন বিলাসীরদের জন্য।লালীগুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলা। শীত মৌসুমে উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার বিশেষ এই রসালো গুড় উৎপাদনে। আাঁখের রস চুলায় ৩/৪ ঘন্টা জ¦াল দিয়ে তৈরী করা হয় লালী গুড়। ১ কানি জমির আঁখ দিয়ে ১৭/১৮ মন লালী তৈরী হয়। মৌসুমী এই পেশার সাথে উপজেলার ১০/১২ জন উদ্যোক্তা জড়িত রয়েছে। আর তাদের সাথে কাজ করেন শতাধিক কৃষক। স্বাদে ও গুণে অনন্য হওয়ায় প্রতিদিন ভোজন বিলাসীরা ছুঁটে আসছেন লালীগুড় কিনতে। প্রতিকেজী লালী বিক্রী হচ্ছে ১৪০/১৫০ টাকা দরে। সে সাথে আঁখের রসের স্বাদ গ্রহন করতে ভীড় করছে ভ্রমন পিপাসুরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশপাশ জেলা ও উপজেলাতেও রয়েছে এর চাহিদা। এ পেশার সাথে জড়িতরা জানান, বাব-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই যুগ যুগ ধরে আমরা আখের লালি তৈরী করে আসছি। তবে দিন দিন আমাদের গ্রামে আখ চাষ কমে যাওয়ায় লালীর চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কারীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই আগের মত তেমন তৈরী করা যাচ্ছে না। তবে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বার্তি আয়ের জন্য বছরে ৪ মাস এই লালী তৈরীর কাজ করে থাকি। প্রতিদিন ৭০-৮০ লিটার লালী উৎপাদন করা হয়। আমাদের বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। এখান থেকেই পাইকার ও বিভিন্ন দূর দূরান্তের লোকজন কিনে নিয়ে যায়। প্রতি মৌসুমে তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হলেও এতে লাভ হয় দেড় লক্ষ টাকা।লালী কিনতে আসা কয়েক ক্রেতা বলেন, বাজারের লালীতে প্রায় সময়ই ভেজাল মেশানো থাকে। যা ক্ষতিকারক কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এখানকার লালী নির্ভেজাল এবং প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হয়। ফলে এর চাহিদা অনেক বেশি।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা আখ থেকে তৈরি লালির জন্য বিখ্যাত। অনেকটা সুস্বাদু ও নিরাপদ বিধায় জেলা ছাড়াও বাহিরে থেকে মানুষ এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়। কৃষকরা এখানে বেশির ভাগ স্থানীয় জাতের আবাদ করে যার ফলে আখের রসের পরিমান কম হয়। আমরা বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিউটের সাথে যোগাযোগ করেছি যাতে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য যেন কৃষকরা লাভবান হয়। আমরা আশা করছি আগামী বছর থেকে সে সহযোগিতা পাবো। সে থেকে রসের পরিমান বাড়বে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে। আমরা আশা করছি এবছর প্রায় ২ কোটি টাকার মত লালি বিক্রি হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বালু মহলে চাঁদা না পেয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে দু’জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনাবালুয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে সোহেল (৩০) ও ফজলু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন (৪৫)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাতে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়।স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার জাফরাবাদ ও নতুনচর বালু ইজারা প্রদান করে জেলা প্রশাসন। ইজারা পায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের মের্সাস মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। জেলা শহরের বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন শোভন ইজারা পাওয়ায় স্থানীয় একটি চক্র এনিয়ে নানান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরে তাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রায় দেড় মাস পর বালু মহালটি চালু করে ইজারাদার। কিন্তু বালু উত্তোলন শুরু হলে পাশের নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটা গ্রুপ এ মহাল থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল।এনিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত উত্তেজনা চলে আসছিল। এর জেরে রোববার সন্ধ্যায় মেঘনা নদী পথে কয়েকটি স্পিডবোটে করে নদীর তীরে ইজারাদারের হিসেবের ঘর লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ ঘটনা দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে ইজারাদার শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ঘটনাটি আমি জানতে পেরেছি। চাঁদার দাবিতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্পিডবোডে করে এসে আতর্কিত গুলি করা হয়েছে। দু’জনের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্রঃ আদিত্য কামাল ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকালে মামলা করা হয়েছে।বর্তমানে এলাকা পুরুষশূন্য। এ ঘটনায় ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও একই গ্রামের হারিছ মিয়াকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় আহত মো. মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাজুড়ে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হোসেনের ছোট ভাই মো. মোশাররফ হোসেনকে (৪০) খাদুরাইল মোড়ে একা পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষরা। তাকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আহত মোশাররফের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠায় বিপ্লবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া তাকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দফতর সেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাবে গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় আটকে রেখে গৃহবধূসহ দুজনকে মারধর করার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দিন রাতেই ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেফতার তিনজনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শপরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তির দায়, দল বা সংগঠন নেবে না উল্লেখ করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বিপ্লবকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জুয়েল মিয়া
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ( ডিসি) মো: শাহগীর আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন( ইসি) । রোববার সকালে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে দেওয়া এ চিঠিতে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। মো: শাহগীর আলম ২০২২ সালের ১৩ই জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের দেয়া একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিসি প্রত্যাহার হয়েছেন। গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন শেখ ওমর ফারুক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে আবেদনে ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার পিতা লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষনা করার পর থেকেই একটি স্বার্থান্বেশী মহল তার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদান করিতেছে। আমার পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল। দলীয় সভানেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী উন্মুক্ত করায় আমরা ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর নিতে গেলে কর্মী সমর্থকরা জানায় যে, তাদেরকে প্রতিপক্ষের লোকজন স্বাক্ষর না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতেছে। স্বাক্ষর করিলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করিবে। ফলে ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর নেয়া দুষ্কর হইতেছে। তারপরও প্রার্থীর পক্ষে ১% ভোটার তালিকা স্বাক্ষরকৃত কাগজ প্রতিপক্ষের লোকজন গত ৩০/১১/২৩ ইং তারিখে ছিনতাই করিয়া নিয়া যায়। উক্ত বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পরও তিনি উক্ত বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। যাহা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হইয়াছে। গত ০১/১২/২৩ ইং তারিখ ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর করা টানচরের বাসিন্দা মীর বাইজিদ হোসাইন, ভোটার নং-১২০৩৩৭০০০০৩০৪ কে প্রতিপক্ষের লোকজন আটক করিয়া রাখিয়াছে। উক্ত বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। পক্ষান্তরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করিতে গেলে সন্ধ্যা ৬ টায় দেখিতে পাই জেলা রিটানিং কর্মকর্তা শলাপরামর্শ করিতে থাকায় আমাদেরকে পাশের রুমে বসিয়ে রাখে। প্রতিপক্ষের লোকজনের উপস্থিতি ছিল। তারপর মীর বাইজিত কে উদ্ধার করিয়া আনিয়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার চেম্বারে নিয়া আমাদের চলিয়া যাইতে বলে। পরবর্তীতে আমি জানিতে পারি যে, তার নিকট হইতে সহি স্বাক্ষর নিয়া তাকে ছাড়িয়া দেয়। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কোন নিরপেক্ষ আচরণ করিতেছেন না। এমতাবস্থায় উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংসদীয় আসন নং-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিওর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করার পর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোরে ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে টিকিট কাটতে গেলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এসময় জুয়েল (২৪) নামের এক কালোবাজারিকে হাতেনাতে ধরেন তারা। একই সঙ্গে ফখরুল (৫০) নামের এক কাউন্টার ম্যানকেও আটক করা হয়।রোববার (৯ জুলাই) ভোর ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন ছদ্মবেশে ভোরে রেলস্টেশনে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন যে জুয়েল নামে এক যুবকের কাছে অনেক টিকিট রয়েছে। তারা জুয়েলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে টিকিট কিনতে চান। এ সময় জুয়েল ফোনে জানান যতগুলো লাগবে সব টিকিট ম্যানেজ করতে পারবে কিন্তু প্রতি টিকিটের মূল্য ২৫০ টাকা দিতে হবে।দরকষাকষির এক পর্যায়ে জুয়েল স্টেশন গেটের সামনে এসে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে বলেন। এমন সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন জুয়েল। এসময় হাতে লিখে ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ের সময় ফখরুল নামের এক কাউন্টারম্যানকে আটক করা হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আটক টিকিট কালোবাজারি জুয়েলকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিকিট কাউন্টার ম্যান ফখরুলকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।