স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন কারাবন্দিরা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে ও হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ৬৯ জন কারাবন্দিকে নিয়ে একটি প্রিজনভ্যান জেলা কারাগার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ফটকে যায়। কারাবন্দিরা ভ্যান থেকে নামার সময় নানা অশালীন ভাষায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এসময় তাদের বেশ উগ্র আচরণ করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করান। হাজতেও তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে বুধবার (৮ফেব্রুয়ারি) জানা যায়, জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিন দিন ধরে বাদী ও বিবাদী নিজেরাই যুক্তি-পাল্টাযুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি করছেন। এর ভিত্তিতে আদেশও দিচ্ছেন ওই দুই আদালতের বিচারক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা দাবি পূরণ না হওয়ায়
ফের সব আদালত বর্জন শুরু করেছেন। । আগে থেকেই তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করে আসছিলেন। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত বুধবার ৬৩টি মামলার শুনানি ধার্য ছিল। কোনো আইনজীবী আদালতের এজলাসে উপস্থিত না থাকায় দুটি মামলার বিচারপ্রার্থীরা নিজেরাই শুনানি করেন। দুটি মামলাই উভয় পক্ষের সম্মতিতে সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
একটি হলো বাদী মদিনা বেগম তাঁর প্রতিবেশী খায়ের মিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানির যে মামলা করেছিলেন তা উঠিয়ে নেন। অন্যটি ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট সেতু আক্তার নামের এক নারী তাঁর স্বামী তারেকের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা উঠিয়ে নেন।
এর আগের দিন মঙ্গলবারও এ রকম কিছু মামলার শুনানি হয়েছে। সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার এনায়েত নারী নির্যাতন মামলার আসামি। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ ওই দিন তাঁর মামলার শুনানি হয়। এনায়েতের দুলাভাই হাবিবুর রহমান আদালতে শ্যালকের হয়ে শুনানি করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে এনায়েতকে জামিন দেন বিচারক
জামিন পেয়ে খুশি এনায়েত বলেন, ‘আগে জানতাম না উকিল (আইনজীবী) ছাড়া বিচারকের সঙ্গে কথা বলা যায়। আমি আর আমার দুলাভাইয়ের কথা শুনে স্যার (বিচারক) জামিন দেওয়ায় খুব খুশি হইছি। আমি ন্যায়বিচার পাইছি। এক টাকাও আলাদা কোনো খরচ লাগেনি।’
মঙ্গলবার ওই আদালতে তিনটি মামলার শুনানি হয়। দুটি মামলায় আসামিপক্ষকে জামিন এবং আরেকটি মামলায় আসামির প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রতিটি মামলায়ই বাদী ও বিবাদী পক্ষ নিজেরাই শুনানি করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার; নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ এবং জেলা জজের নাজির মুমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। একই দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে সব আদালত বর্জন করে আসছিলেন জেলা বারের আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালত বর্জন অব্যাহত রেখে বাকি সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন আইনজীবীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গতকাল থেকে আবার সব আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’র অনুচ্ছেদ ১২’র দফা (৩ক) (ক) এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা আবশ্যক। এই শর্তে এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতার জন্য প্রায় ছয় হাজার ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা প্রয়োজন। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান শর্ত পূরন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার সমর্থনকারী শতকরা একভাগ ভোটারের স্বাক্ষরপত্র থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে যে ১০ জন চিহ্নিত করা হয় তাদের মধ্যে মীর বাইজিদ নামের একজনের স্বাক্ষর দৈবচয়নের স্বাক্ষরের সঙ্গে মিল না পাওয়ার কারন উল্লেখ করে তার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে ওলিওর অভিযোগ তার সমর্থনকারীদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর জটিলতা সৃষ্টি করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। নিরপেক্ষ আচরণ না করার কারনে ওলিওর ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী ও স্থানীয়রা বলছেন, ওলিও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪১ হাজারের চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন৷ মোট ভোটারের ১% সর্বোচ্চ ৬ হাজার ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরের মধ্যে ভুল দেখিয়ে প্রার্থীতা বাতিল রহস্যজনক।
ভোটযোদ্ধের আগেই নির্বাচনী মাঠ থেকে তাকে বাদ দিয়ে দেওয়ার অপকৌশল মনে হচ্ছে। কারন তিনি এই আসনের একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আশা করছি নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থীতা ফেরত দিবেন ।উল্লেখ,পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও নিকটতম আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ৪১ হাজার ৩শত ২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান আনারস প্রতীকে ৬৮ হাজার ২শত ৩৩ ভোট পান। অন্যদিকে মো: জাহাংগীর আলম নৌকা প্রতীকে ২৬ হাজার ৯শত ৭ ভোট পান। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী কাউছার মোল্লা মিনার প্রতীকে ৩ হাজার ৮৬ ভোট পান। তিনি ( ওলিও) সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে পাঁচ বার একটানা ২৬ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সম্প্রতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ৩ ( সদর – বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছি। দেখা যাক কি হয়।’
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী, তিতাস ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বেতার এবং টেলিভিশন শিল্পী সেহেলি মাসুদ এর মৃত্যুতে শোকাহত শিল্পী বৃন্দের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল ,সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী শাহাদাৎ হোসেন সোহেল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এসময় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব , বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক পিযুষ কান্তি আচার্য্য,গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, গীতিকার ইব্রাহিম খান সাদাত, সাগর মিউজিক প্লাস এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমেদ সাগর, বৈশাখী শিল্পিী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, রঙ্গধনু স্টুডিওর সত্বাধিকারী শিল্পী দেবাশীষ দেবু, শ্যামা কাউসার, কণ্ঠ শিল্পী সেলিম রেজা,শিল্পী আলমগীর পলাশ, জেসমিন জাহান,গীতিকার নুসরাত জাহান জেরিন,পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পী এমিল মোরসালিন, শ্যামল আহমেদ,অ্যাড. দিলশাদ আরা, সঙ্গীত প্রশিক্ষক মণিকা আচার্য্য,বায়োজিদ বোস্তামি, সাথী ইসলাম , উর্মিলা প্রিয়া, সৈয়দ মারুফ, তাহজীব আহমেদ চৌধুরী, অমিত সহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শোকাহত শিল্পী বৃন্দ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহাদাত হোসেন সোহেল। সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী সেহেলি মাসুদ মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। উনার অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে। মাতৃসুলভ আচরণে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত বুধবার বাদ জোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌলভীপাড়াস্থ জামে মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলি মাসুদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।পরে শেরপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠায় বিপ্লবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া তাকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দফতর সেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাবে গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় আটকে রেখে গৃহবধূসহ দুজনকে মারধর করার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দিন রাতেই ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেফতার তিনজনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শপরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তির দায়, দল বা সংগঠন নেবে না উল্লেখ করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বিপ্লবকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ( ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সবাইকে মহান স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পৌঁছে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’ সকাল ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আগে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ রেমিট্যান্স অর্জনে এই জেলা বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় হাজার একশত ৪২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।’স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কুচকাওয়াজে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে পরিবেশন করা হয় বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতার দৃশ্য তুলে ধরা হয় ডিসপ্লেতে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র নায়ার কবীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে একে একে সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্মৃতিসৌধটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।