স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড়ুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইনস্) এলাকায় চলাচলের রাস্তায় রাতের আধাঁরে বালি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার। বর্তমানে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেডুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইন্স) হাইওয়ে রোডের পশ্চিম পাশের স্থায়ী বাসিন্দা গণ স্ব স্ব জায়গায় পৌরসভার নিয়মনীতি মেনে শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে, রাস্তাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবাত্তর সম্পত্তি হওয়ার তৎকালীন দেবতার পক্ষের সেবায়েতগণের অনুমতি সাপেক্ষে সংস্কার করিয়া যাতায়াত করে আসছে।
অতিসম্প্রতি জনাব আবু মিয়া নামের একজন এই দেবোত্তর পরিত্যাক্ত ভূমি/নালটি এবং চলাচলের ১৫ ফুট রাস্তাটি বালু দিয়ে ভরাট করার বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি সেবায়েত গণের পক্ষে মন্দির হবে বলে তাদেরকে আশ্বস্থ করেন এবং বলেন প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার অনুমতিক্রমেই এ কাজ করছেন। আবার পরক্ষনে বলেন ভূমি নাকি ক্রয় করেছে। একেক সময় একেক কথা বলেন।
চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে অভিযোগকারীগণ এই বলে বাধা দেয় যে রাস্তা বন্ধ করলে এলাকাবাসী কিভাবে চলাচল করবে। তখন জনাব আবু মিয়া তাদেরকে এই বলে আশ্বস্থ করেন যে চলাচলের কোনো অসুবিধা হবে না, কিন্তু রাতের আধারে অনেক শ্রমিক দিয়ে কাজ করে রাস্তা বন্ধ করে পুরোপুরি ঘর নিমার্ণ করে চলাচলা প্রতিবন্ধকতা ফেলে। বর্তমানে অবরুদ্ধ এলাকাবাসী অনেক কষ্ট করে অন্যদিক দিয়ে যাতায়াত করছেন।
এ বিষয়ে জনাব আবু মিয়া’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পৌর শহরের সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পৌর কাউন্সিলর সুজন মিয়ার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে দাবী করেছেন আওয়ামীলীগ সভাপতির ছোট ভাই ফারুক মিয়া।ঘটনার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পৌর কাউন্সিলর সুজনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৬৭) পৌর এলাকা রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা।আটক কাউন্সিলর রাধাগরের বনিক পাড়ার বাসিন্দা ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আওয়ামিলীগ সভাপতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসীর ভিতরে চেয়ারে বসাছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী । এসময় এক যুবক সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করেন। এরই মাঝে কাউন্সিলর সুজন মিয়ার ভাই কয়েকজনের দলবল নিয়ে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকে টেনি হিচড়ে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়েএসে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোকজন বাড়িতে ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে উষা বেগমকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব।গ্রেপ্তারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মসজিদপাড়া থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির একটি নাশকতার মামলায় তিনি এজহারভূক্ত আসামী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কামাল ভুইয়া আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের বাসিন্দা। গত ২১অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া বাজারস্থ দক্ষিণ সিএনজি স্ট্যান্ড মসজিদ রোডের সামনে কামাল ভুইয়াকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযুক্তরা হলেন গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়া(৫২), আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), আনিছ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার, জাংগাল গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে নবীর হোসেন (২৮) ও সাইদুল মিয়া, মৃত জজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার( ৩৮), কমল মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া (৩৫), আনিছ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া ( ৩০) এবং গংগানগর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া( ২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন। এই ঘটনায় আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল ভুইয়া মোগড়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি গত ২০ অক্টোবর তার মেয়ের বাসা কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সেদিন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া কামাল ভুইয়ার মার্কেটের সামনে বালু রাখার জন্য বললে মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানদার লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে তা কামাল ভুইয়াকে অবগত করেন। পরে কামাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে বাবু মিয়াকে বালু রাখতে নিষেধ করেন। এতে বাবু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল ভুইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মোবাইল রেখে দেয়। মেয়ের বাসা কুমিল্লা থেকে ২১ অক্টোবর বাড়ীতে আসার পর সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে আসার পর আনিছ মিয়া ও তার ছেলে বাবু মিয়ার নেতৃত্বে কামাল ভুইয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী আছমা বলেন, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিঠে, ঘারে ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্বামীর প্যান্টের পকেট থেকে মাছ ব্যবসার এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবুর সাথে কামাল ভুইয়ার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু এলাকা থেকে লোকজন এনে মারামারি করেছে৷ কামাল ভুইয়ার অবস্থা মৃত্যুর মুখে,ঢাকায় ল্যাবএইডে আইসিইউতে আছে। আজ আইনমন্ত্রী মহোদয় হসপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ইনফর্ম করে দিয়েছে তার চিকিৎসা যাতে ভালো হয়। এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন,মামলা নিয়েছি। এযহার নামীয় দুজন আসামীকে এরেস্ট করা হয়েছে। অপর এযহার নামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। মামলার তদন্তকারী আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) মোঃ আবু ছালেক বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। যেদিন মারামারি হয়েছে সেদিনই নবীর হোসেন ও আনোয়ার নামে দুইজন এরেস্ট হয়েছে।’
আদিত্য কামাল
মোঃ হাবিব মিয়া (৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তি গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর (এলহামপাড়া) নিজ বাড়ি থেকে সবার অগোচরে বের হয়ে যায় এবং অদ্য পর্যন্ত আর ফিরে আসেনি। তাহার পরিবার আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজাখুঁজি করিয়াও তাহার সন্ধান পায়নি।
হারানোর সময় তার পরনে ছিল লাল খয়েরি শার্ট, লুঙ্গী পরিহিত এবং তাহার গলায় একটি লুঙ্গী সবসময় ঝুলানো থাকে, গায়ের রং শ্যামবর্ণ, শরীরের গড়ন পাতলা, মাতার চুল কালো ছোট, মুখমণ্ডল গোলাকার, মুখমন্ডলে সামান্য দাড়ি আছে, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। জিডি নং – ৯২৯ । যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান তাহলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
যোগাযোগের ঠিকানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা অথবা তাহার বড় ভাই মোঃ মিয়াচান মিয়া, পিতা মৃত মোতালিব মিয়া, গ্রাম: ভাদুঘর (এলহামপাড়া), থানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মোবাইল : ০১৭৫৩১৭৬৮৬১
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বরকত উল্লাহর ছেলে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রাম থেকে মামুন (২৭) নামের ওই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামে অপরিচিত এক যুবকের অস্বাভাবিক ঘুরাফেরা সন্দেহ হলে স্থানীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে নবীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুব আলম জানান,খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রামের নদীর পাড় থেকে পিস্তলসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নবীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।