স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ঈশাননগর চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। স্থানীয় যমুনা গ্রামের বাসিন্দা এসএম শামীম আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ভুক্তভোগী ময়নাল হোসেন, কাদির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মমিনুল ইসলাম পারভেজ ও সুমন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ জানতে চাইলে প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শিদ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখান বলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদ বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে কোন অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হয় না। তবে পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আনীত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়াউল হক মীর জানান, দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যেই সরেজমিনে একদিন গিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত কাজ আরো কিছুটা বাকি আছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অনতি বিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন । রোববার (২৩ জুলাই) সকালে এএফসিসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। তারা আরও বলেন,একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার সামনে থেকে বাদীর সহায়তায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম আকাশ মিয়া( ৩২)। সদর উপজেলার দারমা পূর্বহাটি গ্রামের রুক মিয়ার ছেলে এবং আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর টিএনটির পাশে আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানের মালিক তিনি।
বৃহস্পতিবার ( ৪মে) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার সময় থানা সংলগ্ন দুদু মিয়া হাউজিং এর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷
এর আগে গত ১৫এপ্রিল বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ এলাকায় দুলাল মিয়ার নাল জমির সামনে মোগড়া টু কর্নেল বাজার গামী পাকা রাস্তার ওপর গ্রেফতারকৃত আকাশ মিয়ার নেতৃত্ব একদল যুবক রফিকুল ইসলাম (৫৩) ও তার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২৩)কে পথরোধ করে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার পূর্ব মেড্ডার ( তিতাস পাড়া) মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে। এঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আকাশ মিয়াকে প্রধান আসামী করে সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ফার্ণিচার ও গাছ ব্যবসায়ী। মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী জমশেদ আমার দোকানের কর্মচারী ছিলো৷ বিগত আনুমানিক ৩ মাস আগে জমশেদ আমার দোকানে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম ৬০ হাজার টাকা কাজ না করে আমার কাছ থেকে নিয়ে পালিয়ে আসে৷ তারপর গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ মিয়া ও তার ভাই বাছির মিয়ার মালিকানাধীন রাধানগর টিএনটির পাশে অবস্থিত আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানে গোপনে কাজ করে। পরে আকাশ ও বাছিরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান জমশেদ এখন তাদের দোকানে কাজ না করে মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। ঘটনার দিন মোগড়া এলাকার ফরহাদ মিয়ার গাছের বাগান দেখা শেষ করে আসার সময় রুবেল নামে একজন ফোন দিয়ে বলে জমশেদ কর্নেল বাজারে আছে। রুবেলের কথা বিশ্বাস করে মোটরসাইকেল যোগে কর্নেল বাজার যাওয়ার সময় আকাশ, বাছির, সুমন, রুবেল, শামীম, জমশেদ, মোশাররফ সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পথরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে আমাকে ও আমার ছেলেকে টানা হেচড়া করে নামিয়ে কাঠের রুল দিয়ে পিটিয়ে বাম কাধের কলারের হাড় ভেঙ্গে ৩টুকরা করে ফেলে৷ আমার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে। ১৮হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল আকাশ মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে৷ আমার ছেলেকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে আমার ছেলের কাছ থেকে ২২হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল সুমন মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গাছ ক্রয় করার জন্য আনা নগদ ৭০হাজার টাকা সুমন মিয়া আমার ছেলের পকেট থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন, পথচারী ও যাত্রীরা ঘটনা দেখে আমাদেরকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেলে উঠে দ্রুত কর্নেল বাজারের দিকে চলে যায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার পরদিন মোগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেনের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে ১৫দিনের মধ্যে (২৭এপ্রিল) মোট ১লাখ ৪০ হাজার টাকা রফিকুল ইসলাম কে ফেরত দেওয়ার রায় হয়। এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করেনি তারা। আকাশ ও তার ভাই বাছির সহ বাকিদের ভাড়াটিয়া গুন্ডা হিসেবে জমশেদ নিয়েছে ।রহস্যজনক কারনে মামলার প্রধান আসামী আকাশ মিয়াকে সালিশে উপস্থিত করা হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে, টাকা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদীর সহায়তায় প্রধান আসামী আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।