স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী, তিতাস ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বেতার এবং টেলিভিশন শিল্পী সেহেলি মাসুদ এর মৃত্যুতে শোকাহত শিল্পী বৃন্দের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল ,সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী শাহাদাৎ হোসেন সোহেল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এসময় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব , বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক পিযুষ কান্তি আচার্য্য,গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, গীতিকার ইব্রাহিম খান সাদাত, সাগর মিউজিক প্লাস এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমেদ সাগর, বৈশাখী শিল্পিী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, রঙ্গধনু স্টুডিওর সত্বাধিকারী শিল্পী দেবাশীষ দেবু, শ্যামা কাউসার, কণ্ঠ শিল্পী সেলিম রেজা,শিল্পী আলমগীর পলাশ, জেসমিন জাহান,গীতিকার নুসরাত জাহান জেরিন,পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পী এমিল মোরসালিন, শ্যামল আহমেদ,অ্যাড. দিলশাদ আরা, সঙ্গীত প্রশিক্ষক মণিকা আচার্য্য,বায়োজিদ বোস্তামি, সাথী ইসলাম , উর্মিলা প্রিয়া, সৈয়দ মারুফ, তাহজীব আহমেদ চৌধুরী, অমিত সহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শোকাহত শিল্পী বৃন্দ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহাদাত হোসেন সোহেল। সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী সেহেলি মাসুদ মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। উনার অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে। মাতৃসুলভ আচরণে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত বুধবার বাদ জোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌলভীপাড়াস্থ জামে মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলি মাসুদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।পরে শেরপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার নবাগত ইউএনও রাবেয়া আক্তার যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদান করার পর উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে নবাগত ইউএনওকে বরণ করে নেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সারাদেশে ইউএনও বদলী প্রক্রিয়ায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমাকে রাউজান উপজেলায় বদলী করা হয়। রাবেয়া আক্তারকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
জানা যায়, ইউএনও রাবেয়া আক্তার বিসিএস (এডমিন) ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে এমবিএ করেছেন। আখাউড়ায় যোগদানের আগে তিনি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারের নিচ থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে আবু লাল ভুঞা (৬০) নামের এ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহত বৃদ্ধ উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বুধন্তি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারে মধ্যরাতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় টাওয়ারের নাইট গার্ড আবু লাল ডিউটিতে ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে চোররা সহজে চুরি সংঘটিত করতে গিয়ে তাকে মেরে টাওয়ারের যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়। সকালে টাওয়ারের পাশে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) রাজু আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। ধারণা করা হচ্ছে রবি টাওয়ারে চুরি করার সময় চুরের দল নাইট গার্ড আবু লালকে মেরে ফেলেছে।তবে নিহতের শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মঙ্গলবার নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙ্গালী ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশকে বিনাশ করার জন্য ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার পরিবারে ১৭ জনকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারি খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে চায়নি, সেই একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদেরকে আমরা জীবিত পেতাম না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুজন খুনীর একজন যক্তরাষ্ট্রে, একজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারি কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয়না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণ কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, যড়যন্ত্রকারিরা কিন্ত বসে নেই। বিএনপি – জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারিরা রয়েছেন। তারা মিথ্যা বলেন। সত্যের কাছ দিয়ে হাটেন না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী তারা নিজেরা খুন করে অন্যের উপর দায় ছাপায়। তাই ষড়যন্ত্র কারিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল ও একেএম আতাউড় রহমান নাজিম, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, দর্শন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের কিশোর জাহিদুল (১৬) কে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জগৎসার গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (৩৫), নজরুল ইসলাম (৪৪) ও মো. সিয়াম (১৫)।বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় পুলিশ। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, ঘটনার পর পরই আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজহার ভুক্ত আসামী মোহাম্মদ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করি। তার দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার রাতে জগৎসার গ্রাম থেকে আরো দুই আসামী নজরুল ইসলাম ও সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ক্ষুর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, নিহত জাহিদুলের বড় ভাই ছানাউল্লাহ্ একই এলাকার নজরুল ও হোসেনেকে মাদকসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই তারা জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ নিতে ছানাউল্লাহ্কে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে স্থানীয় পুকুরের পাড়ে ৫ জন মিলে ছুরি ও ক্ষুর দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। তবে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তার সত্যতা আরো নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় অপর দুই অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলাম প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার সুলতানপুর পূর্ব পাড়ায় একটি পুকুর থেকে কিশোর জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। অটোরিকশা চালক এলাছ মিয়ার চার ছেলে সন্তানের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করে। দুই সপ্তাহ আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে জবাই করা ছাড়াও দুই হাতে কব্জি, দুই কান কেটে দেওয়া হয়েছে। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুড়ি বের করে ফেলা হয়েছে। এঘটনায় জাহিদুলের পিতা এলাছ মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।