স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি জামায়াত হত্যাযজ্ঞে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনীয় বিশাল জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন।
এসময় আইন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে। বিএনপির কাছে নিষ্পাপ শিশুও সেইভ না। বিএনপি জামায়াত আবারো বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল ও হরতাল অবরোধ ডেকেছেন আপনারা সাবধান হয়ে যান। এই দেশে আইন আছে, আইনের শাসন আছে, আপনারা যা করছেন এটা রাষ্ট্রদ্রোহী।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য ভোটারদের কাছে ভোট চান তিনি। তিনি এলাকার উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: কামাল ভূইয়ার সভাপতিত্বে এসময় আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো: তাকজিল খলিফা কাজল, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব আলম চৌধুরী দ্বীপক , উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধরাণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার খবর এর উপদেষ্টা রিয়াজ উদ্দিন জামি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।সোমবার (০৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টায় ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার ভাগিনা সাংবাদিক আশেক মান্নান হিমেল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গেল ফেব্রুয়ারি মাসের শেষার্ধে তিনি ফলোআপ চিকিৎসার জন্য যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখানে ফলোআপ চিকিৎসা গ্রহণকালেই তিনি এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট জামি রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিভাগীয় প্রধান ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ আলী ও মেজর নাসিফ এর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে। এ সময় সিএমএইচ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার সকল শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন এবং জামিকে ১০টি রেডিওথেরাপী দেয়ার পরামর্শ দেন।চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনকালে তার ৫টি এমআরআই, ব্রেইন টেস্টসহ সিটি স্ক্যান, পিঠ, কোমড়, বক্ষ, কোমর ও মাথায় নানা ধরণের পরীক্ষা নীরিক্ষা চালানো হয়। এছাড়াও তার কোমড় ও লাঞ্চ থেকে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।পরে সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের টাটা হাসপাতালে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেন তিনি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে তিনি ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আবারও সেখানে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম স্বপনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার( ৪মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান এবং গুরুতর অসুস্থ শরীফুল হক স্বপনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।এর আগে বৃহস্পতিবার (৪মে) দুপুর ১টা ১০ ঘটিকার সময় কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগা বাড়ি মসজিদের উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর থেকে শরিফুল হক স্বপনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ (তিনলাখপীর) গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেন, কসবা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা শরীফুল হক স্বপন-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর শরীফুল হক স্বপন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুলিশী হেফাজতে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় রাজধানীর হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দেয়ার পর দেশকে একদলীয় দুঃশাসনের চরম অন্ধকারে নিপতিত করতে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন ও ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন-কে গ্রেফতার সেই জুলুমেরই ধারাবাহিকতা। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসনের প্রকোপ ক্রমশ: বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। ভোটারবিহীন সরকার আইনের সীমানার মধ্যে না থেকে চরম সীমালঙ্ঘন করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে পদদলিত করছে নিষ্ঠুর দমননীতি অবলম্বন করে। গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ বলেই দেশে মানবতা, সভ্যতার চিহ্নও ক্রমাগতভাবে মুছে যাচ্ছে। দেশে এখন চলছে আদিম অরণ্যের আইন। বিকৃত দুঃশাসনে জনজীবনে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজমান। দুঃশাসনের শৃঙ্খলভঙ্গের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ জনগণের ওপর সরকার পুলিশী শক্তিকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। এই কারণেই রাষ্ট্র ও সমাজে বিরাজমান রয়েছে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্যকর পরিবেশ। সরকারী মদদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন আইনানুযায়ী কাজ করতে পারছে না। মনে হয় তারা বিরোধী দল দমনে ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে। দেশে ভীতি ও শঙ্কা বিদ্যমান রাখার একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সরকারের অবৈধ ও স্বেচ্ছাচারী শাসন নিয়ে কেউ যেন মাথা উঁচু করে কথা বলতে সাহস না পায়। ”
গ্রেফতারের ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর এক বিবৃতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সাময়িক ভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন মহোদয় এর নির্দেশে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ লিয়াকত আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে শরিফুল হক স্বপনের দেহ তল্লাশি করে তার কোমরের পেছনের দিকে পরিহিত পাজামার বাঁধনের নিচে গোঁজা অবস্থায় ০১টি দেশীয় তৈরি কাঠের বাট যুক্ত পুরাতন ওয়ান শুটারগান, যাহার কাঠের বাট সহ লম্বা ১২ ইঞ্চি এবং লোডেড অবস্থায় ০১টি লাল রঙের কার্তুজ পাওয়া গেলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত একটি প্রাইভেট কার এবং ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সংক্রান্তে অজ্ঞাত পলাতক আসামি দুইজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুকুরে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান রনি (৩৭) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান রনি ওই এলাকার আব্দুল মান্নান শাহর ছেলে। নিহত রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ছিলেন । রনির মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ অসংখ্য মানুষ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷ শুক্রবার সকাল ১১টায় নুরপুর গ্রামে স্কুল মাঠে তার যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মারা যাওয়া রনির শ্যালক হাসান মাহমুদ পারভেজ বলেন, আমার একমাত্র ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান রনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের খুঁটি পুঁতে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পারভেজ আরও বলেন, রনির ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। আগস্টে তার দেশে আসার কথা। ভাইয়ের সঙ্গে একমাস পর দুলাভাইয়েরও প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। আমার বোনটি একা হয়ে গেলো।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ও মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হয়। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা চারপাশে শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। পরে ৮ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কাউতলীস্থ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণশেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে শহরের আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে মুক্ত দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত সঠিকভাবে বলতে না পারায় এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেন তিনি।জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে এসে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ খবর নেন। এক পর্যায়ে শরীর চর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। যতদিন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত এবং শপথ গাইতে ও বলতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত তার বেতন স্থগিত থাকবে। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন ।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, ডিসি স্যার আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প, আখাউড়া থানা, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ভূমি অফিস, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, আশ্রয়ণ প্রকল্প, মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন যায়গা পরিদর্শন করেন। মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিসি স্যার পরিদর্শনে যাবেন সেটা প্রধান শিক্ষক জানতেন। সেখানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন না। ওই শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো জাতীয় সঙ্গীত ও শপথ বাক্য পরিবেশন করতে না পারায় ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিতের নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তাকে উপস্থিত না থাকার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।