স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে সকাল ৯.৩০ মি. থেকে বেলা ২.৩০ মি. পর্যন্ত এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুহিলপুর চাঁন্দের হাটি আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের করা হয়েছে।শুক্রবার (২৯ জুলাই) দিনব্যাপি পবিত্র কোরআন খতম মাধ্যমে আব্বাস আলী ফাউন্ডেশন কার্যক্রম শুরু হয়।অনুষ্টানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক এহসানুল হক রিপন, বিশিষ্ট মুরুব্বি উসমান গনীর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুহিলপুর ইউনিয়নের সুনামধন্য চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া। আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সুনামধন্য চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া এবং ১ম শ্রেনীর ঠিকাদার আবুল কাশেম ও উপদেষ্টা মন্ডলী গণ, উপদেষ্টা মো: উসমান গনি, মো: হামিদ মিয়া, মো: চাঁন মিয়া ( সাবেক ৩বারের মেম্বার), মো: আলহাজ্ব মো : হাবিবুর রহমান, মো: রৌসন সরদার, মো: আবদুর রহমান, মো: কাদির মিয়া, মো: লোকমান মিয়া প্রমুহ। আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের ১১ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভাপতি মো : উসমান ফারুক, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হাসিম, সাধারণ সম্পাদক মো ছাদির মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো : শফিক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এহসানুল হক রিপন। প্রচার সম্পাদক মো: সানু মিয়া ও সাহিন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক নিজাম মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো : সালাহ উদ্দিন।নানু মিয়া, মো: অলী মিয়া, জলিল মিয়া,আবদুল জব্বার সানু, আবদুর রহিম, আবদুল্লাহ, প্রমুহ।
প্রতিনিধি দলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড এপস) এ.এইচ.এম. কামরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ ওয়ালিওল্লাহ মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারি পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আসা পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবদুল কাইয়ূম বলেন, আগে ফরম পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে সারিতে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে হতো। পরে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে নথিপত্র জমা দিয়ে অপেক্ষা করতাম। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ওই কার্যালয়ে ১০/১২বার যেতে হতো। কিন্তু এবারই প্রথম একদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়েছে। এতে ভোগান্তি কমবে।
পরীক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সুজন ভূইয়া বলেন, তিনি জাপানি ভাষা শিখেছি। আগে দালালের মাধ্যমে ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। এবার দালালের কাছে যেতে হয়নি। গত সোমবার মুঠোফোনে পরীক্ষার বার্তা পেয়েছি। মঙ্গলবার সকালে এসে পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক দিয়েছি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সড়ক, মহাসড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনারোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তিনি দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে প্রচারিভিযান করতে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম আরো বলেন, সরকার দুর্ভোগ কমাতে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। সবাইকে বিষয়টি জানতে হবে যে, হয়রানি ও দুর্ভোগ ছাড়াই একদিনে লাইসেন্সের পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়। কেউ লাইসেন্সের জন্য কোনো বাড়তি টাকা দাবি করলে বিষয়টি তাঁকে জানানোর জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের বলেন।অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার সামনে থেকে বাদীর সহায়তায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম আকাশ মিয়া( ৩২)। সদর উপজেলার দারমা পূর্বহাটি গ্রামের রুক মিয়ার ছেলে এবং আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর টিএনটির পাশে আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানের মালিক তিনি।
বৃহস্পতিবার ( ৪মে) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার সময় থানা সংলগ্ন দুদু মিয়া হাউজিং এর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷
এর আগে গত ১৫এপ্রিল বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ এলাকায় দুলাল মিয়ার নাল জমির সামনে মোগড়া টু কর্নেল বাজার গামী পাকা রাস্তার ওপর গ্রেফতারকৃত আকাশ মিয়ার নেতৃত্ব একদল যুবক রফিকুল ইসলাম (৫৩) ও তার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২৩)কে পথরোধ করে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার পূর্ব মেড্ডার ( তিতাস পাড়া) মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে। এঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আকাশ মিয়াকে প্রধান আসামী করে সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ফার্ণিচার ও গাছ ব্যবসায়ী। মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী জমশেদ আমার দোকানের কর্মচারী ছিলো৷ বিগত আনুমানিক ৩ মাস আগে জমশেদ আমার দোকানে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম ৬০ হাজার টাকা কাজ না করে আমার কাছ থেকে নিয়ে পালিয়ে আসে৷ তারপর গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ মিয়া ও তার ভাই বাছির মিয়ার মালিকানাধীন রাধানগর টিএনটির পাশে অবস্থিত আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানে গোপনে কাজ করে। পরে আকাশ ও বাছিরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান জমশেদ এখন তাদের দোকানে কাজ না করে মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। ঘটনার দিন মোগড়া এলাকার ফরহাদ মিয়ার গাছের বাগান দেখা শেষ করে আসার সময় রুবেল নামে একজন ফোন দিয়ে বলে জমশেদ কর্নেল বাজারে আছে। রুবেলের কথা বিশ্বাস করে মোটরসাইকেল যোগে কর্নেল বাজার যাওয়ার সময় আকাশ, বাছির, সুমন, রুবেল, শামীম, জমশেদ, মোশাররফ সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পথরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে আমাকে ও আমার ছেলেকে টানা হেচড়া করে নামিয়ে কাঠের রুল দিয়ে পিটিয়ে বাম কাধের কলারের হাড় ভেঙ্গে ৩টুকরা করে ফেলে৷ আমার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে। ১৮হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল আকাশ মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে৷ আমার ছেলেকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে আমার ছেলের কাছ থেকে ২২হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল সুমন মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গাছ ক্রয় করার জন্য আনা নগদ ৭০হাজার টাকা সুমন মিয়া আমার ছেলের পকেট থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন, পথচারী ও যাত্রীরা ঘটনা দেখে আমাদেরকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেলে উঠে দ্রুত কর্নেল বাজারের দিকে চলে যায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার পরদিন মোগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেনের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে ১৫দিনের মধ্যে (২৭এপ্রিল) মোট ১লাখ ৪০ হাজার টাকা রফিকুল ইসলাম কে ফেরত দেওয়ার রায় হয়। এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করেনি তারা। আকাশ ও তার ভাই বাছির সহ বাকিদের ভাড়াটিয়া গুন্ডা হিসেবে জমশেদ নিয়েছে ।রহস্যজনক কারনে মামলার প্রধান আসামী আকাশ মিয়াকে সালিশে উপস্থিত করা হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে, টাকা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদীর সহায়তায় প্রধান আসামী আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।