স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর- বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন,‘বাজারে দুধও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা নিবেন। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।’ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে নির্বাচনী পথসভায় র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। ভোটের বেলায় বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। এ সময় মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মো. হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ঢাকায় একাধিক মদের বার রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই আসনটিতে মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি ধরা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে। সম্প্রতি মদ ব্যববসাকে হালাল আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন ফিরোজুর রহমান। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেই ‘মদ নাকি দুধ কিনবেন’- সে সিদ্ধান্ত ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মোকতাদির চৌধুরী।
জুয়েল মিয়া
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু। উন্নয়নযজ্ঞে সরাইল – আশুগঞ্জের চেহারা বদলাতে চান তিনি। সাংবাদিক জুয়েল মিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্মার্ট সরাইল- আশুগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করবেন বলে মন্তব্য করে শাহজাহান আলম সাজু বলেন,এখানকার মানুষ মনে করে পরপর তিনবার আ.লীগ ক্ষমতায় আছে৷ এখানে দলীয় এমপি না থাকার কারনে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। এই এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট সবকিছু অচলযোগ্য হয়ে আছে৷ উন্নয়ন বলতে যেটা হওয়ার কথা ছিল, সারাদেশে যেটা হয়েছে, এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল আশুগঞ্জের বাইরে যারা এমপি হয়েছেন তারা প্রচুর কাজ করেছেন।এই কাজটা এই আসনে হয়নি। এখানে দল মত পথ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনবো।’
এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকবে এবং উন্নয়নের অংশীদার হবে এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত আশুগঞ্জ পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন করবো। এর ফলে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের মতো আরও এরকম বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।২০০ বছর আগে যে আজবপুর বন্দর ছিল সেটা নদীগর্ভে হারিয়ে এখন চিহ্নই নাই। সেই বন্দরটি ফিরিয়ে আনবো। আশুগঞ্জ থেকে অরুয়াইল পর্যন্ত একটি বেড়িবাঁধ করবো। বেড়িবাঁধটির অনেক কাজ ইতোমধ্যে আমি করে ফেলেছি, সার্ভে হয়ে গেছে। এখানে একটি মাল্টিপারপাস বাঁধ হবে, মেরিন ড্রাইভের মতো হবে৷ এখানে শতশত মেইল ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে। পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।এখানে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে৷ এখানে নতুন অর্থনীতির খাত তৈরি হবে৷ এখানে এই এলাকার লোকজনকে চাকরি দেয়া হবে।ফলে এলাকায় বেকার থাকবেনা। সমাজের বোঝা হয়ে থাকা বেকারগুলো যখন চাকরি পাবে তখন তারা সন্ত্রাসের পথ থেকে ফিরে আসবে। মাদক থেকে ফিরে আসবে। এতে এই এলাকার চেহারার বদল হয়ে যাবে। জনগণ বিগত নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিল। ইনশাল্লাহ ৭ তারিখের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। আমি বিশ্বাস করি সরাইল- আশুগঞ্জবাসীর সমস্যা তুলে ধরতে এবং জাতির উন্নয়নে আইন প্রনয়নে ভূমিকা রাখতে তারা আমাকে এই সুযোগটা দিবেন।সরজমিনে গেলে সরাইল- আশুগঞ্জের ভোটাররা জানান, সৎ, শিক্ষিত, চরিত্রবান ও জনসেবার মানসিকতাসম্পন্ন যোগ্য মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হোক। যিনি সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে সক্ষম ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন তারা। যারা নির্বাচনের সময় পায়ে ধরে, পাশ করার পর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে, তাদের বর্জন করবেন। শাহজাহান সাজু একজন শিক্ষিত ক্লিন ইমেজের মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকার প্রার্থী হয়ে ৬১ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাপার টানা দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৩৬১ ভোট। এর আগে ১৯৭৩ সালে এখানে নৌকা জয় পেয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ( ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সবাইকে মহান স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পৌঁছে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’ সকাল ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আগে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ রেমিট্যান্স অর্জনে এই জেলা বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় হাজার একশত ৪২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।’স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কুচকাওয়াজে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে পরিবেশন করা হয় বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতার দৃশ্য তুলে ধরা হয় ডিসপ্লেতে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র নায়ার কবীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে একে একে সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্মৃতিসৌধটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।