স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্য কামাল
চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে এই প্রতিপাদ্য শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযানে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।মোঃ আসাদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনায় ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:৩০ সময় বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ মফিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই(নিরস্ত্র) পংকজ কুমার সাহা সঙ্গীয় ফোর্সদের সমন্বয়ে এলাকায় মাদক উদ্ধার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে ৮নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া এর বসত ঘরের পশ্চিম পাশে তাহার শয়ন কক্ষের তোষকের নীচ হইতে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫), ইকরতলী গ্রামের আব্দুল সহিদুল হক ভূঁইয়া ছেলে।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআসাদুল ইসলাম জানান, ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫) নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে তার শোয়ন কক্ষের তোষকের নীচ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদক আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। বিজয়নগর থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানের ধারা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক পত্রিকা রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলামের (৩৫) ছুরিকাঘাতে মোঃ নিয়ামুল (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে। গ্রেফতার আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়ই মাদক ব্যবসা করতেন। মাদক ব্যবসা নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো। এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যান। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করেন আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়ই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেওয়ার পর নিয়ামুল মারা যান। আমরা ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছি। নিয়ামুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহম্মেদ জানান, মৃতের চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমার প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার ওই সরকারি কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক।এছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর পরেও অতিউৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা উম্মে সালমা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। যার ফলে নিরপেক্ষতা দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা সরকারি অফিস ব্যবহার করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করছে। এসবের ছবি তাদের সংরক্ষণে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা এবং লিফলেট বিতরণ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর স্ত্রী, মাউশির সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই কর্মকর্তা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্মস্থলে অবস্থান করলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করে সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখ ওমর ফারুক বলেন, ওই কর্মকর্তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন৷ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার কিছু স্থিরচিত্র অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘এটা কি সম্ভব, আমি সরকারি চাকরি করি, আমি কোথাও কোনো প্রচারণায় অংশগ্রহণ করিনাই। লিফলেট আমি দেখিইনাই, বিতরণ করবো কোথায়।’
অভিযোগের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আদিত্য কামাল:
মা-বাবা ও সকল কবরবাসীর রুহের মাগফেরাত কামনায় সরকার পাড়া জামে মসজিদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির এর আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দারুল উলুম সরকার পাড়া মাদ্রাসায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।আব্দুল মতিন শিপনের উপস্থাপনায় ও হাফেজ মাওলানা আবু বকর আমীন কাশেমীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান লাইন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মেয়র জনাব মো. হেলাল উদ্দিন। মাহবুবুল বারী মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ। মাহবুবুল আলম খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ। কবি গীতিকার দেওয়ান মারুফ, সত্ত্বাধিকারী এম আর টেক্সটাইল। এড. শাহনূর ইসলাম, সভাপতি জেলা যুবলীগ। এড. ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক জেলা যুবলীগ। হাজী জসিম উদ্দিন জমসেদ, সাবেক সভাপতি জেলা বাস মালিক সমিতি। এড. লোকমান হোসেন, সভাপতি জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ। সাইদুজ্জামান আরিফ, সাধারণ সম্পাদক জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ। আমজাদ হোসেন রনি, সভাপতি শহর যুবলীগ। এড. কামরুজ্জান অপু, সভাপতি শহর সেচ্ছাসেবক লীগ। এ কে মামুন, সভাপতি সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ। আবু কাউছার, যুগ্ম সম্পাদক সদর উপজেলা যুবলীগ।আরও উপস্থিত ছিলেন, মোস্তাক আহমেদ খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শহর আওয়ামীলীগ। মো. বিল্লাল মিয়া, পরিচালক পৌর কমিউনিটি সেন্টার। বিশিষ্ট শালিসকারক মো. জিল্লু মিয়া। মোহাম্মদ হোসেন, সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী। ফারুক আহমেদ পারুল, সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদ। শরীফ আহমেদ খাঁন, সাধারণ পিস ভিশন বাংলাদেশ। আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর। বিপু মুন্সি, সত্ত্বাধিকারী সারগাম স্টুডিও। মো. মনির হুসেন, স্টাফ রিপোর্টার পথিক টিভি। হোসাইন ইসলাম জয়, নৃত্য শিল্পী প্রমূখ।দ্বীনি হেদমতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা স্বারক গ্রহণ করেন, মুফতি সাইফুল্লাহ্ নূর কাশেমী, ইমাম বেপারি পাড়া জামে মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মাওলানা নজরুল ইসলাম সাহেব, ইমাম ও খতিব সৈয়দ বাড়ি পুরাতন শাহী মসজিদ। মুফতি আবু ইউসুফ সাহেব, ইমাম ও খতিব মৌলভী হাটি জামে মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
দোয়া পরিচালনা করেন, আলহাজ্ব মোবারক উল্লাহ্ সরকার পাড়া জামে মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।কৃতজ্ঞতায়, জনতার খবর, পথিক টিভি, জাতীয় টিভি ও সারগাম স্টুডিও।