স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
জাতীয় দিবসে সঠিকভাবে পতাকা উত্তোলনসহ এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২টি পতাকা উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সংগঠনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি ব্যতিক্রম এ আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরের সামনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত। শুভসংঘের সভাপতি মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মো. মাঈনুদ্দিন রুবেল, দৈনিক বাংলার মো. মাজহারুল করিম অভি, শুভসংঘের সহ-সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ প্রমুখ। একাত্মতা প্রকাশ করে পরবর্তীতে যোগ দেন সম্মিলতি সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু। এ আয়োজন সফলে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বিডি অ্যানিমেল হেলথ।
সালমান হোসাইন
বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে (১ মার্চ) দেশে ৫ম বারের মতো উৎযাপিত হলো জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪। বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতি বছর দেশজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। বরাবরের মতো
এ বছরেও দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।১ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার সকালে “করবো বীমা গড়বো দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ”এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের কাউতলী মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান,উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব সাইফুল ইসলাম ও জনাব জয়নাল আবেদীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন), প্রমুখ।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব মিজানুর রহমান, ইনচার্জ জীবন বীমা কর্পরেশন ও সভাপতি জেলা জীবন বীমা। বক্তব্য রাখেন জনাব নাজমুল ইসলাম, ইনচার্জ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের কোম্পানী লিমিটেড সহ আরও অন্যান্য বীমা কোম্পানির ইনচার্জ গণ।বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রতি বছর জাতীয় বীমা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। শুরুতে দিবসটি ‘খ’ শ্রেণীতে পালনের জন্য অনুমোদন দেয় হয়।২০২১ সালের ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় বীমা দিবস’কে ‘ক’ শ্রেণীর দিবস হিসেবে ঘোষণা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানান বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীতকরণের আবেদন জানায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।জাতীয় বীমা দিবস এখন ‘ক’শ্রেণীতে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সভায় জাতীয় বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৬২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ী জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার ( ২১ ডিসেম্বর ) রাত ৭ টা ৪০ ঘটিকার সময় বিজয়নগর উপজেলার ০২নং চান্দুরা ইউপিস্থ চান্দুরা সাকিনে ঢাকা-সিলেটগামী মহাসড়কে জিলানী পেট্টোল পাম্প এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার চারখাই ইউনিয়নের সাফা গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৮) এবং সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রাম গ্রামের মরাই মিয়ার ছেলে মান্না আহম্মদ প্রকাশ সুমন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, জব্দকৃত পিকআপ গাড়ী থেকে ১৬২ (একশত বাষট্টি) বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। উক্ত আলামত ধৃত আসামীদ্বয়ের হেফাজতে উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিহন কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ গাড়ী সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ও মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হয়। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা চারপাশে শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। পরে ৮ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কাউতলীস্থ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণশেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে শহরের আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে মুক্ত দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মনোয়ার হোসেন ডিপজল একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। পাশাপাশি প্রযোজক, লেখক, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। যিনি খল অভিনেতা থেকে শুরু করে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে হৃদয়ে জায়গা করেছেন কোটি ভক্তের।ভক্তরা ভালোবেসে কত কিছুই উপহার দেন অভিনেতাদের। তবে এবার এক ভক্ত ব্যতিক্রমী উপহার দিতে চান ডিপজলকে।সেই ভক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া।২০০৮ সালে ডিপজল অভিনীত ‘দাদিমা’ সিনেমা দেখার মাধ্যমে এই অভিনেতার প্রতি ভালোবাসা জাগে তার হৃদয়ে। এর পর থেকেই নিয়মিত ডিপজলের সিনেমা দেখা শুরু করেন তিনি। একসময় নিজের অজান্তেই ডিপজলের একজন ভক্ত হয়ে যান মীরহাটি এলাকার আবদুর সাত্তার মিয়ার ছেলে এই দুলাল মিয়া। সেই ভালোবাসা থেকে ডিপজলের জন্য বানালেন ২৫ লাখ টাকার নান্দনিক কারুকার্য খচিত একটি রাজকীয় খাট। ডিপজলের এই ভক্তের খাট তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ তার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।জানা যায়, ডিপজলকে ভালোবাসে তাকে উপহার দিতে তিন বছর ৮ মাসে নিজ হাতে সুনিপুণ কৌশলে তৈরি করেছেন এই বিশাল খাট। খাটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৬ ফুট। এটি তৈরি করতে আসল আকাশি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া নকশায় ব্যবহার করতে হয়েছে ৩৮৭টি গোলাপ ফুলের ডিজাইন ও বিভিন্ন অংশ সংযোগ করতে ব্যবহার করা হয় ৮০টি নাট। প্রতিদিনই অসংখ্য উৎসুক মানুষ আসছেন দুলালের তৈরি করা খাট দেখার জন্য। দুলালের ইচ্ছা— চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল এ খাট উপহার হিসেবে গ্রহণ করবেন।দুলালের বড়ভাই মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, আমার ছোটভাই দীর্ঘ তিন বছর ৮ মাসে এ খাট ডিপজলের জন্য তৈরি করেছেন। সে খাটটি অনেক শখ করে বানিয়েছেন। এ খাটের উছিলায় যেন ডিপজলের সঙ্গে দুলালের দেখা হয় এবং খাটটি যেন তিনি উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।এ বিষয়ে ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল জানান, অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে সরাসরি কোনো দিন কথা না হলেও তার প্রতি ভালোবাসা থেকে ডিপজলকে মামা নামে ডাকেন।তিনি বলেন, ডিপজল মামার প্রতি ভালোবাসার কারণে উনাকে নিজের হাতে বানিয়ে ভিন্ন কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা হয়। পরে তিন বছর ৮ মাসে তাজমহলের ডিজাইনে খাট তৈরি করেছি। যদি ডিপজল মামা আমার বানানো এই ক্ষুদ্র উপহারটি গ্রহণ করেন এবং দেখা করার সুযোগ করে দেন, তা হলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে।