স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন সেই ওলিও। এক শতাংশ ভোটারের সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।এর আগে ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ জন ভোটারের একজন সাক্ষর করেননি মর্মে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর ফলে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোরজুর রহমান ওলিও।প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, ‘আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে এক ব্যক্তি অতিথি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই খাবার মাংসে পঁচা দুর্গন্ধ পান। ওই ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজের ভিতরে পঁচা মাংস ও ইদুর পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।
তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
জুয়েল মিয়া
সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় ভারত থেকে সম্মাননা পেলেন কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের জনপ্রিয় টেলিভিশন ভুবনেশ্বরী টেলিভিশনের (বিটিভি) পক্ষ থেকে এর স্বত্বাধিকারি মনীষা পাল চৌধুরী তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। টেলিভিশন চ্যানেলটির কার্যালয়ের এ অনানুষ্ঠানিক আয়োজনে চ্যানেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।টেলিভিশন চ্যানেলটির ২২ বছর পুর্তি উপলক্ষে বিশ্বজিৎ পালসহ সে দেশের ২৩জন সাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই ত্রিপুরার রাজ্যের রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্রভবনে দু’দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।সেখানেই বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সম্মাননা তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে সময়মতো ভিসা না পাওয়ায় বিশ্বজিৎ পাল বাবু ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। বিশ্বজিৎ পাল বাবু’র এমন প্রাপ্তিতে সুশীল সমাজসহ সাংবাদিকবৃন্দ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিটিভির এ আয়োজনে খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদ, সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার ও ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককেও সম্মাননা দেওয়া হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বিধি মোতাবেক মনোনয়নপত্র ক্রয় করবো এবং দলীয় মনোনয়ন পেলে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবো।
মোঃ জুয়েল মিয়া
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আলোচিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একজন জেলা স্বেছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লোকমান হোসেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এই উপজেলার নির্বাচনের দৃশ্যপটের পরিবর্তন শুরু হয়েছে।এখন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) এর সঙ্গেই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।হেলাল উদ্দিন জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের ছোট ভাই। এই পরিচয়কে সামনে রেখে এবং আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। দলের নেতাদেরও তার পক্ষে নামানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে শোভনের অবস্থান তত ভালো হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শোভনের পক্ষে সর্বত্র সক্রিয় রয়েছেন। রমজানে ভর্তুকিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করে দৃষ্টি কাড়েন শোভন। এছাড়া ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।চেয়ারম্যান পদে লোকমান হোসেন ছাড়াও আরও ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত-কলম) ও আব্দুল কারীম (মোটরসাইকেল)। তারাও ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তফাজ্জল সিকদার (উড়োজাহাজ), মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই), মো. আজহারুল ইসলাম (তালা), মো. আনিছ খান (টিউবওয়েল), মো. ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম), রবিউল আলম (চশমা) ও শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উম্মে হানি সেতু (কলস), আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল), নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) ও শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।গতকাল শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঘোষিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লোকমান হোসেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে এবং দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই জন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, ভোটার, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খির কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যত দিন বেঁচে থাকবো সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সচেষ্ট থাকব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করে আগামীর পথচলার অঙ্গীকার করছি।’