স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
সালমান হোসাইন
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নয়নপুর গ্রামের একমাত্র রাস্তার বেহাল অবস্থা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা সহ উলচাপাড়া, বিজ্বেশর, ও মোহাম্মদপুর গ্রামের হাজারো মানুষ। প্রধান সড়ক সংলগ্ন নয়নপুর চৌরাস্তা থেকে উলচাপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা। প্রায় ৭ বছর পূর্বে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশের ইট, মাটি ও পিচ সরে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, ট্রাক ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।এদিকে মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এই রাস্তা যেন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীসহ সবাইকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
অনেক অটোচালকের বাড়ি নয়নপুর। অটো চালিয়েই চলে তাদের সংসার। রাস্তা নিয়ে তাদের অভিযোগ, পৌরসভার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তারা আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।
তাজেল, রহিম সরকার , আনোয়ার, সাহেব মিয়া, কাউছার সহ স্থানীয়রা জানায়, নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অতিসত্বর রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
আদিত্য কামাল
চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে এই প্রতিপাদ্য শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযানে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।মোঃ আসাদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনায় ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:৩০ সময় বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ মফিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই(নিরস্ত্র) পংকজ কুমার সাহা সঙ্গীয় ফোর্সদের সমন্বয়ে এলাকায় মাদক উদ্ধার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে ৮নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া এর বসত ঘরের পশ্চিম পাশে তাহার শয়ন কক্ষের তোষকের নীচ হইতে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫), ইকরতলী গ্রামের আব্দুল সহিদুল হক ভূঁইয়া ছেলে।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআসাদুল ইসলাম জানান, ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫) নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে তার শোয়ন কক্ষের তোষকের নীচ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদক আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। বিজয়নগর থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানের ধারা অব্যাহত থাকবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বরকত উল্লাহর ছেলে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রাম থেকে মামুন (২৭) নামের ওই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামে অপরিচিত এক যুবকের অস্বাভাবিক ঘুরাফেরা সন্দেহ হলে স্থানীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে নবীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুব আলম জানান,খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রামের নদীর পাড় থেকে পিস্তলসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নবীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎসহ তিনজনসহ আহত হন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এসময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন।চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ৪০০ টাকা ভিজিট চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। পরে ঘটনাস্থলে এগিয়ে ক্লিনিকের একজন আশিষ সাহার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।চিকিৎসক দেখানের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।