স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ( ডিসি) মো: শাহগীর আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন( ইসি) । রোববার সকালে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে দেওয়া এ চিঠিতে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। মো: শাহগীর আলম ২০২২ সালের ১৩ই জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের দেয়া একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিসি প্রত্যাহার হয়েছেন। গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন শেখ ওমর ফারুক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে আবেদনে ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার পিতা লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষনা করার পর থেকেই একটি স্বার্থান্বেশী মহল তার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদান করিতেছে। আমার পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল। দলীয় সভানেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী উন্মুক্ত করায় আমরা ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর নিতে গেলে কর্মী সমর্থকরা জানায় যে, তাদেরকে প্রতিপক্ষের লোকজন স্বাক্ষর না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতেছে। স্বাক্ষর করিলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করিবে। ফলে ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর নেয়া দুষ্কর হইতেছে। তারপরও প্রার্থীর পক্ষে ১% ভোটার তালিকা স্বাক্ষরকৃত কাগজ প্রতিপক্ষের লোকজন গত ৩০/১১/২৩ ইং তারিখে ছিনতাই করিয়া নিয়া যায়। উক্ত বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পরও তিনি উক্ত বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। যাহা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হইয়াছে। গত ০১/১২/২৩ ইং তারিখ ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর করা টানচরের বাসিন্দা মীর বাইজিদ হোসাইন, ভোটার নং-১২০৩৩৭০০০০৩০৪ কে প্রতিপক্ষের লোকজন আটক করিয়া রাখিয়াছে। উক্ত বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। পক্ষান্তরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করিতে গেলে সন্ধ্যা ৬ টায় দেখিতে পাই জেলা রিটানিং কর্মকর্তা শলাপরামর্শ করিতে থাকায় আমাদেরকে পাশের রুমে বসিয়ে রাখে। প্রতিপক্ষের লোকজনের উপস্থিতি ছিল। তারপর মীর বাইজিত কে উদ্ধার করিয়া আনিয়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার চেম্বারে নিয়া আমাদের চলিয়া যাইতে বলে। পরবর্তীতে আমি জানিতে পারি যে, তার নিকট হইতে সহি স্বাক্ষর নিয়া তাকে ছাড়িয়া দেয়। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কোন নিরপেক্ষ আচরণ করিতেছেন না। এমতাবস্থায় উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংসদীয় আসন নং-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিওর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করার পর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়।
এনিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ)। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কোন উপায় না দেখে আমি ৯৯৯: এ কল দিলে পুলিশ আসে। পরে সেখান থেকে আসামীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বলেছি, যেহেতু ঘটনার সূত্রপাত মোবাইলে ছবি-ভিডিও ধারণ করা নিয়ে তাই আসামীর মোবাইল জব্দ করুন। কিন্তু তারা আমার কথায় কর্ণপাত করেননি। শুধু বলছিলেন, সাথে কোন নারী পুলিশ সদস্য নেই। একটি মোবাইল জব্দ করতে নারী পুলিশ সদস্যের প্রয়োজন কি হয়! রাতে আমি থানায় লিখিত এজহারে বিস্তারিত উল্লেখ করে জমা দিয়েছি। সেখানে মোবাইলে ভিডিও ধারণের কথা বলা হয়েছে। সেই এজহারেই মামলাটি নথিভুক্ত করলেন। কিন্তু এফআইআরের প্রাথমিক তথ্য বিবরনীতে মোবাইলের ভিডিও ধারণের কোন বিষয় উল্লেখ নেই। আসামীদের বিরুদ্ধে শুধু মারধোর ও চুরির ধারা যুক্ত করে মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে। আদালতে সেই বিষয়টি নজরে এসেছে।
এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পরিদর্শক সুমন চন্দ্র বনিক বলেন, ‘মোবাইলটিতে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেই ধারা যুক্ত করা হয়নি। তাই মোবাইলটি জব্দ করা হয়নি।’ মোবাইল থেকে তো কেটেও ফেলা যায়। লিখিত এজহারে যেহেতু মোবাইলে ভিডিও করার অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই অনুযায়ী মোবাইলটি জব্দ হওয়ার কথা৷ তা ফরেনসিকে পাঠানোর কথা। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবাইলটি আমাদের এক সদস্যের কাছে। তা প্রয়োজনে জব্দ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম মেড্ডার আরামবাগে অবস্থিত স্কুল প্রাঙ্গণে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সভাপতিত্বে ও আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নতুন মাত্রা’র সম্পাদক আল-আমিন শাহীন, জনতার খবর সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুনাহার, বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক সামসুল আলম বাবু, পিসভিশন সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খাঁন, কবি আজীজা সোপান, কবি গোলাম মোস্তফা, জেলা কিন্ডার গার্টেন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ফারহানা ববি, কবির কলম এর সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, সোনালি সকালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, সমন্বয়ক শাহআলম পালোয়ান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক মোহাম্মদ আবদুল বাতেন, কেক সুন্দরী আখি নূর, কণ্ঠ শিল্পী সাজ্জাদ হোসেন হেলাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবদুল্লাহ্ আল নাঈম, ভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভির সম্পাদক জানে আলম, প্রিয় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর রহমান নাহিদ, জননী কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পারভিন বেগম, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র এডমিন সোহাগ সরকার, শাহরিয়ার আহমেদ শুভ, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনে সভাপতি সৈয়দ রুম্মান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা ফিভা ও নুসরাত আক্তার।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা, সবশেষে কেক কেটে উপস্থিত সকালের মাঝে বিতরণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড়ুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইনস্) এলাকায় চলাচলের রাস্তায় রাতের আধাঁরে বালি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার। বর্তমানে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেডুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইন্স) হাইওয়ে রোডের পশ্চিম পাশের স্থায়ী বাসিন্দা গণ স্ব স্ব জায়গায় পৌরসভার নিয়মনীতি মেনে শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে, রাস্তাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবাত্তর সম্পত্তি হওয়ার তৎকালীন দেবতার পক্ষের সেবায়েতগণের অনুমতি সাপেক্ষে সংস্কার করিয়া যাতায়াত করে আসছে।
অতিসম্প্রতি জনাব আবু মিয়া নামের একজন এই দেবোত্তর পরিত্যাক্ত ভূমি/নালটি এবং চলাচলের ১৫ ফুট রাস্তাটি বালু দিয়ে ভরাট করার বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি সেবায়েত গণের পক্ষে মন্দির হবে বলে তাদেরকে আশ্বস্থ করেন এবং বলেন প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার অনুমতিক্রমেই এ কাজ করছেন। আবার পরক্ষনে বলেন ভূমি নাকি ক্রয় করেছে। একেক সময় একেক কথা বলেন।
চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে অভিযোগকারীগণ এই বলে বাধা দেয় যে রাস্তা বন্ধ করলে এলাকাবাসী কিভাবে চলাচল করবে। তখন জনাব আবু মিয়া তাদেরকে এই বলে আশ্বস্থ করেন যে চলাচলের কোনো অসুবিধা হবে না, কিন্তু রাতের আধারে অনেক শ্রমিক দিয়ে কাজ করে রাস্তা বন্ধ করে পুরোপুরি ঘর নিমার্ণ করে চলাচলা প্রতিবন্ধকতা ফেলে। বর্তমানে অবরুদ্ধ এলাকাবাসী অনেক কষ্ট করে অন্যদিক দিয়ে যাতায়াত করছেন।
এ বিষয়ে জনাব আবু মিয়া’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নিউজ ডেস্ক :ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভুঁইয়া ও তার সহকারী আজাদের সন্ধান পাওয়া গেছে। হাত-চোখ বাঁধা অবস্থায় তাদের রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে তাদের সেখানে পাওয়া যায়। এ সময় তাদের মুমূর্ষু দেখা গেছে।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সহকারী আরিফুর রহমান তুষার জানান, কবির আহমেদ ভুঁইয়া ও তার সহকারী আজাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে কবির আহমেদ ভুঁইয়াকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছিল বিএনপি।ডিএমপির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখছি। তাদের সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কথা বলা হবে। জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন