স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাক চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছে।শনিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বেড়তলা নামক স্থানে এ দুঘর্টনা ঘটে। নিহতরা হলো সদর উপজেলার শোনাইসার গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫) ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (৩২) এ সময় অটোরিকশার চালক আহত হয়েছে।সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকূল চন্দ্র বিশ্বাসজানান, সকালে ওই মহাসড়ক দিয়ে আশুগঞ্জ থেকে একটি ট্রাক সরাইলের বিশ্বরোড যাওয়ার পথে বেড়তলা এলাকার একটি পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আব্দুর রহমান মারা যান। পুলিশখবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকবাল নামের আরো একজন মারা যায়।তিনি আরো জানান, ট্রাকটিকে আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। নিহত দুই জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় এ উৎসব। ঈদুল আযহা কোরবানির ঈদ হিসেবেও পরিচিত। কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করাই মূলত ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের তাৎপর্য।কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রায় চার হাজার বছর আগে হজরত ইব্রাহিম (আ) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার জন্য মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পেয়েছিলেন। হজরত ইব্রাহিম (আ)-এর জীবনে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন তার পুত্র হজরত ইসমাইল (আ)। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য তিনি তার প্রিয়তম পুত্রকেই কোরবানি করার প্রস্তুতি নেন। তিনি পুত্রকে মহান আল্লাহর নির্দেশের কথা জানান এবং পুত্র সানন্দে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে সম্মত হন। পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। এ ঘটনার অন্তর্নিহিত বাণী স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের মধ্যেই ঈদুল আযহার এই আনন্দ নিহিত। তাই ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় ক্ষুদ্রতা ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।এরই সূত্র ধরে গোটা মুসলিম জাহানে আজও চলে আসছে কোরবানির এই ধারা। এর ভেতর দিয়ে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের দিকে অগ্রসর হয় মুসলিম জাতি।কোরবানি মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যাঁদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাঁদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব।পশু কোরবানির মাধ্যমে গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানি শুধু একটি আনন্দ-উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও দর্শন। ঈদুল আযহা আত্মত্যাগের প্রেরণায় উজ্জীবিত এক অনন্য আনন্দ উৎসব। যে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণ মূর্ত হয় মানুষের জীবনে, তার জন্য চরম ত্যাগ স্বীকারের এক প্রতীকী আচার এই কোরবানি।ঈদুল আযহার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিজের অহমিকা ও উচ্চাভিলাষ উৎসর্গ করা। পশু কোরবানির ভেতর দিয়ে মানুষের ভেতরে থাকা পশুশক্তি, কাম-ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই ত্যাগ করতে হয়। তাই শুধু পশু নয়, প্রয়োজন পশুত্বের কোরবানি। কোরবানিদাতা শুধু পশুর গলায় ছুরি চালান না, তিনি তাঁর সব কুপ্রবৃত্তির ওপরও ছুরি চালিয়ে তাকে নির্মূল করেন। এটাই হলো কোরবানির মূল শিক্ষা। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে এ অনুভূতি অবশ্যই প্রয়োজন।এমন একসময়ে ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে, যখন সমাজ ক্রমেই অস্থিরতা ও নিষ্ঠুরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই সংঘাত-সংঘর্ষের মনোবৃত্তি ত্যাগ করে মানুষে মানুষে সৌভ্রাতৃত্ব তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে ত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।রাজধানী’সহ সারা দেশে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ বন্যাপীড়িত। অনেক ঈদগাহ হয়তো পানির নিচে তলিয়ে আছে। ওই সব এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা স্মরণ করে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরির অঙ্গীকার করতে হবে।বিত্তবৈভবের প্রতিযোগিতা ও মহড়া না দেখিয়ে দুস্থ ও দুর্গত মানবতার পাশে দাঁড়ানো এ সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সেবার মানসিকতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে দুস্থ ও আর্তমানুষের পাশে।
আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে দিবসটি পালন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল এবং টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, ঘাতকরা একে একে প্রাণ নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। সেই সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
মূলত, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারি ইতিহাস রচিত হতে থাকে। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে।
নিউজ ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এবার স্কুলে এগুলো না পড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দেশের সব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয় দুটির ‘অনুশীলনী পাঠ’ ও ষষ্ঠ শ্রেণির ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তকগুলোর কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। ওই দুই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটিরও কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সংশোধনীগুলো শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।
তবে কী কারণে বই দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে এনসিটিবি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মসজিদের ইমামের সঙ্গে এক ইউপি সদস্যের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। দুর্ব্যবহারকারী ইউপি সদস্যের নাম আমিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং রুটি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। গত ৮ এপ্রিল দুপুর ২ ঘটিকার সময় ধরখার ইউনিয়নের রুটি পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার বিচার চেয়ে ওই মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন (৩৯) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইমাম বোরহান উদ্দিন কসবা উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত আবু জামালের ছেলে। ফ্যানের সুইচ বন্ধ করা নিয়ে মসজিদের ভিতরে আমিরুল ইসলাম মেম্বার ইমামকে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য আচরণ করেন। একই এলাকার মলাই মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া এবং ফজলুল হকের ছেলে সোহাগের নামেও দুর্ব্যবহারের কথা অভিযোগে উল্লেখ করেন মসজিদের ওই ইমাম।
৩৪ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের ভিতরে জনসম্মুখে আমিরুল মেম্বার ইমামকে উচ্চ স্বরে ধমক দিচ্ছেন এবং ইমামের দিকে তেড়ে আসছেন।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোহাগ মিয়া আমিরুল মেম্বারের ভাতিজা হয়। মসজিদে বয়ানে মাদক বিরোধী কথাবার্তা বলায় তাদের শরীরের গাত্র দাহের প্রধান কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ইমাম সাহেব। মসজিদের বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আইপিএস লাইন চলতে থাকে। বৈদ্যুতিক লাইনের লোড শেডিং থাকায় নামাজ শেষে ইমাম সাহেব শরীফ মিয়াকে আইপিএস লাইনের পাওয়ার সেভ করার জন্য কিছু সিলিং ফ্যান লাইটের সুইচ বন্ধ করতে বলে। শরীফ বিষয়টি আমিরুল মেম্বারকে জানায়। আমিরুল মেম্বার ও সোহাগ শরীফ মিয়ার সাথে যোগ দিয়ে ইমামের কাছে এসে ইমামকে অপমান জনক নানান কথা বলতে থাকে। তখন ইমাম মৌখিক প্রতিবাদ করলে তারা ইমামের ওপর আক্রমন করে। তখন মসজিদে উপস্থিত কিছু মুসল্লী ইমামকে তাদের রোষানল হতে রক্ষা করে। তারা ইমামকে মারধর করার হুমকী সহ ইমাম কিভাবে মসজিদে থাকে দেখা নেওয়ার হুমকী দেয়।রুটি পশ্চিম পাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন বলেন, মেম্বারের নেতৃত্বে যেকোনো সময় আমার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশংকায় আমি মসজিদ থেকে চলে এসেছি।অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম মেম্বার জানান, ফ্যানের সুইচ বন্ধ করা নিয়ে একটি ছেলেকে ইমাম সাহেব ধমক দেন। ওই ছেলে আমার কাছে বিচার দেয়। ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে ইমাম সাহেব মোবাইলে তা ভিডিও করতে থাকে। এজন্য আমি ওনাকে ভিডিও করতে নিষেধ করি। গ্রামের মেম্বার এবং ওই মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে আমি ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারি।
এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম জানান, লিখিত অভিযোগের তদন্ত চলছে। ইমামের সাথে ওই মসজিদের ক্যাশিয়ারের কথা কাটাকাটি হয়েছে,কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ জন। আজ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১ হাজার ১২২ এবং ঢাকা মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ২৩৯ জন ভর্তি হয়েছে।আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৮ হাজার ৪৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৯ এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ৩ হাজার ৬৫৮ জন রোগী।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭০২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৪ হাজার ৭৯৮ এবং ঢাকার বাইরে ১৭ হাজার ৯০৪ জন। এদিকে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত ২২৫ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৯ হাজার ৮১২ এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫ জন। সূত্র বাসস