স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অন্তর্গত আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ মতবিনিময় সভা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের এমপি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে দল গোছানোর পাশাপাশি নির্বাচনমুখি নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে দলটি। দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল লিখিত বক্তব্যে বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ সহযোগি সংগঠনগুলোর নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এতে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আখাউড়ায় আওয়ামীলীগ অনেক বেশি শক্তিশালী। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সমাজের দর্পন হিসেবে সরকারের এসব উন্নয়ন গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। আখাউড়ায় আওয়ামীলীগে কোন গ্রুপিং বা বিভেদ নাই। দলের নবীন-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেই জাতীয় নির্বানকে সামনে রেখে দলীয় কর্মকান্ড চলছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বরকত উল্লাহর ছেলে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রাম থেকে মামুন (২৭) নামের ওই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামে অপরিচিত এক যুবকের অস্বাভাবিক ঘুরাফেরা সন্দেহ হলে স্থানীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে নবীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুব আলম জানান,খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রামের নদীর পাড় থেকে পিস্তলসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নবীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : সমাজসেবা ও মানবিক কাজে অনবদ্য অবদান রাখায় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা পেলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. শামীম হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে দরিদ্রের শীতবস্ত্র ও শিল্পীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সুর সম্রাট দি-আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় তাঁকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মো. শামীম হোসেন সমাজসেবায় স্বাচ্ছন্দবোধ করেন, সুযোগ পেলেই মানুষের পাশে দাঁড়ান। তিনি ইতিমধ্যে মানবতারসেবক হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন। পেশায় তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ডাকনাম খাজা শামীম শাহ্। জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
তিনি ব্যবসার পাশাপাশি মানবসেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সমাজসেবামূলক অনেক সংগঠনের সাথে তিনি জড়িত। লিয়েন ফাউন্ডেশন (মানবাধিকার ও প্রতিবন্ধী কল্যাণ) এর চেয়ারম্যান, বসুতি মা ও শিশু হাসপাতাল লিমিটেড এর ভাইস-চেয়ারম্যান, ইউনাইটেড কম্পিউটার্স এর সিইও ও স্বত্বাধিকারী, আজমীর শরীফ এর খলিফা হিসেবে তিনি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সদাহাস্যোজ্জ্বল এ মানুষটি সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ইতিমধ্যে সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন। মো. শামীম হোসেন ছাত্রজীবন থেকে’ই মানুষের সেবায় বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। মসজিদ, মাদ্রাসায় দান, অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা সেবার জন্য অর্থিক সহযোগিতা, মেয়েকে বিবাহ দিতে না পারা অসচ্ছল পরিবারকে সহায়তা প্রদান সহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন বিশিষ্ট এই সমাজ সেবক।
সমাজসেবা মূলক কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ভালোলাগার বিষয়টি হলো মানুষের জন্য কিছু করতে পারা। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানে। আর এই সমাজসেবা মূলক কাজকে আমি অমৃত লালন করতে চাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি আব্দুল মান্নান সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানবীর মো. শামীম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহীন, তিতাস বার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল মতিন শানু।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সাবেক পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, রোকেয়া সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি রোকেয়া রহমান কেয়া, পিস ভিশন বাংলাদেশের সভাপতি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট নারী সংগঠক কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, কবির কলমের সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, কবি আজীজা সোপান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি শূফিগুরু শাহাজাদ খান, সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান সরকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা কাশ্মীরী খাতুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিন্নাত নারজিয়া স্নিগ্ধা প্রমুখ।
এতে শতাধিক দরিদ্রদের শীতবস্ত্র ও অর্ধশতাধিক কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীদের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘মো. শামীম হোসেন, ‘মো. আবুল আজাদ’, ‘মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির’, ‘শূফিগুরু শাহাজাদ খান’ ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘আদিত্ব্য কামাল’কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, নান্দনিক উপস্থাপক আবদুল মতিন শিপন, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, আমানুল্লাহ মুর্তজা।
আদিত্য কামাল
আগামী ৩ ও ৪ মার্চ, ১৮ ও ১৯ শে ফাল্গুন, শুক্রবার ও শনিবার সারা রাত ব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খাড়েরা ফাতেহিয়া দরবার শরীফে পীরে কামেল মুর্শিদে মোকাম্মেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ ফতেহ্ আলী পীর সাহেব (রহঃ) এর ৬৮ তম ঈদগাহের আউলিয়ার বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।ফুরফুরা ছিলছিলার ছতুরা দরবার শরীফের পীর কুদওয়াতুস ছালেহীন জুবদাতুল আরেফিন কুতুবুল এরশাদ পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সুফি প্রভেসার আব্দুল খালেক( রহঃ) এর প্রথম খলিফার মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন, আওলাদে ওলি হযরত মাওলানা পীরজাদা জাহিদ কুদ্দুস সাহেব (মাঃ জিঃ আঃ) ছতুরা দরবার শরীফ।সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন, পীরে ত্বরিকত আওলাদে অলী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা পীরজাদা আশেক হোসাইন সাহেব (মাঃ জিঃ আঃ) ছতুরা দরবার শরীফ।মাহফিলে আলোচনা করবেন, শাইখুল হাদিস আল্লামা ডক্টর উসমান গণী ছালেহী সাহেব দারুন নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা ঢাকা। আল্লামা পীর মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব তাহেরী সাহেব, ফয়েজীয়া দরবার শরীফ। হযরত মাওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক কুতুবী সাহেব। পীরজাদা মুফতি যোবায়ের আহমদ ফাতেহী বিন হোসাইনী সাহেব, টানমান্দাইল দরবার শরীফ।এছাড়াও আরো বহু উলামায়ে কেরাম পীর মাশায়েখ তাসরিফ আনিবেন।মাহফিল পরিচালনায় থাকছেন, পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ মোখলেছুর রহমান পীর সাহেব হুজুর কেবলা (মাঃ জিঃ আঃ) গদ্দিনীশিন অত্র দরবার শরীফ।আরজগুজার : পীরে ত্বরিকত আওলাদে ওলি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সুফি পীরজাদা মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল নোমান পীর সাহেব হুজুর কেবলা (মাঃ জিঃ আঃ) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ দা’ওয়াতুস সুন্নাহ সংগঠন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৬২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ী জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার ( ২১ ডিসেম্বর ) রাত ৭ টা ৪০ ঘটিকার সময় বিজয়নগর উপজেলার ০২নং চান্দুরা ইউপিস্থ চান্দুরা সাকিনে ঢাকা-সিলেটগামী মহাসড়কে জিলানী পেট্টোল পাম্প এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার চারখাই ইউনিয়নের সাফা গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৮) এবং সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রাম গ্রামের মরাই মিয়ার ছেলে মান্না আহম্মদ প্রকাশ সুমন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, জব্দকৃত পিকআপ গাড়ী থেকে ১৬২ (একশত বাষট্টি) বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। উক্ত আলামত ধৃত আসামীদ্বয়ের হেফাজতে উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিহন কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ গাড়ী সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বিদুৎ, গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া,
জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ, ছাত্র নেতা তাসকিন আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ১০বছর যাবৎ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেনা৷ দিনের পরিবর্তে রাতেই ভোটের কাজ শেষ হয়ে যায়। বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হরিলুট চলছে। উপনির্বাচনে হিরো আলমের সাথে দুর্নীতি করে জোরপূর্বকভাবে তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে। অথচ তিনি হিরো আলমের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি। জনগণ আজ দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়ে যদি জনগণের ভোট পেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হয় তাতে এদেশের জনগণের কোনো সমস্যা নাই। রাজবন্দিদের অচিরেই মুক্তি দিতে হবে, মামলা হামলার পথ ছেড়ে জনগণের দাবি মেনে নেন। অনতিবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেন। আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করলেই প্রমাণ হবে। ২০পারসেন্ট ভোট পাবে কিনা সন্দেহ। চেতনা বিক্রি বন্ধ করুন, জনগণ সব বুঝে, জানে এবং দেখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল -আশুগঞ্জ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাত্তারকে সমর্থন করে ২০শতাংশের মতো ভোট গ্রহণ দেখিয়ে এমপি নির্বাচন করতে হয় আওয়ামীলীগের।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীর বলেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, বাঁচার জন্য পেটে ভাত না থাকলে, উন্নয়ন দিয়ে কি হবে?
ঝুঁকিপূর্ণ চড়া সুদের বিদেশি ঋণের টাকায় আইওয়াশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে, জনগণের কল্যাণে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন করুণ।
অর্থপাচার, লুটপাট, দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রোধ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা সহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য হলেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন।
অন্যথায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, বাংলাদেশের জনগণ আর মানবেনা। বাংলাদেশের জনগণ সেই ১৯৪৮, ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে ইতিহাস রচনাকারী জাতি। তারা প্রয়োজনে আরও শত সহশ্র বার অন্যায়, অনিয়ম, অধিকার হরণের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে ইতিহাস রচনা করবে।