স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরও চার ইউএনও বদলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরও ৪টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম সই করা এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও মেজবা উল আলম ভূইয়াকে। আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমাকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ইউএনও রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগরের ইউএনও ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিলের ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বদলি করা হয়েছে,তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার ইউএনও মুহা.আবুল মনসুরকে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে এবং খাগড়াছড়ির পানছড়ির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বদলি করা ।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রবিবার ( ৭ এপ্রিল) রাত ১১ ঘটিকার সময় গোগন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের নছর উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল (২৭), একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাটপারা গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (২৭) এবং একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান(২১)। এসময় তাদের নিকট হইতে দেশীয় তৈরি এসএস পাইপের চাইনিজ কুড়াল ও রামদা উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্র জানায়, এসআই (নিঃ) জুলফিকার, এসআই ইসমাইল হোসেন, এসআই রেজাউল করিম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড় হরণ এর বাসিন্দা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগত বাজারের মেসার্স আল মদিনা বাণিজ্যালয় এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আশিকুল ইসলাম (৩৪) ও মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া (৪০) বাড়ি ফেরার সময় ব্যবসায়িক টাকা ভর্তি ব্যাগ ডাকাতি করার জন্য সদর থানার বড় হরণ গ্রামের ফাঁকা ব্রিজের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের সহযোগী আশুগঞ্জ উপজেলার মধুরহাটি গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে রাজীব (২৩) এবং একই এলাকার কাওছার (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ডাকাত দলের নতুন সদস্য। ডাকাত দলের সর্দার লালপুর এলাকার কাওছার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। ডাকাত দলের সর্দার কাওছারের নামে ডাকাতির মামলা আছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে পরিষদের সদস্যরা আল মামুনের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদান ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। আল মামুন সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১লা ডিসেম্বর। এরপর সোয়া ২ মাসের মধ্যে তার কর্মকান্ডে সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।সরাইল থেকে নির্বাচিত পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোট পেতে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের আর্থিক বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটের দাম হিসেবে এখন তাদের ৪ লাখ ও ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। যা নিয়মে নাই। চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামতো সবকিছু করছেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।
গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। সদস্যদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার পরিষদের প্রথম সভায় সদস্যদের কোনো লিখিত ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী তিন জন সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করেন। সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে ভোটার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য তিনি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এটি প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। অথচ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতাবলে সকল উপজেলা চেয়ারম্যানকে ৪ লাখ টাকা, পৌরসভার মেয়রদের ৪ লাখ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা, ২০২২ এবং এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এর পরিপন্থি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। যার ছকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এবং এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সম্প্রতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ না করে প্রায় ৩ হাজার শীতবস্ত্র (কম্বল) ক্রয় করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ০৯/১০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভায়ও কোনো অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। এসব অভিযোগ তুলে ধরে তারা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সদস্যদের একজন বিউটি কানিজ সাংবাদিকদের জানান, প্রথম সভাতে চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানান। এরপর খুশিমতো প্রকল্প ও অর্থ বরাদ্দ দেন। কম্বলও নিজের মতো করে ক্রয় করেন। ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য বিল্লাল মিয়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ জানান।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার জানান, এধরনের কোনো কিছু ঘটেনি। নিয়ম-নীতির বাইরে কোনো কিছু করিনি। কার কি অভিযোগ সেটা আমি না দেখে বলতে পারবো না।
জুয়েল মিয়া
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ( ডিসি) মো: শাহগীর আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন( ইসি) । রোববার সকালে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে দেওয়া এ চিঠিতে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। মো: শাহগীর আলম ২০২২ সালের ১৩ই জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের দেয়া একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিসি প্রত্যাহার হয়েছেন। গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন শেখ ওমর ফারুক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে আবেদনে ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার পিতা লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষনা করার পর থেকেই একটি স্বার্থান্বেশী মহল তার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদান করিতেছে। আমার পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল। দলীয় সভানেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী উন্মুক্ত করায় আমরা ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর নিতে গেলে কর্মী সমর্থকরা জানায় যে, তাদেরকে প্রতিপক্ষের লোকজন স্বাক্ষর না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতেছে। স্বাক্ষর করিলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করিবে। ফলে ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর নেয়া দুষ্কর হইতেছে। তারপরও প্রার্থীর পক্ষে ১% ভোটার তালিকা স্বাক্ষরকৃত কাগজ প্রতিপক্ষের লোকজন গত ৩০/১১/২৩ ইং তারিখে ছিনতাই করিয়া নিয়া যায়। উক্ত বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পরও তিনি উক্ত বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। যাহা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হইয়াছে। গত ০১/১২/২৩ ইং তারিখ ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর করা টানচরের বাসিন্দা মীর বাইজিদ হোসাইন, ভোটার নং-১২০৩৩৭০০০০৩০৪ কে প্রতিপক্ষের লোকজন আটক করিয়া রাখিয়াছে। উক্ত বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। পক্ষান্তরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করিতে গেলে সন্ধ্যা ৬ টায় দেখিতে পাই জেলা রিটানিং কর্মকর্তা শলাপরামর্শ করিতে থাকায় আমাদেরকে পাশের রুমে বসিয়ে রাখে। প্রতিপক্ষের লোকজনের উপস্থিতি ছিল। তারপর মীর বাইজিত কে উদ্ধার করিয়া আনিয়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার চেম্বারে নিয়া আমাদের চলিয়া যাইতে বলে। পরবর্তীতে আমি জানিতে পারি যে, তার নিকট হইতে সহি স্বাক্ষর নিয়া তাকে ছাড়িয়া দেয়। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কোন নিরপেক্ষ আচরণ করিতেছেন না। এমতাবস্থায় উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংসদীয় আসন নং-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিওর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করার পর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে শহরের ট্যাংকের উত্তরপাড় এলাকায় আজাদ অটোরিকশা গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ গ্রামের মৃত রশদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা চালানো শেষে রাতে ওই গ্যারেজে তার অটোরিকশাটির ব্যাটারি চার্জ দিতে যান। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
স্থানীয়রা সুমন মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎসহ তিনজনসহ আহত হন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এসময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন।চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ৪০০ টাকা ভিজিট চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। পরে ঘটনাস্থলে এগিয়ে ক্লিনিকের একজন আশিষ সাহার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।চিকিৎসক দেখানের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।