ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : মাছ একটি শীতল রক্তবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী প্রাণী। মাছ সমুদ্রের লোনা জল এবং স্বাদু জলের খাল, বিল, হাওর, বাওর, নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবায় বাস করে। পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে শুরু করে মহাসাগরের গহীন অতল স্থানে, অর্থাৎ যেখানেই জল রয়েছে সেখানেই মাছের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মাছ মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মাছ মানবদেহে অন্যতম আমিষ যোগানদাতা।
‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গরবো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরতলীর ভাদুঘর মাইজলা পীর মাজার পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে ৩ মন (৫০ হাজার পিস) রুই, কাতলা, মৃগেল, সড়পুটি, ও কাইল্লারা মাছের পোনা আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, জনতার খবর এর সম্পাদক সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র নির্বাহী সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-নাঈম, মোহাম্মদ আবু কালাম সরদার, আকরামূল ইসলাম, নূর আলম, সম্পদ মিয়া, মিজবাউল হক, হিরণ মিয়া, ছবির মিয়া, তনয় আহমেদ, আরিফ মিয়া, সাত্তার মিয়া, জিতু মিয়া, তাজুল ইসলাম সহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
এ-বিষয়ে সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল বলেন, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রায় ৬০% আমিষের যোগান দেয় মাছ। প্রাণিজ আমিষে সব ধরনের এমাইনো এসিড থাকে যা উদ্ভিজ্জ আমিষে থাকে না। তাই প্রাণিজ আমিষের প্রধান উৎস হলো মাছ। মাছে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মাছ ভোগ্যপ্রাণীর মধ্যে মাছ বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য এবং আমিষের প্রধান উৎস।
উল্লেখ্য, এই পুকুরটি ২৯ মে ২০২৫ ইং (১৪৩২ বাংলা) সনে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মিজবাউল হক এর নামে ইজারাকৃত।
আদিত্ব্য কামাল : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মিনারা বেগম।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ৮ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে।
মনোনয়নপত্রের আবেদন নিয়ে মিনারা বেগম সাংবাদিকদের কাছে ও দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীসহ জেলাবাসীর দোয়া কামনা করেন।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান মিনারা বেগম স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি। তার পিতা মরহুম আবু তাহের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার কমিশনার ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে যোগ দেন।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।
তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকা ভুক্ত জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী শূফিগুরু শাহাজাদা খাঁনের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে একক সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) রাত ৮টায়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে কেক কাটা, ফুলেল শুভেচ্ছা, আলোচনা সভা ও একক সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পী কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম তৌছিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এড. মাহবুবুল আলম খোকন, পিপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজকোর্ট, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহীন, তিতাস বার্তার সম্পাদক এম, এ মতিন শানু, শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, বিটিভির তালিকা ভুক্ত বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী ফারুক আহমেদ পারুল, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, কণ্ঠ শিল্পী সাথী ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাউল শিল্পী মিজান সরকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা কাশ্মীরা খাতুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম, প্রবাসী মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আমীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মোসারফ, মো. পায়েল, মো. কাউছার।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, আব্দুল মতিন শিপন।
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন, সুদীপ্ত সাহা মিঠ (তবলা), প্রশান্ত সাহা (অক্টোপ্যাট) বায়েজিদ বুস্তামী (গিটার), অভিজিদ সাহা অভি (গিটার)।
হালিমা খানম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির অফিস উদ্বোধন দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ১৬ই সেপ্টেম্বর বিকেলে শহরের টি এ রোড এর হান্নান ম্যানশনের ৪র্থ তালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির অফিস উদ্ভোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উদ্ভোধনি অনুষ্ঠানে জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শাহ জামাল রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন জাতীয় সংসদের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীর মুখ্যপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ। এ সময় জেলা জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব এড. হেলাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মো. ফিরুজ মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারাণ সম্পাদক ছৈয়দ মোকাব্বের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিক, নাসিরনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এড. শাহলম, বিজয়নগর উপজেলা জাতীয় পার্টির, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার, বিজয়নগর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সায়েফ আলি খান সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হোটেলে পঁচা মাংস ও ফ্রিজে ইদুর পাওয়া যাওয়ায় এক হোটেল ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে পৌর শহরের স্টেশন সড়কে অতিথি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে এক ব্যক্তি অতিথি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই খাবার মাংসে পঁচা দুর্গন্ধ পান। ওই ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজের ভিতরে পঁচা মাংস ও ইদুর পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিথি হোটেলে অভিযান পরিচালনা করি।অভিযোগ সত্যতা পাওয়ায়, খাবার হোটেলে পঁচা- মাংস বিক্রি করায় ও ফ্রিজে ইদুর পাওয়া যাওয়ায় হোটেল ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের জেল জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এরকম অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।