স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ও মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হয়। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা চারপাশে শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। পরে ৮ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কাউতলীস্থ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণশেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে শহরের আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে মুক্ত দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জুয়েল মিয়া
জাতীয় দিবসে সঠিকভাবে পতাকা উত্তোলনসহ এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২টি পতাকা উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সংগঠনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি ব্যতিক্রম এ আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরের সামনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত। শুভসংঘের সভাপতি মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মো. মাঈনুদ্দিন রুবেল, দৈনিক বাংলার মো. মাজহারুল করিম অভি, শুভসংঘের সহ-সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ প্রমুখ। একাত্মতা প্রকাশ করে পরবর্তীতে যোগ দেন সম্মিলতি সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু। এ আয়োজন সফলে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বিডি অ্যানিমেল হেলথ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আয়ানা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সূফিগুরু শাহজাদা খানের মাধ্যমে গরীব শীতার্ত ভক্তদের মাঝে ৫ শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়ছে।
.
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বাড়িউড়া আলহাজ্ব খান মোহাম্মদ লাল শাহ বাবার দরবার শরীফে আয়ানা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পীরজাদা সূফিগুরু শাহজাদা খান এ শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেন।
এতে গদ্দিনিশীন বড় ছাহেবজাদা, আলহাজ্ব খান মোহাম্মদ লাল শাহ বাবার দরবার শরীফ চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
এ-সময় আয়ানা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পীরজাদা সূফিগুরু শাহজাদা খান বলেন, মানুষ একমাত্র তার বিবেক-বুদ্ধির জন্যই সৃষ্টির সেরা জীব। এই ক্ষমতাটি শুধু মানুষেরই আছে। আর তাই সাধারণভাবে বলতে গেলে, মানুষের বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমে কোনো কিছুর বিচার করাকেই মানবতা বলে। মানুষের কল্যানে সত্য ও ন্যায়ের পথে যে কোনো কাজ করারকে মানবতা বলে। একটি নাম যিনি মানব রুপে অতিমানব, দুজাহানের বাদশা, আল্লাহর দোস্ত ও চুরান্ত নবী এবং রাসুল, সকল মানুষের পথপ্রদর্শক ‘হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)’।
সাধারণ অর্থে মানবিকতা বলতে বোঝায় মানুষের মূল্যবোধ। মানুষের বিচার বুদ্ধি। যে বুদ্ধি আমরা অর্জন করি বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানের মাধ্যমে। আর এই জ্ঞান অর্জন হতে পারে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে।
একজন মানুষের প্রাথমিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হয় তার পরিবার থেকে। একটি ভালো পরিবার গড়ে তুলতে পারে মানুষের মানবিকতা। শুধু যে পরিবার মানবিকতা সৃষ্টি করে তা নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকেও আমরা মানবিকতার জ্ঞান অর্জন করতে পারি।
মানবিকতার মূলমন্ত্র হলো মানুষের কল্যাণ, জাতির কল্যাণ, সমাজের কল্যাণ, সাংস্কৃতিক কল্যাণ। মোটকথা হলো মানুষের ভালোর জন্য কিছু করা, মানুষের উন্নতি সাধন করা। যে উন্নতি সাধনে রয়েছে একটি চর্চাশীল প্রক্রিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিন্ডারগার্টেন উন্নয়ন পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা, মেধাবৃত্তি, সনদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১০ টায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে এড. লোকমান হোসেন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব এম এ এইচ মাহবুব আলম, চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, সত্ব্যাধিকারী এম, আর টেক্সটাইল ঢাকা। এবং মো. আবু কাউছার, চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন রতন, ও শুভেচ্ছা ব্যক্তব্য রাখেন সংগঠন এর সভাপতি ফারহানা ববি। সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা। সহ-সভাপতি পারভীন বেগম, সহ-সভাপতি শরীফ আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে ব্যক্তব্য রাখেন, সংগঠন উপদেষ্টা জাবেদ ওমর, গাজি আবু আসাদ, জামাল উদ্দিন নাগর, জিল্লুর রহমান, মো জাহাঙ্গীর।
জাতীয় সংগীত পরিবেশের অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অতিথিদেরকে ফুল ও উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ২৪৭ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৬৪ জন ট্যালেন্টপুল ও ১৮৩ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পরিক্ষায় উত্তির্ন হওয়ায় তাদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদ, নগদ অর্থ সম্মানি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, আবদুল মতিন শিপন।
জুয়েল মিয়া
সরকারদলীয় প্রার্থীকে বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ( ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।এছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় একাধিক প্রার্থী তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এমপিরা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠলে ইসি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং নিয়ম অনুযায়ী কে কতটুকু সুবিধা পাবেন, তা-ও উল্লেখ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি উঠলে ইসি জানান, এখন থেকে আর আগের মতো প্রটোকলের বিষয়টি দেখা যাবে না। কিভাবে কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে আনিছুর বলেন, ‘ডানে-বাঁয়ে তাকানোর সময় নেই। কে কোন দলের সেটা আপনারা ভাববেন না। প্রিজাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যারা মাথায় নিয়ে রেখেছেন, সেটা মাথা থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। ভোটের আগে-পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
এ সময় বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।