স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি :ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়েছে গত শনিবার। ১০ বছর পর হওয়া এই নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো ব্যাপক। নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্যের ৪টি এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্যের একটি পদের জন্যে দুটি প্যানেলে ১০ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এতে ৫টি পদেই জয় পেয়েছে খোকন-আনিছ পরিষদ। তাদের সবাই দ্বিগুনেরও বেশী ভোট পেয়েছেন। সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে সর্বোচ্চ ৫৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হন মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ,২য় মো: আজহারুল করিম পেয়েছেন ৫৩৯ ভোট,মো: আনিছ খাঁন ৫২৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং ৪৫৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আবদুল্লা আল সাঈদ। নারী অভিভাবক সদস্য পদে ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তাহমিনা আক্তার। তাদের প্রতিদ্বন্ধি পুরুষ অভিভাবক সদস্য মনির খাঁন পেয়েছেন ২৮৬ ভোট,মো: শফিকুর রহমান ২১২ ভোট,নন্দ দুলাল পাল ১৬৩,দীলিপ কুমার কর্মকার ১৪১ এবং বিউটি রানী সুত্রধর পেয়েছেন ২৫২ ভোট। খোকন-আনিছ পরিষদ বিদ্যালয়ের পাশের লোকনাথ ময়দান ভিত্তিক সংগঠন ‘ভোরের সাথী’ মনোনীত প্যানেল হিসেবে পরিচিত। সংগঠনের সভাপতি মো: আতিকুল ইসলাম আতিকের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ওই প্যানেলকে জয়ী করতে সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে মোট ১৪২১ ভোটের মধ্যে ৯৫৬ ভোট কাষ্ট হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু জামাল জানান-২০১৪ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর এডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার জীবন ভট্টাচার্য জানান-নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ন হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের এন্তাজ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক আরাফাত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামের মাঈনুদ্দিন, আড়াই হাজার থানার ইসাক মিয়া ও সোনারগাঁও থানার হোসেন মাহমুদ। গত বুধবার দুপুরে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। ইচ্ছেমতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বণ্টনের রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে দ্বিতীয় সভায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তাদের বলেন । এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশগ্রহণ ছিল ৮ সদস্যের। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে এক ইন্সপেক্টর ও ২ সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে মোট ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাকর ইতিহাস তেরি করেছি।এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এ সময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। যেহেতু আমাদের কথা বলতে দেবে না, আর ইতিপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরাদ্দে বণ্টনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছেমতো নেয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেরিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোনো কথা শুনতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন। আমরা এরও প্রতিবাদ করি। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন- আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যদের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এটিপ্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি।
সালমান হোসাইন
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নয়নপুর গ্রামের একমাত্র রাস্তার বেহাল অবস্থা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা সহ উলচাপাড়া, বিজ্বেশর, ও মোহাম্মদপুর গ্রামের হাজারো মানুষ। প্রধান সড়ক সংলগ্ন নয়নপুর চৌরাস্তা থেকে উলচাপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা। প্রায় ৭ বছর পূর্বে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশের ইট, মাটি ও পিচ সরে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, ট্রাক ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।এদিকে মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এই রাস্তা যেন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীসহ সবাইকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
অনেক অটোচালকের বাড়ি নয়নপুর। অটো চালিয়েই চলে তাদের সংসার। রাস্তা নিয়ে তাদের অভিযোগ, পৌরসভার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তারা আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।
তাজেল, রহিম সরকার , আনোয়ার, সাহেব মিয়া, কাউছার সহ স্থানীয়রা জানায়, নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অতিসত্বর রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বিদুৎ, গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া,
জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ, ছাত্র নেতা তাসকিন আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ১০বছর যাবৎ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেনা৷ দিনের পরিবর্তে রাতেই ভোটের কাজ শেষ হয়ে যায়। বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হরিলুট চলছে। উপনির্বাচনে হিরো আলমের সাথে দুর্নীতি করে জোরপূর্বকভাবে তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে। অথচ তিনি হিরো আলমের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি। জনগণ আজ দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়ে যদি জনগণের ভোট পেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হয় তাতে এদেশের জনগণের কোনো সমস্যা নাই। রাজবন্দিদের অচিরেই মুক্তি দিতে হবে, মামলা হামলার পথ ছেড়ে জনগণের দাবি মেনে নেন। অনতিবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেন। আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করলেই প্রমাণ হবে। ২০পারসেন্ট ভোট পাবে কিনা সন্দেহ। চেতনা বিক্রি বন্ধ করুন, জনগণ সব বুঝে, জানে এবং দেখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল -আশুগঞ্জ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাত্তারকে সমর্থন করে ২০শতাংশের মতো ভোট গ্রহণ দেখিয়ে এমপি নির্বাচন করতে হয় আওয়ামীলীগের।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীর বলেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, বাঁচার জন্য পেটে ভাত না থাকলে, উন্নয়ন দিয়ে কি হবে?
ঝুঁকিপূর্ণ চড়া সুদের বিদেশি ঋণের টাকায় আইওয়াশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে, জনগণের কল্যাণে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন করুণ।
অর্থপাচার, লুটপাট, দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রোধ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা সহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য হলেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন।
অন্যথায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, বাংলাদেশের জনগণ আর মানবেনা। বাংলাদেশের জনগণ সেই ১৯৪৮, ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে ইতিহাস রচনাকারী জাতি। তারা প্রয়োজনে আরও শত সহশ্র বার অন্যায়, অনিয়ম, অধিকার হরণের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে ইতিহাস রচনা করবে।