স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কামাল ভুইয়া আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের বাসিন্দা। গত ২১অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া বাজারস্থ দক্ষিণ সিএনজি স্ট্যান্ড মসজিদ রোডের সামনে কামাল ভুইয়াকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযুক্তরা হলেন গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়া(৫২), আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), আনিছ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার, জাংগাল গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে নবীর হোসেন (২৮) ও সাইদুল মিয়া, মৃত জজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার( ৩৮), কমল মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া (৩৫), আনিছ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া ( ৩০) এবং গংগানগর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া( ২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন। এই ঘটনায় আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল ভুইয়া মোগড়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি গত ২০ অক্টোবর তার মেয়ের বাসা কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সেদিন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া কামাল ভুইয়ার মার্কেটের সামনে বালু রাখার জন্য বললে মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানদার লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে তা কামাল ভুইয়াকে অবগত করেন। পরে কামাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে বাবু মিয়াকে বালু রাখতে নিষেধ করেন। এতে বাবু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল ভুইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মোবাইল রেখে দেয়। মেয়ের বাসা কুমিল্লা থেকে ২১ অক্টোবর বাড়ীতে আসার পর সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে আসার পর আনিছ মিয়া ও তার ছেলে বাবু মিয়ার নেতৃত্বে কামাল ভুইয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী আছমা বলেন, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিঠে, ঘারে ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্বামীর প্যান্টের পকেট থেকে মাছ ব্যবসার এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবুর সাথে কামাল ভুইয়ার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু এলাকা থেকে লোকজন এনে মারামারি করেছে৷ কামাল ভুইয়ার অবস্থা মৃত্যুর মুখে,ঢাকায় ল্যাবএইডে আইসিইউতে আছে। আজ আইনমন্ত্রী মহোদয় হসপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ইনফর্ম করে দিয়েছে তার চিকিৎসা যাতে ভালো হয়। এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন,মামলা নিয়েছি। এযহার নামীয় দুজন আসামীকে এরেস্ট করা হয়েছে। অপর এযহার নামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। মামলার তদন্তকারী আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) মোঃ আবু ছালেক বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। যেদিন মারামারি হয়েছে সেদিনই নবীর হোসেন ও আনোয়ার নামে দুইজন এরেস্ট হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আয়ানা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সূফিগুরু শাহজাদা খানের মাধ্যমে গরীব শীতার্ত ভক্তদের মাঝে ৫ শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়ছে।
.
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বাড়িউড়া আলহাজ্ব খান মোহাম্মদ লাল শাহ বাবার দরবার শরীফে আয়ানা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পীরজাদা সূফিগুরু শাহজাদা খান এ শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেন।
এতে গদ্দিনিশীন বড় ছাহেবজাদা, আলহাজ্ব খান মোহাম্মদ লাল শাহ বাবার দরবার শরীফ চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
এ-সময় আয়ানা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পীরজাদা সূফিগুরু শাহজাদা খান বলেন, মানুষ একমাত্র তার বিবেক-বুদ্ধির জন্যই সৃষ্টির সেরা জীব। এই ক্ষমতাটি শুধু মানুষেরই আছে। আর তাই সাধারণভাবে বলতে গেলে, মানুষের বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমে কোনো কিছুর বিচার করাকেই মানবতা বলে। মানুষের কল্যানে সত্য ও ন্যায়ের পথে যে কোনো কাজ করারকে মানবতা বলে। একটি নাম যিনি মানব রুপে অতিমানব, দুজাহানের বাদশা, আল্লাহর দোস্ত ও চুরান্ত নবী এবং রাসুল, সকল মানুষের পথপ্রদর্শক ‘হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)’।
সাধারণ অর্থে মানবিকতা বলতে বোঝায় মানুষের মূল্যবোধ। মানুষের বিচার বুদ্ধি। যে বুদ্ধি আমরা অর্জন করি বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানের মাধ্যমে। আর এই জ্ঞান অর্জন হতে পারে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে।
একজন মানুষের প্রাথমিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হয় তার পরিবার থেকে। একটি ভালো পরিবার গড়ে তুলতে পারে মানুষের মানবিকতা। শুধু যে পরিবার মানবিকতা সৃষ্টি করে তা নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকেও আমরা মানবিকতার জ্ঞান অর্জন করতে পারি।
মানবিকতার মূলমন্ত্র হলো মানুষের কল্যাণ, জাতির কল্যাণ, সমাজের কল্যাণ, সাংস্কৃতিক কল্যাণ। মোটকথা হলো মানুষের ভালোর জন্য কিছু করা, মানুষের উন্নতি সাধন করা। যে উন্নতি সাধনে রয়েছে একটি চর্চাশীল প্রক্রিয়া।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরও চার ইউএনও বদলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরও ৪টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম সই করা এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও মেজবা উল আলম ভূইয়াকে। আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমাকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ইউএনও রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগরের ইউএনও ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিলের ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বদলি করা হয়েছে,তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার ইউএনও মুহা.আবুল মনসুরকে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে এবং খাগড়াছড়ির পানছড়ির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বদলি করা ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খাল ভরাট করে দখলের পর এবার ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলছে একটি প্রভাবশালী মহল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের অন্তর্গত বনগজ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন লতিফ খন্দকার ও রমজান মিয়ার বাড়ির পাশের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়েই ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলছে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমকেও পাওয়া যায়। বনগজ গ্রামের মৃত ছেলু মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম সফিক এবং শাহেদ মিয়ার ছেলে কালন মিয়ার নেতৃত্বে ও তত্বাবধানে ব্রিজটি ভাঙ্গা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। ব্রিজটি ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা হলেন ছাদেক হোসেন ও মিজান মিয়া। তাদেরকে সফিক ও কালন মিয়া ব্রিজ ভাঙ্গার এই কাজে নিযুক্ত করেছেন বলে তারা জানান। ব্রিজের জায়গায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে কালন ও সফিক আত্মগোপনে চলে যান। পরে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে তখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ আলমের আমলে খালটির ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। খালটির দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের সুবিধার জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির দুইপাশের একটি বৃহৎ অংশ মাটি ফেলে ভরাট করে দখল করে ফেলেছে। এতে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এখন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে খালের পুরো অংশ ভরাট করে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার জহুরুল ব্রিজ ভাঙ্গার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে আমার নামে এমন একটি কথা আমিও শুনেছি। তবে এটি সত্য নয়। ব্রিজ ভাঙ্গতে হলে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন,‘ আসলে এই বিষয়টি আমি আপনাদের (সংবাদকর্মীদের) মাধ্যমে প্রথম অবগত হয়েছি।আমরা পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।খালটির দুইপাশে ভরাটের বিষয়টিও অবগত হলাম, আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। ব্রিজটি ভাঙ্গার জন্য কোনো ধরনের অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’আখাউড়া তন্তর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা এবিএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড)স্যার আমাকে পাঠাইছে। ব্রিজটি যে ভাঙ্গতেছে এটা দেখার জন্য আমি সরজমিনে আসছি।স্থানীয় মেম্বার বলছে তিনি ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানেন না।যারা ব্রিজ ভাঙ্গার কাজ করছে তারা কালন ও সফিকের নাম বলছে। ওনারা ভাঙ্গাইতাছে। ধরখার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। চেয়ারম্যান বলতাছে প্রাইমারি স্কুলের উন্নয়নের কাজ হইতেছে। সরকারী কাজের মালামাল এখান দিয়ে যাবে। ব্রিজটি থাকলে মালামাল নিতে সমস্যা হয়ে যায়।’এবিএম ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন,‘ আমার ধারণা সম্ভবত এখানে একটি খাল ছিল। খালটি তো দেখা যায় এখন ভরাট করে ফেলছে।এখন স্কুলের মালামাল নেওয়ার জন্য ব্রিজটি ভাঙ্গতেছে। আমি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে গেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে গেছি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলার জন্য। উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়ে ব্রিজ ভাঙ্গতো পারেনা। সরকারি ব্রিজ ভাঙ্গতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’