স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃ হাসান লিটন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় তিন বছর বয়সের অজ্ঞাত এক কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেঘনা নদীর তীরবর্তী বেতুয়া এলাকা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে চরফ্যাশন থানা পুলিশ।
চরফ্যাশন থানার (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি লঞ্চ অথবা যাত্রী ট্রলার থেকে পরে গিয়ে নিহত হন। শিশুটির গায়ে সাদা গোলাপি নিমা ও পড়নে লাল রঙের প্যান্ট, এবং পায়ে সাদা জুতা রয়েছে। ওই শিশুটিকে বেতুয়া নদীর পাড় ব্লকের ওপর পরে আছে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ অজ্ঞাত ওই কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কোন রাজনৈতিক দল তার রাজতৈনিক কর্মকান্ড করতে পারে। তাতে আওয়ামীলীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কোন আপত্তি নাই। কারণ আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্র স্থাপন করেছে।’ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সংবিধান আছে। বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে তা সম্পূর্ণ ভাবে লিখা আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া-কসবা সার্কেল (অতিরিক্ত) নবীনগর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আলোচিত আব্দুল হেকিম টাক্কা হত্যার প্রধান আসামী রাসেল মেম্বারকে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। রবিবার (৩০এপ্রিল) আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রাহমান নাজিমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতে মো. রাসেল মেম্বারকে ৫নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, সমাজের এসব চিহ্নিত কুখ্যাত অপরাধীদের যদি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা বানানো হয় তাহলে তারা দলকেও কলংকিত করবে এবং দলের সুনাম নষ্ট করবে। অপরাধীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতারা জনগণের কাছেও ঘৃণার পাত্র হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল হেকিম ওরফে টাক্কা (৩২) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। রাতে ঢাকা নেওয়া পথে তার মৃত্যু হয়। সে ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দুপক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত আটজন আহত হন। এ ঘটনায় আব্দুল হেকিম টাক্কার মা রুপশা বেগম ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রাসেল মেম্বারসহ ১৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আনোয়ারপুর- কল্যাণপুর ৯ নং ওয়ার্ড থেকে রাসেল আহমেদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে রাসেল নিজেকে ওই এলাকার সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন। সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এই এলাকার কিছু মানুষ মাদক কারবারের সাথে জড়িত। স্থানীয় মেম্বার হিসেবে প্রভাব খাঁটিয়ে রাসেল মাদক সাম্রাজ্য একক নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত। আর এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আব্দুল হেকিম টাক্কা। নিহত টাক্কা মেম্বারকে মাসোহারা দিতে অস্বীকার করে। এরপর থেকে রাসেল মেম্বার টাক্কাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত তিন মাস আগে এক রাতে টাক্কাকে কল্যাণপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আটক করে। পরকীয়ার অভিযোগে ওই নারীসহ তাকে থানায় সোপর্দ করেন রাসেল মেম্বার।ওই ঘটনায় জেল হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে টাক্কা বাড়িতে আসলে রাসেল মেম্বারসহ তার লোকজন বিভিন্ন সময় টাক্কাকে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়ে অপমান অপদস্ত করে কথা বলতেন। আর রাসেল মেম্বারের সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডে সহযোগী হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা রনি। ঘটনার কিছু সময় আগে এই রনি নিহত টাক্কাকে ফোন করে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে তাকে সাহস থাকলে গ্রামে আসার কথা বলে ডেকে এনে পরিকল্পনা মাফিক এই হত্যা কান্ড ঘটায়। গ্রেফতারের আগেই প্রধান আসামি রাসেল মেম্বারসহ পাঁচ আসামি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে।
নিহত টাক্কার মা রোপসা বেগম রাসেল মেম্বার ও তার গংদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, রাসেল মেম্বার গ্রামের মাদক কারবারীদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতো এবং মাদককারবারীদের টাকা দিতে বাধ্য করতো। রাসেল মেম্বার মাদক কারবারীদের থেকে চাঁদা তুলে মাদক ব্যবসার শেল্টারদাতা হিসেবে কাজ করতো। রাসেল মেম্বারের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হত্যা করে। তাছাড়া কাশেম মেম্বারের পক্ষে নির্বাচনের সময় কাজ করার কারনে রাসেল মেম্বার টাক্কার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
স্থানীয় যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে এবং জেলা যুবলীগের সম্মতিতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা গতিশীল করতে আখাউড়া পৌর ও ওয়ার্ড যুবলীগের বর্তমান সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন মাস মেয়াদী আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।আখাউড়ায় নবগঠিত যুবলীগের কমিটি গুলোতে সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত লোককে যুবলীগের নেতা বানানোর বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, অপরাধী যেই দলের হোক এদের কোনো দল নাই, অপরাধীর বিচার হবে। মানুষের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবেই। অপরাধ করলে ত্যাগ করা যাবেনা,বিচার হবে। আমার দলের লোক অপরাধ করলে সবচেয়ে বেশি শাস্তি হওয়া উচিত। কারন তার থেকে মানুষ শিক্ষা নিবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও ভৈরবে পৃথক পৃথক অভিযানে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প। এসময় ০১ টি মাইক্রোবাস ও ০১টি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (০৯ এপ্রিল) সকাল ০৬.২০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আখাউড়া পৌরসভার দেবগ্রামের সামসুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মাদক কারবারি মনির হোসেন ভূঁইয়া(৪৮) কে আটক করা হয়। এসময় ০১ টি মাইক্রোবাস তল্লাশী করে ৩৬ কেজি গাঁজা এবং নগদ ৪হাজার ৫শত টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। একই দিন সকাল ০৮.৩০ ঘটিকায় অপর অভিযানে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন উজানভাটি হোটেলের সামনে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেন থেকে মাদক কারবারি মামুন হোসেন (৩৫)কে আটক করেন। তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার সাইনাল গ্রামের মোঃ হোসেন এর ছেলে। এসময় ১টি পিকআপ তল্লাশী করে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। জানা যায়, র্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও দিক নির্দেশনায় এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযানদ্বয় পরিচালনা করেন। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট কবি, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন এর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘স্বদেশ-কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যার’-পাঠ উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, ড. মারুফুল ইসলাম।চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদ্দূস, ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
সাময়িকীটির সম্পাদক, ঝিলমিল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এর সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন, উদিচি জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, লেখক ও সাংবাদিক আল আমিন শাহীন, কবি আবুল কাশেম তালুকদার, নারী সংগঠক ফজিলাতুন্নাহার, মোঃ ফারুক আহমেদ ভুইয়া, কবি রোকেয়া রহমান কেয়া, কথাসাহিত্যিক মানিক রতন শর্মা, কবি সেলিম হোসাইন হাওলাদার, কবি এম এ হানিফ, কবি মোঃ আব্দুর রহিম, কবি ও সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার, কবি ও গল্পকার রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গল্পকার সাদমান শাহিদ, কবি মাশরেকি শিপার, কবি এড. হুমায়ন কবির ভূইয়া, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ, কবি গাজী আবু হানিফ, কবি শারমিন সুলতানা, নিখিল চন্দ্র দেবনাথ, কবি শাহ মাহমুদা আক্তার, সাংবাদিক প্রবির চৌধুরী রিপন, সঙ্গিত শিল্পী আনিছুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, নদীকর্মী খালেদা মুন্নি, ছড়াকার হুমায়ুন কবির। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ পুতুল বেগম। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো আব্দুল মতিন সেলিম, মোস্তাক আহমেদ খোকন, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, শিব চরণ বিশ্বাস, এম এ সাহেদ, কবি রিপন দেব নাথ, এম নাইমুর রহমান, আব্দুল মতিন শীপন, মোজাম্মেল হক, কবি খোকন সেন, অমিতাভ চত্রবর্তী, মনির হোসেন, সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, কবি কহিনূর আক্তার, কবি ঝর্না আক্তার, শরিফ উদ্দিন, শরিফ সরকার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার অনুজপ্রতিম প্রিয় কবি আমির হোসেন একজন আলোকিত মানুষ। সাহিত্যের নানান শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। বহুগ্রন্থ প্রণেতা এই লেখকের দুই বাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। লেখক ও পাঠক সৃষ্টিতে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তাঁর লেখনী প্রতিভা দিয়ে সমাজে আরো বেশি আলো ছড়াবেন বলে আমরা আশা প্রকাশ করি। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ কথাসাহিত্যিক আমির হোসেনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি আমির হোসেন বলেন, আজকে আমাকে নিয়ে যত প্রশংসা, যত আলোচনা সবকিছু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত ও জীবীত সকল মুরুব্বীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম। আপনাদের দেয়া সম্মানের মর্যাদা দিতে অভিষ্যতে নিজেকে আরো বেশি করে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নিবেদিত রাখবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি তাঁকে নিয়ে সাময়িকী প্রকাশ ও অনুষ্ঠান আযোজন করায় এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যাটি সম্পাদনা করেন তরুণ কবি ও সংগঠক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও ছড়াকার হুমায়ুন কবির। দুই বাংলার জনপ্রিয় ১১৫ জন লেখকের লেখা সমৃদ্ধ ১৮০ পৃষ্ঠার এই স্মরণিকাটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন ইসরাফিল হাসান। আলোকচিত্রশিল্পী কাজী আরিফুজ্জামান ও স্বর্ণা (মোহর)। চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থগারের পক্ষে কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছাপাখানা-ঢাকা এটি মুদ্রিত হয়। সাময়িকীটি ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। এর শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা মাত্র।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সাংবাদিক ও ইউপি সদস্যের সাথে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম এর দুর্ব্যবহারের অডিও কলরেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বুধবার এই ঘটনা জানার পর স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃত্ববৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ০৯নং ওয়ার্ড (ফতেহপুর) মেম্বার ও জাতীয় দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক সফল আলী গত ২৩ জানুয়ারি তার আপন ছোট ভাই মোতালিবের বাসায় ও দোকানে দুইটি মিটার প্রয়োজন হওয়ায় নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোরশেদ এর নিকট মুঠোফোনে এক সহকর্মীকে পাঠিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেবা দেয়ার বিপরীতে ডিজিএম কর্কশ ভাষায় সাংবাদিককে ভবঘুরে, প্রশ্রয় দিলে মাথায় উঠে যান, আপনারা সেবা নিতে আসলে কি আমি আপনার জন্য বসে থাকব? এসব কথা বলে মন্তব্য করেন। এই কর্মকর্তা বদলি না করা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ এর সকল সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার থেকে বিরত থাকার মত প্রকাশ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এবিষয়ে সাংবাদিক সফর আলী জানান, আমি একজন জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক। আমার সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য ছিল না। এমন ডিজিএমকে নবীনগর থেকে বদলি না করলে সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোনোয়ার মোরশেদ ওই ফোনালাপটি অস্বীকার করেন।